আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক ভুয়া সাফল্যর ফিরিস্তি



এরশাদ আমলের একটা স্বরনীয় ঘটনা ছিল। বাংলাদেশের অনুর্ধ ১৪ ফুটবল দলের গোথিয়া কাপ জয়। এরশাদের বউ রওশন এরশাদ সোনার ছেলেদের মিষ্টি মুখ করিয়ে একেক জন খেলোয়ার কে বিমান থেকে নামান। মনে আছে সেদিন থেকে এয়ার পোর্টে মিষ্টিমুখ করানো কালচারটা শুরু হয়। যাক সে সব কথা ।

যেটা বলতে চাচিছলাম সেটা হল। বাংলাদেশ দলের এই সাফ্যলের পিছে একটা জচ্চুরি ও প্রতারনা ছিল। সেটা আমরা প্রথমে বুঝতে পারি নাই। তখন আমি সার্ক ফুটবল খেলা দেখছিলাম জাতীয় স্টেডিয়ামে বসে সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ ছিল। হঠাৎ স্টেডিয়ামে অনেক লোক এক সংগে লাফিয়ে উঠলো ।

আমি দেখে টাসকি খেলাম। বুঝতে পারলাম না কেন লোকজন হঠাৎ লাফিয়ে উঠলো। গোল হয় নাই এমন কি কোন গোল মিস হয় নাই। দর্শক লাফিয়ে উঠছে কেন? এই প্রশ্নটা পাশে বসা এক দর্শক কে জিগ¦াসা করতেই সে বলল বাংলাদেশ গোথিয়া কাপে ব্রাজিল কে ২ হালি মানে ৮ গোল দিয়েছে। যার জন্য দর্শক সে খবর রেডিও মারফত জেনে লাফাচ্ছে।

আমি শুনে বিশ্বাসই করতে পারলাম না যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান ব্রাজিল এরকম ভাবে হারতে পারে আমাদের দেশের সাথে । পরে শুনলাম বাংলাদেশ অন্যান্য বাঘা বাঘা ফুটবল খেলুরে দেশকেও একই ভাবে হারিয়েছে। তাই বুকটা গর্বে ভরে গেল সেই সময়। কিন্তু বেশি দিন সেই গর্ব স্থায়ী হয় নাই । অল্প দিনের মাধ্যমে আমরা দেখলাম সেই গেমের ফাইনাল ম্যাচ।

সুইডেনের নরকপিন দল সম্ভবত ফাইনালে উঠেছিল এবং বাংলাদেশ ১-০ গোলে ম্যাচ জিতেছিল। টিভিতে দেখলাম বাংলাদেশ যাদের সাথে খেলছে তারা নিতান্তই ছোট বাচ্চা টাইপের ছেলে। আকার আকৃতি সব কিছুতেই আমাদের দেশের ছেলেদের থেকে পিছিয়ে। আসলে আমাদের দেশের হয়ে যারা ঐ আসরে অংশ গ্রহন করে ছিল তারা ছিল বুইড়া ১৮-২২ বছরের যুবক। যেটা পরে প্রকাশ পেয়েছিল।

আর অন্য দেশ গুলি বয়সের বিষয়টা নিয়ে কোন প্রতারনার আশ্রয় নেয় নাই তাই বাংলাদেশের এই ভুয়া সাফল্য। তেমনি এক ভুয়া কম্পিউটার প্রোগরামিং প্রতিযোগিতায় ভুয়া সাফল্য দাবি করে এক ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিযোগিতাটার কি জানি নাম । এক মশা মারার ¯েপ্রর সাথে সাথে মিল আছে অনেকটা । ACI নাকি ACM ।

দুইটার একটা হবে হয়ত। যাক খোজ নিয়ে জানা গেল ঐসব আজে বাজে ভুয়া প্রতিযোগিতায় পৃথিবীর নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ছাত্ররা অংশ গ্রহন করে না। তাই বাংলাদেশ এসব প্রতিযোগিতায় সাফল্য পায় আর কি। মানে একটা ক্লাসে যদি তিন জন ছাত্র থাকে । তাহলে প্রতি রছর ঐ তিনজন ছাত্রই তো ফ্রাস্ট সেকেন্ড থার্ড হবে।

এতে কি কোন সন্দেহ আছে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।