আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড়ই যন্ত্রণায় আছি

রাজনীতি ও অর্থনীতি এই দুই সাপ পরস্পর পরস্পরকে লেজের দিক থেকে অনবরত খেয়ে যাচ্ছে

১. তারা ছিল আমাদের কাছে আদর্শ দম্পতি। ১৮ বছরের বিবাহিত জীবন তাদের। বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিল মেয়েটি। ছেলেটির চাকরি আছে নাম মাত্র, তাতে তাদের প্রায় বস্তির জীবন কাটাতে হয়েছে দীর্ঘদিন। অথচ মেয়েটি আজীবন থেকেছে বড় বাড়িতে।

মেয়েটির ভাই একদিন বোনকে দেখতে এসে গভীর হতাশা নিয়ে চলে গেছেন। তারপর তাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। স্বচ্ছল হয়েছে তারা। ছেলেটি ভাল চাকরি করে। দীর্ঘদিন বস্তির জীবন কাটাতে হয়েছে বলে অনেক বড় এক বাসায় থেকেছে তারা।

একটা পরীর মতো মেয়েও আছে তাদের। আমরা উদাহরণ দিতাম এই দম্পতিকে। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত আড্ডা দিয়েছি তাদের বাসায়। আর ছিল রাতে মুভি দেখা। সব মিলিয়ে অসাধারণ কিছু দিন-রাত কেটেছে আমাদের সেখানে।

তারপর বিয়ে করেছি। আড্ডার বাকি সঙ্গীরাও বিয়ে করে ফেলেছে। সবাই ব্যস্ত। সময় কমে গেছে। কিন্তু সম্পর্কটা নষ্ট হয়নি।

আমরা আগের মতোই বন্ধু ছিলাম। এমনও হয়েছে কয়েক মাস দেখা হয়নি, কথা হয়নি তারপরেও বন্ধুত্ব নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে ভাবীর ফোন। স্বভাবসূলভ ভাবে কিছু বলতে গিয়ে থমকে গেলাম। আমার সেই বন্ধু এক মাস ধরে বাসায় ফিরছে না।

থাকে আরেক মেয়ের সাথে। তারা সম্প্রতি কোলকাতায়ও ঘুরে এসেছে। বিয়ে করেনি, তবে একসাথেই থাকে। মেয়েটিকে সবাই চিনবেন। সঙ্গত কারণেই নাম বলছি না।

বেশ নাককরা একজন। তবে প্রেমে পড়ার মতো সে সংশয় আমার যথেষ্ট পরিমানে আছে। জীবনে সংসার ভাঙ্গা অনেক দেখেছি। কিন্তু এই ঘটনা আমাকে মোটামুটি স্তব্ধ করে দিয়েছে। আমি কিছুতেই মিলাতে পারছি না।

উপর থেকে যা দেখি তা কি একেবারেই সত্যি হয় না? আমাদের চারপাশের মানুষ, যাদের আপাতদৃষ্টিতে সুখী দেখি, হাসতে দেখি, স্বামীর গল্প করা স্ত্রী বা বউয়ের গল্প বলা স্বামীদের মনের মধ্যে আসলে কি থাকে? ২. এইবার আমার যন্ত্রণার কথা বলি। বউকে বললাম তাদের কাহিনী। নিজের পায়ে কুড়াল মারলাম বলা যায়। ছেলেদের নাকি বিশ্বাস নাই। করতে হয় না।

সকাল বেলা বেরিয়ে যাই, রাতে ফিরি। কই যাই, কোথায় যাই, কী করি-ইত্যাদি ইত্যাদি। বউ এখন আমারে দিনে ১০ বার ফোন করে। খোঁজ খবর নেয়। ফোন করে বলেই দেয় কেন ফোন করেছে।

কারো সাথে ফোনে কথা বললে দেখি আশপাশে ঘুর ঘুর করে। কয়দিন এরকম যন্ত্রণা সহ্য করছি। এবার আমিও পাল্টা যন্ত্রনা দেওয়া শুরু করছি। ক. আমার মোবাইলে একটাও মেয়েদের নাম্বার আর রাখি না। নাম্বার ঠিক আছে, নাম পাল্টে দিছি।

খ. কোথাও যাওয়ার আগে (অফিসের কাজে অবশ্যই) নিজেই ফোন করে বলে দেই বাইরে যাচ্ছি। গ. উল্টা ঝাড়িও মারা শুরু করছি। কাল সকালে দেখি সকালে রুটির সাথে পেপে ভাজি। পেপে আমি দেখতেই পারি না। বলে দিলাম যে, এই সব রান্না করলে আমিও কিন্তু সন্ধানে বের হইলাম।

পরে দোষ দিতে পারবা না। আগে ঝাড়িতে কাজ হইতো না। আজকাল হয় দেখতাছি। ৩. সব কিছুর মধ্যেই ভাল কিছু থাকে। আমি পোলাও পছন্দ করি।

আজকাল মাঝে মধ্যেই পোলাউ রান্না হয়। গরুর মাংস নাকি এই বয়সে খাওয়া ঠিক না। আজকাল তাও মাঝে মধ্যে পাই। গতরাতে ১১টার সময় বাসায় ফিরে পেলাম বাসায় বানানো চটপটি। ৪. কাল আমার বউয়ের জন্মদিন।

খালি ঝাড়ি মারলেই হয় না। সেইটা আমি বুঝি। কি করা যায় ভাবতাছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।