আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসব বালছাল মিটিং, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি না কৈরা মোবাইল কোম্পানীগুলারে কাস্টমার ডাটাবেজ জেনুইন করতে কন। মোবাইল চাঁদাবাজি, র‌্যাগিং চিরতরে বন্ধ হৈব।

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!!

মোবাইল ফোনে আসল ও ভুয়া বড়, মাঝারি, ছোট সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ী ও পয়সাওয়ালা মানুষের কাছে কাছে চাদাঁ চাইতাছে। চাহিদামত চাদাঁ না দিলে কল্লা ফালাইয়া দেয়া সহ বিভিন্ন রকমের ভয়াবহ হুমকি। ব্যাপারটা ইদানীং ব্যাপক মাত্রায় রূপ নিয়েছে। তাছাড়া রাতবিরাতে মিসকল, মহিলা কন্ঠ পেলে রঙ্গিলা আলাপ জুড়ে দেয়া, খামাকা থ্রেট করা সহ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নতুন নতুন অপরাধের সূচনা হৈছে। এমনকি গ্রন্থকীট সুবোধ বালকরাও মোবাইল হাতে যৎকিন্চিত অপরাধ করার থ্রিল এনজয় করছে।

টিএন্ডটির ফোন ব্যবহার কৈরা যে কোন অপরাধ হয়নি তা না। মোবাইলের সুবাধে মাত্রাটা সকল সীমা ছাড়িয়েছে। আর সরকার বাহাদুরের টনক নড়েছে এখন। আজকে তারা একটা মিটিং কৈরাছে এবং ব্যাপারটা নিয়া কি করা যায় তা ভেবে চিন্তে জানানোর জন্য BTRC Chairman এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্য বিশিস্ঠ কমিটি (যথারীতি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন!) গঠন করে। Click This Link হায়রে দেশ! এতদিনে (মোবাইল জন্মের ১৭ বছর পর) গন্ডারের চামড়ায় সুচঁ ঢুকলো।

তাও সমস্যা টের পাওয়া পর্যন্ত, কারন পর্যন্ত নয়! মোবাইলকে ব্যবহার করে অপরাধ করার পেছনে বড় যে Loophole তা হল নিজের আসল নাম ঠিকানার গায়েবী অবস্থা। ৪ কোটি গ্রাহকের মধ্যে খুব কম সংখ্যকেরই সঠিক ঠিকানা ডাটাবেজে আছে। কারন- ১। মোবাইল কোম্পানীগুলা কাস্টমার সাবস্ক্রিপশান পেপারকে সংক্ষেপে পেপার বলে। সিম ও রিচার্জ বেচা, নেটওয়ার্ক ঠিক রাখার বাইরে পেপার টেপার নিয়ে সময়নস্ট করারমত সময় তাদের নেই।

'কে সিম কিনে কি করল' তার চেয়ে 'কয় ট্যাকা খরছা করল' এটাতেই তাদের ফোকাস। তবে পোস্টপেইডের বকেয়া আদায় আর হারানো/চুরি/ডাকাতি/নস্ট সিমের Replacement এর খাতিরে তারা একটা পেপার মেইনটেইন করে। ২। বিগত আধা-মিলিটারী সরকারের আমলে ঘাউরা বিটিআরসি যত সিম বেচা হইছে তত পেপার দেখাইতে কৈল! মোবাইলের চক্ষে সর্ষে ফুল। সিম বেচা হৈছে ১ কোটি, পেপার আছে ৭০ লাখ এরকম অবস্থা!! কৈল- 'সময় দেন'।

শুরু হৈল রিরেজিস্ট্রেশন। বানাও পেপার, পুরাও ডাটাবেজ!!! ৩। এখন পেপার আর বেচা সিম সমান আছে। কিন্তু ঐসব পেপারে/স্ক্যানড ডাটাবেজে কি আছে তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে ২০/৩০ থেকে ২০০ টাকা দর পর্যন্ত বেচা সিমের কোন মা বাপ আছে কিনা সন্দেহ।

পাবলিক স্রেফ চানাচুরের প্যাকেটের মত সিম কিনে হাটাঁ দিয়েছে। ৪। সীমের মত মহামূল্যবান একটি জিনিস অতি বাজে পদ্ধতিতে রিপ্লেসমেন্ট করা হয়। হারিয়েছে, পুড়েছে, চুরি গেছে। ভাল কথা কাগজ হারায় ক্যামনে? কোন ডকুমেন্ট ছাড়া, এমনকি ডাটাবেজে ধারনকৃত নাম ঠিকানার সাথে 'মালিকে'র ঘোষিত তথ্যর আকাশ পাতাল তফাৎ।

তবু সীম দেয়া হয় লাস্ট রিচার্জ জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে! ৫। বিক্রির ব্যাপারে মোবাইল কোম্পানীগুলোর যতটা দৌড়ঝাপ, কাস্টমার সার্ভিসের ব্যাপারে খুবই কাহিল অবস্থা। মনেই হচ্ছেনা এগুলো দীর্ঘমেয়াদী সেবাধর্মী ব্যবসা। তাই ব্যাংক লোন, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির বিপুল গ্রাহকের ক্ষেত্রে সঠিক ডাটাবেজ সম্ভব হলেও মোবাইল কোম্পানীগুলো ব্যাপারটা একেবারেই তুচ্ছজ্ঞান করছে। সঠিক তথ্যের আইনী বাধ্যবাধকতা না থাকা তাদেরকে এ ধরনের বল্গাহীন ব্যবসায় উস্কানী দিচ্ছে।

৬। আমার কাছে দুটি সীম। একটি অফিসের ঠিকানা, আরেকটি ভুয়া। আকাম কুকাম যা করার আমি ২য়টা দিয়াই করেছি, করি, করব! ঠেকাতে হলে আমাকে বাধ্য করতে হবে ঐটা জেনুইন করার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।