আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“আমরা আর বন্দি থাকতে চাই না’- কাঁদে পাহাড়ের বাঙালীরা

সাগর সরওয়ার

পার্বত্য চট্টগ্রামের গুচ্ছগ্রামের বাঙ্গালীরা বলছেন, “আমরা আর বন্দি থাকতে চাই না। আমাদের নিজ নিজ ভিটা ফিরিয়ে দিন। সেখানেই আমরা চাষাবাদ করে জীবন ধারন করবো। এভাবে ধুঁকে ধুঁকে সরকারি রেশন নিয়ে আমরা আর বাচঁতে চাই না। ” গুচ্ছগ্রাম মানেই থোকা-থোকা, গুচ্ছ- গুচ্ছ দু:খ।

খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং রাঙ্গামাটির অভিবাসী বাঙ্গালীরা রয়েছেন চরম দূর্দশার মধ্যে। তিন পার্বত্য জেলার গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারি রেশননির্ভর বাঙালী পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোন পরিকল্পনা না থাকায় তারা এখন কর্মহীন অলস জীবনযাপন করছে। অর্থনৈতিকভাবে চরম সংকটে ভূগছে তারা। বিভিন্ন সময়ে তাদের অনেককে দিয়ে জোড় করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করিয়ে্যে একটি মহল। বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় সরেজমিনে বেশ কয়েকটি বাঙ্গালী গুচ্ছগ্রাম পরির্দশনে গিয়েছিলাম।

সেখানে গিয়ে দেখেছি, কর্মহীন গুচ্ছগ্রামবাসীর কঠিন ও কষ্টকর জীবনচিত্র। তৎকালীন আমল থেকে রেশনিং ব্যবস্থা এবং বিরাজিত পরিস্থিতির কারণে গুচ্ছগ্রামের সীমাবদ্ধ জীবনযাপন ও জীবন মানের অনুন্নত একগুয়েঁমি ধারার সৃষ্টি করেছে। পাহাড়ী এলাকায় নির্ধারিত কর্মসংস্থানের অভাবে খয়রাতি রেশন নির্ভর পরিবারগুলি অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শিক্ষা সংস্কৃতিসহ নানাভাবে সামাজিক সচেতনতা হারাচ্ছে ক্রমান্বয়ে। সেনা ক্যাম্পের সঙ্গে থাকে অবরুদ্ধ জীবন প্রতিটি গুচ্ছগ্রাম গড়ে উঠেছে সেনাবাহিনীর স্থায়ী বা অস্থায়ী ক্যাম্প কে কেন্দ্র করে। নিরাপত্তা প্রশ্নেই এই ব্যবস্থা করেছে সরকার।

অনুসন্ধানে জানতে পারলাম, গুচ্ছগ্রামের অধিবাসীরা এখন রয়েছেন এক অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে। ১৯৮০ থেকে ৮৩ সালের দিকে ব্যাপক হারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাঙ্গালীদের এ এলাকায় নিয়ে আসা হয়। এ সময়ের মধ্যে তাদের কে বিভিন্ন পাহাড়ী খাস জমি দেযা হলেও ১৯৮৬ সালের দিকে দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর তাদের কে নিয়ে আসা হয় সেনা ক্যাম্প কেন্দ্রিক পাহাড়গুলোতে। তখন থেকেই এ গুচ্ছগ্রামের অধিবাসী বাঙ্গালীদের দেযা হচ্ছে সরকারি রেশন। এখন পরিবার প্রতি প্রতি মাসে তারা রেশন পাচ্ছেন ৮৫ কেজি চাল।

