আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইনকাম ট্যাক্স (আদায়) বাড়ানোর চিপাবুদ্ধি- ১

বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........

। । সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ইহা একটি অতি সিরিয়াস পোস্ট! ফান পোস্ট মনে করিয়া পড়ার পর মজা না পাইয়া গালাগালি করিলে লেখক দায়ী থাকিবেনা। । লালু, ভুলু, সালু, ফালু, কালু.....(লিস্টি অনেক বড়, নিজেদের মত বুইঝা লন) যত নিকৃষ্টই হোক তারা কিন্তু আমাদের এমপি।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তারপর ধরেন বড় কোন নেতা হঠাৎ কইরা মইরা গেলে তার গন্ডমূর্খ-বোকচোদ-আবাল বউরে দেখি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদ আলোকিত করতে। মনে খালি প্রশ্ন জাগে হালার জনগণ এইরকম ক্যান? এরা কি জ্ঞান-বুদ্ধি সবকিছুর মাথা খাইয়া ভোট দেয়? বহুদিন এই প্রশ্নের জুৎসই উত্তর পাই নাই। কয়দিন আগে লন্ডন থেইকা আমার এক স্কুলের দোস্ত আসলো। সে দারুণ একটা উত্তর দিলো! কারণ খুব সোজা, কারণ চো***** বাঙালী ট্যাক্স দেয় না! এর জন্যই দেশের টাকা কে কিভাবে খরচ করবো তা নিয়া তাদের কোন মাথা ব্যথা নাই।

যদি নিজেদের কষ্টার্জিত ঘামে ভেজা ইনকাম থেকে বছর বছর মোটা অংকের ট্যাক্স দেয়া লাগতো তাহলে ভোট দেওয়ার আগে হাজার বার চিন্তা করতো। হালের বিশ্বমন্দার প্রভাবে দেশের রপ্তানী আয়ে ঘাটতি, রেমিটেন্সেও টান লাগলো বলে। তাই এখন একমাত্র ভরসা আভ্যন্তরীণ উৎস হতে আয় বাড়ানো। আর আভ্যন্তরীণ সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে ইনকাম ট্যাক্স। ১৫ কোটি মানুষের দেশে নিয়মিত ট্যাক্স দেয়া লোকের সংখ্যা লাখ খানেক হবে বড়জোর।

আর যারা দেয় তারাও বহু ফাঁকিঝুকি দিয়ে তারপর দেয়। সুতরাং দেশকে বাঁচাতে হলে এখন আমাদের ট্যাক্স দেয়া লোকের সংখ্যা যেমন বাড়াতে হবে তেমনি যারা ট্যাক্স দেয় তাদেরকেও প্রকৃত আয়ের ভিত্তিতে ট্যাক্স দিতে বাধ্য করতে হবে। উপরের সুন্দর সুন্দর কথাগুলো সবাই জানে কিন্তু যেটা জানেনা কিভাবে এটা বাস্তবে পরিণত করতে হবে। বাঙালী কবে আর সোজা আঙুলে ঘি উঠতে দিয়েছে? তাই তো সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছে জানজাবিদের চিপাবুদ্ধি! প্রথম কাজ প্রথমে RAB এর মত একটা বাহিনী গঠন করতে হবে অন্তত: ৫০০০ সদস্যের। এরা পুরোপুরি সিভিলিয়ানও হবেনা আবার আইন শৃংখলা বাহিনীর অংশও হবেনা।

এদের কাছে হালকা অস্ত্র যেমন পিস্তল-টিস্তল থাকবে, প্রয়োজনে আত্নরক্ষা এবং বেয়াড়া লোকজনকে ঢিট করার জন্য। এই লেখার সুবিধার্থে এই বাহিনীর নাম দিলাম TRA (Tax Realization Agency). চিপাবুদ্ধি ১. সকল গাড়ির মালিকের জন্য টিন নম্বর এবং বিগত বছরের ইনকাম ট্যাক্স প্রদাণের রশিদ সাথে রাখা বাধ্যতামূলক। না পাওয়া গেলে অথবা গাড়ির মডেল অনুযায়ী আয়কর প্রদাণ সন্তোষজনক না হলে গাড়ি সিজ করে নিয়ে যাবে TRA. ট্যাক্স দিয়ে তারপর গাড়ি ছাড়িয়ে আনতে হবে নাহলে গাড়ি নিলামে বিক্রি করে পাওনা ট্যাক্স আদায় করা হবে। .....হু হা হা হা ২. সকল বাড়ির/এপার্টমেন্টের মালিককে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং আরো যত বিল আছে সেগুলো জমা দেয়ার সময় ঐ দুটো ডকুমেন্ট (টিন নম্বর এবং বিগত বছরের ইনকাম ট্যাক্স প্রদাণের রশিদ) দেখাতে হবে। দেখাতে না পারলে বিল জমা নেয়া হবেনা, আরো কিছু দিন পর পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদির লাইন কেটে দেয়া হবে।

এরপরও পাওনা ট্যাক্স না দিলে নিলাম ডেকে বাড়ি বিক্রি করে দেয়া হবে......হু হা হা হা ৩. মোটা অংকের ব্যাংক ব্যালেন্স যাদের আছে (ধরা যাক ১০ লাখ টাকার উপর) তাদের প্রত্যেকের টিন নম্বর এবং বিগত বছরের ইনকাম ট্যাক্স প্রদাণের রশিদ ব্যাংক কতৃপক্ষের কাছে জমা রাখা বাধ্যতামূলক। শুধু অবসরপ্রাপ্তদের ছাড় দেয়া যেতে পারে। ডকুমেন্ট না পাওয়া গেলে TRA অফিসে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে, পাওনা ট্যাক্স দিয়ে তারপর ছুটি। নাহলে একাউন্টের সমস্ত টাকা.....হু হা হা হা ৪. বিদেশ ভ্রমণেচ্ছু যাত্রীদেরকে বিমান বন্দরে ইনকাম ট্যাক্স প্রদাণের কাগজপত্র দেখাতে হবে। মচ্ছব করতে থাইল্যান্ড/মালয়েশিয়া যায় অথচ বছরে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা কামায় না এইটা হইতেই পারেনা।

ট্যাক্স না দিয়ে থাকলে অন দ্যা স্পট সবকিছু ক্লিয়ার করে তবে বিমানে উঠতে দেবে TRAর লোকজন নতুবা ঘরের ছেলে ঘরে ফেরত পাঠানো হবে......হু হা হা হা (অবশ্য কাজের জন্য যারা বিদেশ যাচ্ছেন বা হজ্বযাত্রীদের জন্য এটা প্রযোজ্য হবেনা) আগামী পর্বে সমাপ‌্য

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।