আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

জানি আমি তোমার দু'চোখ আজ আমাকে খোঁজে না আর পৃথিবীর পরে

আজ ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। গঙ্গা নদীর ওপর ভারত কর্তৃক বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রতিবাদে ওই লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। গঙ্গা নদীর পানি অনত্র্য সরিয়ে নেয়ার জন্য ভারত বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১৯৬৪ সালে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ শুরু করে এবং ১৯৭৪ সালে পরীক্ষামূলকবাবে চালুর কথা বলে এ বাঁধ চালু করে। পরীক্ষামূলকবাবে চালুর কথা বললেও পরে ভারত আর কখনো এ নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করে নেয়া বন্ধ করেনি।

বাংলাদেশের সব দাবি উপেক্ষা করে এবং আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে ভারত এ কাজ চালিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একটি নদী একাধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হলে ভাটির দেশের অনুমতি ছাড়া উজানের কোনো দেশ ওই নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করতে পারে না। গঙ্গা বাঁধ নির্মানের পর উত্তরাঞ্চলে শুরু হয় মরুকরণ প্রক্রিয়া। ফারাক্কা বাঁধের ফলে এভাবে পানি সরিয়ে নেয়ায় বাংলাদেশের ভবিষৎ ভয়াবহ পরিণতি উপলাব্ধি করে এর প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন জননেতা মওলানা ভাসানী। সারাদেশের মানুষকে ফারাক্কা বাঁধের মরণ প্রবাব সম্পর্কে সচেতন করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য জননেতা মওলানা ভাসানী ডাক দেন ঐতিহাসিক লংমার্চের।

লংমার্চের আগে তিনি তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে চিঠি লেখেন লংমার্চের উদ্দেশ্য অবহিত করে। ১৯৭৬ সালের ১৬ মে সকালে রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দান তেকে শুরু হয় লংমার্চ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে পরের দিন সোনা মসজিদে এ মিছিল শেষ হয়। এর আগে সারাদেশ থেকে লাখো লাখো মানুষ জড়ো হতে থাকে রাজশাহীতে। লংমার্চ শুরুর আগে মওলানা ভাসানী রাজশাহী মাদ্রাসা ময়দানে তার জীবনের শেষ ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। মওলানা ভাসানী লংমার্চে নেতৃত্ব দেয়ার ছয় মাস পর ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন।

দিবসটি পালনে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।