আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি

দেশের ওষুধের দোকানগুলোতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অবাধে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। ওষুধ দোকানিদের কাছ থেকে ক্রেতারা সর্দি, জ্বর, ব্যথা ইত্যাদি নানা রোগের কথা বলে ওষুধ কিনছে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই কেনা যায় ঘুম ও নেশাজাতীয় ওষুধ। উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনতেও কারও বেগ পেতে হয় না। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি সেবনকারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন বাড়াচ্ছে তেমন হত্যা, আত্দহত্যা, অপহরণ ও মাদক গ্রহণের মতো ঘটনাও নিত্য-নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী দেশের ফার্মেসিগুলোতে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি হয় প্রায় ৮৭ ভাগ ওষুধ। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ফার্মেসিগুলো তা মানছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন মারাত্দক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। অ্যাজমা, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন গুরুতর রোগের রোগীদের ক্ষেত্রে পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ফার্মেসি থেকে যক্ষ্মা, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিল রোগের ওষুধও কেনা যায় সহজে। সম্প্রতি রাজধানীতে এক পুলিশ দম্পতি খুন হয়েছেন তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশীর হাতে। বাবা-মাকে খুনের আগে সে তাদের জন্য কফি বানায় এবং তাতে উচ্চমাত্রার ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। এ ঘুমের ওষুধ কেনা হয়েছিল চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। অভিজ্ঞজনদের মতে, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রির জন্য কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় ঐশীর পক্ষে উচ্চমাত্রার ঘুমের ওষুধ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছিল। সারা দেশে ঘুমের ওষুধ বা চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহার করে চুরি, ডাকাতি, অপহরণ এমনকি হত্যার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। আত্দহত্যার ঘটনাও কম নয়। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রির ঘটনা জনস্বাস্থ্যের জন্য যেমন হুমকি সৃষ্টি করছে তেমনি আইনশৃঙ্খলার জন্য ডেকে আনছে বিড়ম্বনা। এ অবস্থায় যখন ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রির ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপের দাবি জোরদার হচ্ছে, তখন শোনা যাচ্ছে নতুন ওষুধ নীতিতে নেশাখোর ও অপরাধীদের কার্যত আরও বেশি ছাড় দেওয়ারই পাঁয়তারা চলছে। আমরা জানি না এ অভিযোগ কতটা সত্য। এর ফলে ঘুম ও নেশাজাতীয় ওষুধ আরও সহজপ্রাপ্য হয়ে উঠবে। দানা বেঁধে উঠবে অপরাধপ্রবণতা। আমরা জানি না ওষুধনীতি প্রণেতারা কার স্বার্থ রক্ষায় এমন উদার হওয়ার পথে এগুচ্ছেন! এ বিষয়ে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা নজর দিলেই ভালো করবেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.