তবে অনিয়মিত এ রেশন নিয়ে গুচ্ছ গ্রামের শতকরা ৮০ভাগ লোক রয়েছেন চরম সমস্যার মধ্যে। বাকী ২০ ভাগ লোক এই রেশনিং ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলেছে স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভের রেশন ব্যবসা। ভুয়াছড়ি গুচ্ছগ্রামের রাজশাহী টিলার অধিবাসী বৃদ্ধ আয়েশউদ্দিন আমাকে জানালেন, “এ ব্যবসায়িক কর্মকান্ড যারা করছেন তাদের মধ্যে গুচ্ছগ্রামের লিডার মাতব্বররাই রয়েছেন বেশী। দরিদ্র গুচ্ছগ্রামবাসীর দৈন্যতার সুযোগে এরা উপকারের নামে হাত বাড়ায় এবং রেশন কার্ডের মাসিক বরাদ্ধকৃত ৮৫ কেজি হতে প্রতি কেজি চাউল কিনে নেয় সাত টাকা কিংবা ৮ টাকায়। লিডার মাতবররাই নিরীহ রেশন কার্ডধারীদের বেচা কেনা করে পুঁজিপতি হচ্ছে।

রেশন ব্যবসা বন্ধের আশংকায় এদের অনেকেই চাননা গুচ্ছগ্রামবাসীর জীবন মান উন্নত হোক। ” তবে এ কথা স্বীকার করেন না শালবন গুচ্ছগ্রামের প্রজেক্ট চেয়ারম্যান ওয়ার্ড কমিশনার হোসেনের । তার বক্তব্য, “অনিয়মিত ভাবে রেশন আসায় প্রায় সকলে আর্থিক অসুবিধার কারণে আগাম রেশন বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে বড় ধরনের কোন ব্যবসা হয় না। বরঞ্চ গুচ্ছগ্রামবাসীর উপকার হয়।

” জানা গেছে, গুচ্ছগ্রামবাসীর জন্য সরকার প্রদত্ত খয়রাতি রেশনের মাসিক বরাদ্ধ ২২৩০ দশমিক ৫৮৬ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য। সর্বসাকুল্যে এইখাতে সরকারের বাৎসরিক ব্যয় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। তাহাদের শিক্ষা আমি যখন সেখানে গেলাম, সেখানে দেখা হলো আরেকজনের সঙ্গে । ভুয়াছড়ি গুচ্ছগ্রামের এসএসসি পাশ করা শামিম আহমেদ তখন একটি এনজিওর স্যাটেলাইট স্কুল চালাচ্ছে। ওয়ান ম্যান শো।

একাই শিক্ষক, আরদালি, পিয়ন হেড মাস্টার। সে জানালো, “এই গ্রামে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা খুব কম। প্রাথমিক শিক্ষা এখন বাধ্যতামুলক হওয়ায় আমরা বিশেষ স্কুলের আওতায় ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষা দিচ্ছে সে। এখানকার মানুষের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারছেনা। এখানে কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ নেই।

আয়ের উৎস নেই, একমাত্র সরকার প্রদত্ত রেশনই সবকিছু। ” এ এক বন্দি জীবন শালবন জিয়ানগর গুচ্ছগ্রামের অধিবাসী মোহাম্মদ হানিফ জানান, “সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তি করার পর আমরা ভেবেছিলাম নিজ নিজ ভিটায় ফিরে যাবো । কিন্তু তা হচ্ছেনা। গুচ্ছগ্রামগুলোয় এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগচ্ছে না। চুক্তির পর দরিদ্রগ্রামবাসীর অর্থনৈতিক সমস্যা এখনো কাটেনি।

” কথা প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম যিনি বাস করেন খাগড়াছড়ির বরিশাল টিলা গুচ্ছগ্রামে, তিনি জানান, “তারা তাদের পাশ্ববর্তী পাহাড়ী ঢালে থাকা চিলতে জমি উপজাতীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাৎসরিক বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ করে প্রাপ্ত ফসল বিক্রি করে পরিবার চালানোর অর্থ যোগান। কিন্ত পাহাড়ে আমাদের নিজস্ব জমি আছে সেখানে গিয়ে আমরা চাষাবাদ করতে পারিনা। গন্ডগোলের ভয়ে আমরা সেখানে যেতে পারি না। ” চোঙ্গরাছড়ি গুচ্ছগ্রামের করিম মিয়া, আবদুল হক, পাবলাখালির সাবের উদ্দিন, সাদেক আলী , নাজিমউদ্দিন সহ অনেক গুচ্ছগ্রামবাসী জানান, “তারা সরকার প্রদত্ত রেশনিং ব্যবস্থার পরিবর্তন পূর্বক কর্মসংস্থানের সুযোগ চান। তারা বলেছে, এ গুচ্ছগ্রামে তারা রয়েছেন বন্দি অবস্থায়।

