আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারুণ্য জয় না নিয়ে ফেরে, এটা হয়?

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যখন সাংবাদিক, তখন কালোবাজারির মালিকদের বানানো গণমাধ্যম ডেড হয়ে যায়। দুর্নীতিগ্রস্থ পুলিশি তদন্তের প্রতি মানুষ আর বিশ্বাস রাখে না। ঔপনিবেশ তাড়িত বিচার বিভাগের বার্ধক্যপীড়িত আইনও বুঝতে ব্যর্থ হয়, তারুণ্য কোন দিকে ধাবমান? তাই কাদের মোল্লার রায় কী হওয়া উচিৎ, বুড়োরা অনুধাবন করতে পারে না, তারুণ্য বুড়োদের রায় অস্বীকার করে। প্রতিষ্ঠানে বসা মানুষগুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বসে যতই ভাবুক, তারা বুঝি বাইরেরও বাতাস কন্ট্রোল করছেন, তা কি সত্য? তাহলে শাহবাগ-ইতিহাস তৈরি হতো না। অনেক ডেড মানুষও দেখি শাহবাগে আসছেন, সমবেত তারুণ্যের স্পর্শে বসে ফের প্রাণ নিয়ে ঘরে ফিরছেন।

গিয়ে ফেসবুকে লিখছেন, 'দেখে এলাম শাহবাগ' 'ঘুরে এলাম শাহবাগ'। এটা খারাপ না। ডেডমানুষগুলো তবু প্রাণে বাঁচুক। অন্যদিকে হাজার হাজার তরুণেরা আসছে, শাহবাগে আরো প্রাণ ঢালতে। শাহবাগ অন্যায়কে মেনে না নেবার দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে।

এটা একটা বড় অর্জন। ব্লগার-ভার্চুয়াল কমিউনিটির শক্তি বাড়ছে। ডেডদের হুঁশ হচ্ছে যে, তারা ডেড। আর দূরে বসে যারা শাহবাগকে কটাক্ষ করছেন বা জ্ঞান দিচ্ছেন, এই তারুণ্য আপনাদের পোছে না। এই তারুণ্য বাংলাদেশের বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষদের সন্তান।

বুঝতে ভুল করবেন না, এই তারুণ্য সারাদেশের সঙ্গে যুক্ত, কোনো টেন্ডারবাজি এই তারুণ্যের পেশা নয়। বিকল্প চিন্তার ছাগল হতে চাইলে কেউ হতেই পারেন, কিন্তু শাহবাগ নিয়ে অভিসন্ধমূলক কথা ছুড়বেন না, কটাক্ষ করবেন না। শাহবাগ তারুণ্যের রাজধানী। শাহবাগের তারুণ্যই পাহারা দেবে গোটা বাংলাদেশ, এটা ভুলে যাওয়া মানে আপনি কালোবাজারির টাকায় প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমে প্রেসরিলিজ সাংবাদিতা করেন-পড়েন কিম্বা আলোচনায় মত্ত থাকেন, ভার্চুয়াল ওয়াল্ডের শক্তির খবর রাখেন না। তারুণ্য জয় না নিয়ে ফেরে, এটা হয়? জয় জনতা, জয় নিখিল মানুষ, জয় বাংলা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।