আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মরে যাওয়ায় ধন্যবাদ শহীদুল ইসলাম লালু বীরপ্রতীক

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

প্রিয় শহীদুল ইসলাম লালু (বীরপ্রতীক), প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ মরহুম হয়ে যাওয়ার জন্য। যদিও অনেক কষ্ট পেয়ে মরেছেন। দুটো কিডনি নষ্ট হওয়ার কষ্ট। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বারান্দায় গতকাল লাশ হওয়ার আগে অনেকক্ষণ বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছেন যদিও। পাকা বারান্দা, খোলা হাওয়া।

মীরপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পুকুর পাড়ের জীর্ন বেড়ার ঘরে নির্জনে হাপিস হয়ে যাওয়ার চেয়ে বরং বেশ লোকজনের ভিড়ে ইমারতে গিয়ে মরেছেন। আপনাকে আরো ধন্যবাদ কনিষ্ঠতম বীর প্রতীক হিসেবে যে জায়গাটা দখল করে রেখেছিলেন, সেটা খালি করে দেওয়ার জন্য। সেখানে এবার বড়সড় একটা এপার্টমেন্ট তৈরি করে ভাড়া দেওয়া যাবে। কিংবা অন্য কিছু। কি করবো বলেন লালু।

আপনার মতো বকলম যদি একটা চিঠিও লিখতেন, বা কারো লেখা বা কোনো চিঠিকে মুক্তিযুদ্ধের বলে চালিয়ে দিতেন, তাহলেও হতো। গ্রামীন ফোন কিংবা প্রথম আলোর প্রকাশনায় বেশ জায়গা পেতেন। না হয় সে চিঠিতে Daccaর জায়গায় Dhakaই লেখা থাকতো। প্রথম আলো এখন নিজেকে বদলানোর শপথ নিয়েছে, তাই আপনি অনেক ভেতরের পাতায় সিঙ্গেল কলামে একটা কাটা ছবিসহ হলেও জায়গা পেয়েছেন। আর পত্রিকার কথা জানি না, তবে বিজয় দিবস বা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বানিজ্যের কোনো সুযোগ থাকলে অবশ্যই প্রচ্ছদ প্রতিবেদন না হলেও প্রথম পাতায় জায়গা পেতেন।

লালু আপনি এমন কি বীর! আপনার চেয়ে ঢের বড়ো বড়ো বীরেরা না খেতে পেয়ে মারা গেছে, অনেকের হয়তো তকমা ছিলো না কোনো আপনার মতো। তা এই বীর প্রতীক ধূয়েই বা কি পানি খেয়েছেন! যাক, মরে গেছেন ভালোই করেছেন। কষ্ট পেয়ে মরেছেন, খোজ খবর রাখতে পারিনি বলে স্যরি। তবে কথা দিচ্ছি, আপনাকে নিয়ে আহাজারি করে আগামী ক'দিন বেশ বুক ফাটাবো। ধন্যবাদ আপনাকে আবারও।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।