এক সাথে অনেক লোক বাস করছেন এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। এই বন্দিদশা থেকে তারা মুক্তি চান। সরকারের এই রেশনিং ব্যবস্থায় বিকল্প কিছু করা হোক ;আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হোক। গুচ্ছগ্রাম নামক এলাকাটি সকলের কাছেই এক অসহনীয় নাম। এ অবস্থায় বেঁচে থাকা যায় না।

” যেখান থেকে শুরু প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলে যখন পার্বত্য চট্টগ্রাম ‘বিশেষ’ বা ‘উপজাতীয় এলাকা’র মর্যাদা ভোগ করত, তখনও এই পাহাড়ী অঞ্চলে বাঙালী বসতি ছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৪১ সালে ছিল ৯৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ পাহাড়ী ও দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বাঙালী। পাকিস্তান আমলে ১৯৫১ সালে জনসংখ্যার হার ছিল ৯১:৯ এবং ১৯৬১ সালে ৮৮:১২। কিন্তু পাকিস্তান আমলেই (১৯৬৪) সংবিধান পরিবর্তন করে বিশেষ বা উপজাতীয় মর্যাদা বাতিল এবং বাংলাদেশের সংবিধানে ‘বিশেষ সুবিধা’ নিশ্চিত না করায় বাঙালীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসতি স্থাপন করতে শুরু করে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৯৭৪ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি ছিল ৭৭ শতাংশ ও বাঙালী ২৩ শতাংশ।

শান্তিবাহিনীর বিদ্রোহ দমনের লক্ষ্যে সত্তুর দশকের শেষ দিক (১৯৭৯) থেকে আশির দশকের প্রথম (১৯৮২) পর্যন্ত তিন বছরে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় সমতল এলাকা থেকে বাঙালীদের নিয়ে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার ৮৮টি গ্রামে ৩১ হাজার ৬২০ পরিবারের এক লক্ষ ৩৬ হাজার ২৫৭ ব্যক্তিকে জায়গা-জমি দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়। এখন পরিবারগুলোর সংখ্যা আরও কয়েক হাজার বেড়ে গেছে। খাগড়াছড়ি জেলার মেরুং, মানিকছড়ি, পানছড়ি, রামগড়, আলুটিলা, মুসলিম পাড়া, অভ্যা, গৌরাঙ্গ পাড়া, লক্ষ্মীছড়ি, কমলছড়ি, বাবুছড়া ও সিন্দুকছড়ি, রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী, লংগদু , ঘাগড়া, বরকল, কাউখালী, বিলাইছড়ি, রাঙামাটি সদর, মারিশ্যা ও নানিয়াচর এবং বান্দরবান জেলার লামা ও আলীকদম প্রভৃতি এলাকায় তারা বসতি স্থাপন করে। এই বাঙালীরা ছিল মূলতঃ সমতল এলাকায় দরিদ্র ও নদীভাঙ্গা ভূমিহীন পরিবার। ১৯৮১ সালে পাহাড়ী ছিল ৫৮ দশমিক ছয় শতাংশ এবং বাঙালী ৪১ দশমিক চার শতাংশ।

বর্তমানে সর্বশেষ আদম শুমারি অনুসাবে এ এলাকায় রয়েছে ৫১ শতাংশ বাঙ্গালী এবং ৪৯ শতাংশ পাহাড়ী। বিরোধ এবং তীব্র বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারী উদ্যোগে বাঙালী পুনর্বাসন জনসংহতি সমিতি কখনও মেনে নেয়নি এবং এখনো তীব্র বিরোধী। সমিতি এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে বাঙালীদের যথা সম্মানে পার্বত্য এলাকার বাইরে পুনর্বাসনের দাবী জানান। তবে তাদের বক্তব্য হচ্ছে এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেছেন, “অনুপ্রবেশ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে বগুড়া, নোয়াখালী, চাঁদপুর ইত্যাদি জেলাসহ বিভিন্ন সমতল জেলাগুলোর সাথে খাগড়াছড়ির সরাসরি বাস সার্ভিস চালূ করা হয়েছে।

