[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
প্রথমটিঃ
হঠাৎ করে কি বাংলাদেশের এসএসসি লেভেলের ছাত্র ছাত্রী বিপুল হারে অসাধারণ মেধাবী হয়ে গেলো?
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কি আদৌ তেমন কোন অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে?
উত্তর না বলে দিলে খুব ভুল বলা হবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও সেই প্রাচীনতা আকড়েই ধুকে ধুকে চলছে।
বরং জিপিএ ৫.০০ বেশী বেশী চোখে দেখার কোন হীন মানসিকতার চরিতার্থে কি উদ্ভট ব্যবস্থা যে চালু এখন আমার মতি বিভ্রম ঘটে দেখে।
তাইতো বলি ৬২০০০ জিপিএ ৫.০০ কেমনে পায়?
উপরের ছবিদে দেখেন...একজন স্টুডেন্ট সবগুলোন বিষয়ে এ+ পেয়েছে তারও গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ মানে জিপিএ ৫.০০। আবার আরেকজন দুটো কম বিষয়ে এ+ পেয়েছে তারও জিপিএ ৫.০০। আবার আরেকজনের দেখেন তিন বিষয়ে এ+ নেই তারও জিপিএ ৫.০০।
এই উদ্ভট সিস্টেমের দোলচালে পড়ে আসলেই কি মেধার উন্মেষ ঘটছে না ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কেউ ---কেউ কি ভাবছে?
এত জিপিএ ৫.০০ দিয়ে কি হবে, যদি না সিস্টেম সব ভুলভাল আর হযবরল থেকেই যায়, যদি ভাল কলেজে ভর্তি হবার সুযোগ না পায় সর্বোচ্চ রেজাল্ট ধারীরাও ?
দ্বিতীয়টিঃ
বহুবছর হয়ে গেলো এসএসসি পর্যায়ে জিপিএ সিস্টেম চালু হয়েছে অথচ এখনও মানুষ ফলাফলটা ঠিকমতে বলতে শিখল না, ৫.০০ কেউ পেলে বলছে এ+ পেয়েছে ...আরে বাবা এ+ তো প্রতি বিষয়ে বিষয়ে হয় তারপর সেগুলোর কিউমিলিটিভ গড় করেই প্রকৃত ফল মানে সিজিপিএ বের করা হয় পয়েন্টে ।
এ ভুল শিক্ষিত জনেও করছে হরহামেশা। ভাব দেখে মনে হয় ভুলটাই বোধহয় প্রচলিত হলো বলে।
আচ্ছা ৫.০০কে যদি এ+ নামকরণ কথ্য ভাবে করা হয় তাহলে যে ৪.৮৮ পেলো তার ফলটা সেই কথ্য রূপে কি বলা হবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।