আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সর্ষে-ভাবনা ১: যে কারণে আমি নভোচারী হতে পারবোনা

যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

ঠিক করেছি মাঝেমাঝে ছোট পোস্ট লিখব; সর্ষেদানার মতোই ছোট এবং প্রায়ই অর্থহীন কিছু চিন্তাভাবনা হঠাৎ হঠাৎ মাথায় ক্লিক করে, সেগুলোকে দু'কথায় টুকে রাখার জন্যই নতুন সিরিজ, "সর্ষে-ভাবনা" ============================================= জাপানী এক নভোচারী তিনমাস কাটাতে গেছে এক মহাকাশ-স্টেশনের দেখাশোনা, মেরামতের জন্য। গতকাল রাতের খবরে, এ.এইচ.কে নিউজে দেখালো উপরের ছবিটির খবর, যেখানে দেখা যাচ্ছে মহাকাশ স্টেশনের ভেতরে জনাব নভোচারী, তাঁর আরো দু'জন স্যাঙাতসহ কি যেন পান করছেন। বলুনতো কি? উত্তর সোজা, পানি। পানি, ঠিক আছে, তবে এই পানি যেই সেই পানি না! এটাকে রিপ্রোডিউস করা হয়েছে খোদ নভোচারীদের মূত্র থেকেই!!!!! মূত্রকে কোন না কোন ধরনের "কামেল" লেভেলের রেকটিফায়ারের মাধ্যমেই নিশ্চয় আবার পানিতে পরিণত করা হয়েছে, কারণ, এই পানি খেয়ে তাঁরা তিনজনই দাঁত কেলিয়ে জানাচ্ছেন যে, "খেতে ভারী মজা, একেবারে তাজা!" দেখেই কেমন গা শিরশির করে উঠলো। যত যাই হোক, নিজের পেশাব!!! শুধু তাইনা, যা খাচ্ছি সেটা হতে পারে আশপাশে যে ক'জন আছে তাদের হিসুও!!! রাম, রাম!! মানুষ শেষমেষ এও খেলো! মানলাম, হিসুকে পুরোপরিই বিশুদ্ধ করা হয়েছে, তাও কেমন একটা ব্যাপার না! তখনই ভাবলাম, চোখের সামনে একটা মেশিনে নিজের হিসু প্রবাহিত করে, কিছুক্ষণ পর সেই মেশিনের কল ছেড়ে পানি খাওয়ার জন্য কতটা যুক্তিবাদী হতে হওয়া লাগে মানুষকে!! নাহ বাবা, অত যুক্তিবাদী বা নির্লিপ্ত বিজ্ঞানবাদী মানুষ হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। ডাক্তার মানা করার পরও কান গরম করা ঝাল ছাড়া আলুভর্তাই আমি খেতে পারিনা! বুঝলাম, শুরু থেকেই আমাকে দিয়ে নভোচারী হওয়া সম্ভব ছিলোনা, কোনদিনই। লাইফের একটা আক্ষেপ চিরবিদায় নিলো; ধন্যবাদ এন.এই.কে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।