আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সড়ক দূর্ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্টের মৃত্যু.... এতশত মৃত্যু তবুও সবাই কত নীরব..

ছাগু তোষণ নীতি নির্ভর মডারেশন প্রক্রিয়াকে ধিক্কার জানাই. ব্লগের এক কোনায় জেনোসাইড বাংলাদেশের লোগো ঝুলিয়ে ছাগু তোষণ নীতির নামে ভন্ডামি বন্ধ করুন... নইলে এই মডারেশন নীতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকার নাটক বন্ধ করুন.. ব্লগ পর্যবেক্ষনে, আপাতত শুধু কমেন্টাই..
মিনিবাসটা সবেমাত্র একজন মহিলাকে জখম করে এসেছে। ট্রাফিক সার্জেন্ট গাড়ি থামিয়ে কাগজ দেখে মামলা করবে। হটাৎ পেছন থেকে আরেকটা মিনিবাস ব্রেকের বালাই না করেই আগেরটিকে মারলো একটা ধাক্কা... দাঁড়িয়ে থাকা মিনিবাসটি সার্জেন্ট কে দলিত মথিত করে উঠে পড়লো ফুটপাথে আর সার্জেন্ট বাছেদ প্লে-গ্রুপে পড়া দুটি সন্তান আর প্রিয়তম স্ত্রী কে পৃথিবীর নির্মমতার সামনে ঠেলে দিয়ে চলে গেলেন সকল ধরা ছোঁয়ার বাইরে... আর একটি সড়ক দূর্ঘটনা, এবার শিকার স্বয়ং ট্রাফিক পুলিশ... পুলিশ অবশ্য গাড়ি সহ ড্রাইভার কে আটক করেছে... যথারীতি লাইসেন্স জাল কিন্তু সে নাকি অনেক বছর গাড়ি চালায় খোদ ঢাকারই বুকে... কি হাস্যকর... বলেন তো কয়টা টাকা লাগে জরিমানা দিতে? কয়টাই তো টাকা, তারপরই তো আবার সেই মিনিবাস আবার আরেকটা জীবন... পত্রিকায় এসেছে বাছেদের বড় ভাইও ছিলো ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট, তার মৃত্যুও নাকি এমনই নির্মম, এমনভাবেই বাস চাপা পড়ে... খুব জানতে ইচ্ছা করে ঐ দূর্ঘটনার ড্রাইভারও কি একইভাবে গ্রেফতার হয়েছিলো? কি বিচার হয়েছিলো তার? কয় টাকা জরিমানা? আজকে বাছেদ কে যে বাসটি চাপা দিলো সেই কি আগের সেই ড্রাইভার? নয়তো তার প্রেতাত্মা??? কি হতো যদি ঐ ড্রাইভারের সঠিক বিচার হতো, কে জানে হয়তো আজকে বাছেদের পরিবার কে আরেকটা মৃত্যু দেখতে হতো না...... কলেজ গেটের ঐ মোড়টায় বাসের জন্য, রিকশার জন্য আরো কত কারনে কত শতবার দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে.... বাছেদ ও তো দাঁড়িয়েই ছিলো তবুও গাড়ি চাপা দিয়ে গেলো ঠিকই... যান্ত্রিক জীবনযাত্রায় আমরা কেমন অমানুষ হয়ে পড়ছি দেখুন... কত মানুষই তো ঐ বাসে ছিলো, কেউ কি বলেছিলো এই ড্রাইভার আস্তে যাও??? কেউ কি কখনো বলে?? আপনি কিংবা আমি যখন বাসে উঠি প্রলয়ংকরী গতিতে ধাবমান সেই বাসটার চালককে কখনো ধমকে বলেছি এই কথা??? ধ্যুত আমার কি দরকার, কত মানুষ আছে কথা বলবার... অথচ খোঁজ নিয়ে দেখেন আপনার পাশের জনও ঠিক তাই ভাবছে, একই চিন্তায় তার পাশের জন... অত:পর আপনার কিংবা আমার কলেজ গেটে দাঁড়িয়ে থাকা কিংবা রিকশা নিয়ে বাসের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া... হটাৎ বাস ড্রাইভারের হাতের একটু বাঁক, আপনি কিংবা আমি সব ধরাছোঁয়ার বাইরে.... পেছনে পড়ে থাকবে প্রিয়তম মানুষটি, আধো বুলি ফোঁটা মুখে নিশ্পাপ হাসি ছড়িয়ে থাকা সন্তান.... আপনার ছোট ভাই আবারো কোন একদিন এভাবেই এসে দাঁড়াবে বাসের সামনে, আবারো একটা দূর্ঘটনা... এখানেই শেষ করলাম.... বলতে চেয়েছিলাম আরো অনেক কিছু... বলতে চেয়েছিলাম এসব মৃত্যুর বিচার চাই (!!!) কিন্তু বলে লাভ কি? বলতে চেয়েছিলাম এবার হয়তো পুলিশ সার্জেন্টের মৃত্যুতে পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়বে.... কিন্তু পত্রিকায় বাছেদের বড় ভাই এর মৃত্যুর খবর পরে আর বললাম না সেই কথা.... স্বল্প বেতন আর নানা অবহেলায় থাকা গরীব দেশের ঐ ট্রাফিক পুলিশ দের সততার মূল্য যে নামমাত্র.... জীবন যুদ্ধে পরাজিত এইসব সৈনিকদের কাছে ময়দানের যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত সহযোদ্ধার লাশের মূল্য আর কতটুকু.... এ মৃত্যু কাম্য নয়--------------------- সড়ক দূর্ঘটনা !! মৃত্যু কত সহজ হয়ে যাচ্ছে আজকাল....
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।