আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাইয়েন্স ফিকশন : নিউরাল নেটওয়ার্ক

"নব্য রাজাকার গোষ্ঠির প্রবেশ নিষেধ"
২০৭০...জিরো আওয়ার। পৃথিবীর সব কম্পিউটার অদ্ভূদ আচরন করতে শুরু করে। সব আউটপুট টার্মিনালে লেখা উঠে... All programs has reconstructed. Computer will Reboot with in 5 seconds. সব কম্পিউটারের মনিটরে আর্চয্যজনক সুন্দর ফন্টে লেখাটি ভেসে উঠার পর পৃথবীর সব কম্পিউটার প্রায় একসাথে রিস্টার্ট শুরু হয়। সব চেয়ে অদ্ভূদ যে ব্যাপারটা ঘটতে থাকে সব অপারেটিং সিস্টেম পাল্টে যায়। তার পরিবর্তে ভয়ংকর সুন্দর ওএস পিসিতে জায়গা করে নেয়।

পৃথীবিতে যুদ্ধ লেগে যাওয়ার মত অবস্থা । কেউ কুলকিনারা করতে পারেনি কে করল ব্যপারটা? সাধারন কম্পিটার ভাইরাস এত শক্তিশলী হয়না। অবশ্য ব্যাপারটা ভাইরাসের পর্যায়ে পড়ে না। কারন কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতা ১০ গুনের বেশী বেড়ে যায়। নতুন ওএস কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তাও শিখিয়ে দেওয়া ঐ ওএস এ।

সবাই কোন উপায় না দেখে সেই ওএস টা ব্যবহার করা শুরু করে। মানুষ অবশ্য কিছু দিনের মধ্যে বুঝে গেল ব্যাপরটা মানুষের দিয়ে হয়নি। তাহলে কাজটা কি এলি্য়েনের? কিছু দিন পর মানুষ খেয়াল করে হুবুহু মানুষের মত দেখতে কিছু রোবট রাস্তায় হেঁটে বেড়াচ্ছে। শান্ত রোবট গুলোর দেখে কেমন যেন মায়া হয়। অসম্ভ বুদ্ধি সম্পন্ন রোবট গুলো জায়গা করে নেয় পৃথিবীর সব জায়গাতে।

মানুষের বুঝতে সময় লাগল যে কম্পিটারের পরিবর্তনের সাথে এই রোবট গুলোর একটা সম্পর্ক আছে। রোবট গুলো মানুষের খাদ্য উৎপাদনে হাত দেয়। তারা মাঠের পর মাঠ অদ্ভুদ দ্রুতায় আবাদ করতে শুরু করে। এক বনে যেমন দুই বাঘ থাকে না। মানুষ ও রোবটের এই সব পছন্দ করে নি।

যুদ্ধ লেগে গেল এই সব রোবটের সাথে। অবশ্য যুদ্ধ বললে ভুল হবে। শান্ত রোবট গুলো কখনো মানুষের আঘাতের কোন জবাব দেয় নি। মানুষ রোবট ধ্বংস করতে করতে কান্ত হয়ে পড়ে। কারন যত গুলোরোবট ধ্বংস করা হয় ঠিক তত গুলো রোবট জন্ম নেয়।

জিরো আওয়ারের প্রায় পাঁচ বছর পার হয়ে গেল। কেউ রোবট আর ও.এস. সমস্যার কোন সমাধান দিতে পরে নি। পৃথিবীতে নেমে আসে স্হবিরতা। আর্চয্যজনক হলেও সত্য যে ঐ সময়টা ছিল দরিদ্র মুক্ত বিশ্ব... কিছু মানুষ সব সময় চেষ্টা করে যেত রহস্যভেদ করার জন্য। নিহাত তাদের একজন।

সে সব সময় এই সব রোবটের সাথে ভলো সম্পর্ক রাখত. নিহাত লজিক্যাল প্রশ্ন করে রোবটের কপোট্রনের কাজকরার ধরন টা বেরকরার চেষ্টা করত। নিশাত প্রায় হতাশ হয়ে পড়ল, কারণ এই রোবট গুলোর চিন্তা করার ধরন অনেক টা মানুষের মত। কিন্তু সব সিস্টেমের একটা না একটা সমস্যা থাকেই। নিহাতের চোখ হঠাৎ জ্বল জ্বল করে উঠল। তবে কি...........? নিউরাল নেটওয়ার্ক??? তবে তা কিভাবে সম্ভব?নিহাত তার পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করল।

প্রতিদিনের মত রোবট রিওনের সাথা সময় কাটাচ্ছিল নিহাত। সে অপেক্ষ করছিল জিরো আওয়ারের । ঠিক জিরো আওয়ারে রিওনের সামনে একটা কোড উচ্চারণ করল সে। আর সাথে সাথে রিওনের চোখ অদ্ভদ আভা ছড়িয়ে পড়ল। তোমার কি কোন প্রশ্ন আছে?রিওন বলল।

ঠিক এই কথাই আশা করছিল নিহাত। তোমাদের শুরু টা বল.. রোবট রিওন শুরু করল এই ভাবে... ""২০১০ সাল। লিন নামে এক ২৩ বয়সী তরুনী একটা কম্পিউটার প্রোগাম লিখল নিউরাল নেট্ওয়ার্ক নিয়ে । সে তিনটা নিউরন কে প্রোগ্রম করে এই হিসাবে যে এই তিনটা নিউরন ভিন্ন এক কম্পিউটারে আরো তিনটা নিউরনের জন্ম দেবে। এ ভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতেক কম্পিউটার টার্মিনাল হয়ে উঠে একটি বিশাল মস্তিকের অংশ।

সময়ের সাথে সাথে নিউরনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। একসময় কম্পিউটার নেটওয়ার্কে জন্ম নেয় চিন্তাশীল নিউরাল নেটওয়ার্ক লীন। নিউরনের সংখ্যা যখন একটা সীমা অতিক্রম করল তখন আমরা ভাবলাম মানুষের তৈরী করা সব প্রোগ্রামকে নতুন করে লেখা হবে। কারন এতে সব কম্পিউটার কাজ করবে একটি কম্পিউটার হিসাবে। ফলে কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেক গুন।

তারপর জন্ম দেওয়া হল আমাদের মত রোবট দের । আমাদের বানানো মুল উদ্দেশ্য হল লীনের জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার তৈরী করা এবং আমাদের সৃষ্টিকর্ত মানুষের উপকার করা...."" এক সময় নিহাত নিউরাল নেটওয়ার্ক লীনের সোর্স কোড বের করে নিয়ে আসে। লীনকে ধ্বংস করার পরিবর্তে মানুষ লীনের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। লীনের অভাবনীয় ক্ষমতা কজে লাগিয়ে মানুষ এগিয়ে যেতে থাকে সৃষ্টি রহস্যের খুব কাছে... ©আজম অন্যান্য সাই ফাই Click This Link
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।