আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইনকাম ট্যাক্স (আদায়) বাড়ানোর চিপাবুদ্ধি- ২

বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........

আগের পর্ব দেখুন Click This Link ট্যাক্স ফাঁকি আসলে কারা দেয়? যাদের টাকা আছে তারাই তো, খুব সিম্পল উত্তর। তাই এসব ফাঁকিবাজদের চিহ্নিত করতে হলে সেইসব জায়গায় হাত দিতে হবে মানুষ হাতে পয়সা হলে যেসব না করে পারেনা। চিপাবুদ্ধি ১. দামী মোবাইল যেমন, ২০০০০ টাকার অধিক মূল্যমানের সকল মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীকে IMEI নম্বর দিয়ে ট্র্যাক করে তাদের নিজেদের অথবা অভিবাবকদের আয়ের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে হবে। দেশের সবকটি মোবাইল অপারেটরের পক্ষেই IMEI নম্বর দিয়ে দামী মডেলের মোবাইল ব্যবহারকারীদের আইডেন্টিফাই করা সম্ভব। ২. ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে অধ্যয়নকারী সকল ছাত্র-ছাত্রীর জন্য তাদের অভিবাবকদের টিন নাম্বার দাখিল করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

মাসে ২০০০ থেকে ২০০০০ টাকা বেতন দিয়ে ছেলে মেয়ে পড়িয়ে বছরে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ইনকাম না করার কোন কারণ থাকতে পারেনা। ৩. বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অভিবাবকের টিন নাম্বার উল্লেখ করতে হবে। দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন লাখের উপরে ছাত্র-ছাত্রী পড়ে। এ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেতন এবং অন্যান্য চার্জ হিসাব করলে মোটামুটি স্বচ্ছল না হলে এখানে কারো পক্ষে ছেলে-মেয়ে পড়ানো সম্ভব না। ৪. যেকোন ধরণের ক্রেডিটা কার্ড এবং ডেবিট কার্ডের জন্য টিন নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

কার্ডের বার্ষিক স্টেটমেন্ট নিলেই একজন লোকের বার্ষিক আয়-ব্যায়ের একটা ধারণা পাওয়া যাবে। সেটার সাথে তার ট্যাক্স অথরিটিতে দাখিলকৃত স্টেটমেন্ট না মিললেই.......ক্যাঁক করে ধরতে হবে। ৫. অভিজাত ক্লাবগুলোর মেম্বারদের বিগত বছরগুলো ট্যাক্স দেয়ার হিসাব নিতে হবে। সাথে সাথে থ্রী স্টার/ফাইভ স্টার হোটেল, রেস্ট হাউজের অতিথিদের যেসব ইনফরমেশন এন্ট্রির সময় দিতে হয় তার সাথে টিন নাম্বার যোগ করা যেতে পারে। আপাততঃ এইগুলাই, পাবলিকের সহযোগিতা পেলে আরো আপডেট করা হইবেক।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।