এ সকল জেলাগুলো থেকে পরিবারের কর্মক্ষম লোকেরা প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রামে আসে। আর তাদের জন্য প্রত্যেক উপজেলা সদরে রিক্সা চালানো, রাস্তা-ঘাট মেরামত ও নির্মাণ কাজ, দিন মজুরী সহ বিভিন্ন কর্মসংস্থানের নানা ব্যবস্থা করা হয়। কিছুদিন কাজ করার পর কিছু অর্থ সঞ্চিত হলে এবং এলাকার সাথে পরিচিত হলে পরবর্তীতে সমতল জেলা থেকে স্ব-স্ব পরিবার আনার ব্যবস্থা করা হয়। ” এ প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ির সাবেক এক সংসদ সদস্য ,বিএনপির , আমাকে বলেছিলেন, “বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে একজন নাগরিক দেশের ভোগলিক সীমা রেখার ভিতর যেকোন স্থানে অবাধ বসবাস ও জমি ক্রয়-বিক্রয়ে অধিকার সংরক্ষণ করেন। যেমনিভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের অন্য যেকোন স্থানে অবাধে এই নাগরিক অধিকার ভোগ করছে।

” তার মতে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালী অনুপ্রবেশ ঘটনোর জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে পরিবহন যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মূল্যায়ন করার তীব্র ক্ষোভও প্রতিবাদ জানান। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন “জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ ও পরিবহন ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক পরিমন্ডলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। পাহাড়ের উপজাতীয়রা উৎপাদিত পন্যের অপ্রত্যাশিত মূল্য লাভ করছে। ” {হায় রাজনীতিবিদ, আজ আপনাদের জন্যই আজ সাধারণ মানুষের এই হাল!} পুনর্বাসিত বাঙালীরা পাহাড়ীদের জায়গা-জমি দখল করায় তাদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয়রা আমাকে বলেন, ১৯৭৯ সালের পর পাহাড়ের টিলা ভূমিসহ তাহাদের দখলীয় বহু খাস জমি বাঙালীদের বন্দোবস্ত দেয়া হয়। সরকারী কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পূর্ণবার্সিত বাঙালীরা দলিল তৈরী করে জায়গা জমি দখল করে।

এ প্রকৃয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন রামগড় উপজেলার ২২৫ নং এবং ২০৯ নং বড় পিলাক মৌজার মংপসু মার্মা কারবারি এবং সাপ্রূ মার্মা। কিছুদিন আগে তারা খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কাছে এক লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছেন, তারা দীর্ঘদিন থেকে যে জায়গা জমি ভোগ দখল করতো এবং চাষবাস করে জীবন জীবিকা চালাতো তা এ বছরের মাঝামাঝিতে পূর্ণবাসিত বাঙ্গালীরা দখল করে নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলার একজন ভূমি কর্মকর্তা জানান, যে ভুমি প্রসঙ্গে এ অভিযোগ আনা হয়েছে সে ভুমি প্রকৃত অর্থে খাস এবং খালি ছিল। এখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় একটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাঙালী গুচ্ছগ্রামবাসীদের জীবণ জীবিকা প্রশ্নে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ করে জানা গেছে, প্রতিকূল অবস্থার কারণে তাদের ভবিষ্যৎ যেমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, তেমনি সেখানে বসবাস করা এখন তাদের জন্য জীবন-মরণ সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।

তারা এখন ফিরে যেতে চান তাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের নিজস্ব জায়গায়; যেখান থেকে তারা এসেছেন ১৯৮৮ সালে গড়ে তোলা গুচ্ছগ্রামে। কবে হবে এই কষ্টের শেষ এই ধরনের রাজনৈতিক এবং সামরিক সিদ্ধান্তের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষরা রয়েছেন, খুবই কষ্টের মধ্যে। মনের মাঝে কষ্ট, বুকে কষ্ট, জীবন চালাতে কষ্ট... এই কষ্টের কি শেষ নেই?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।