আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমীকরণ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান

এমন এক সমীকরণে পড়ে গেছে যে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যতটুকু আশা আছে তাও আবার অনেক যদির ওপর নির্ভর করছে। যেমন আজ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ যদি বড় ব্যবধানে পাকিস্তানকে হারাতে পারে তাহলেও চলবে না। অন্যদিকে ভারত ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচে যেকোনো একটি দলকে বড় ব্যবধানে হারতে হবে। আসলে এমন সম্ভাবনা পাকিস্তানেরও আছে।

কি যে হবে বলা মুশকিল। তবে এই ভাবতো আর টিকে থাকার আশা করা যায় না। এমনও হতে পারে নিজেদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে ভারত ও নেপাল পাতানো খেলা খেলে ড্র করল। এমনতো অহরহ হচ্ছে। সুতরাং পাতানো ম্যাচ হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এতকিছু হিসাব-নিকাশের দরকার হতো না যদি মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেত। কপাল খারাপ থাকলে যা হয়, বাংলাদেশতো ম্যাচ প্রায় জিতেই গিয়েছিল। ইনজুরি টাইমে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের বিপর্যয় নেমে আসে।

যে কোনো ম্যাচে জয়-পরাজয় বা ড্র স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু মঙ্গলবারের ফলাফলকে ড্র বললে ভুল হবে।

শ্রীলঙ্কা রেফারির পেরেরা নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব করে বাংলাদেশের নিশ্চিত জয় কেড়ে নিয়েছে। প্রশ্ন উঠতে পারে ফ্রি কিক থেকে ভারতের সুনীল ছেত্রীতো অসাধারণ গোল করেন। এখানে দোষতো দেওয়া যায় বাংলাদেশের ডিফেন্ডার বা গোলরক্ষককে। তারা ফ্রি কিকের সময় এমনভাবে গোল পোস্ট ফাঁকা রাখল কেন? হ্যাঁ দোষ দেওয়া যাবে ঠিকই। কিন্তু যে ফাউলে ভারত ফ্রি কিক পেয়েছিল তা সঠিক ছিল না।

এমনিতেই পেরেরা ও দুই সহকারী রেফারি অধিকাংশ সময় ভারতের পক্ষ নেন। তারপর আবার এমন কোনো সময় নষ্ট হয়নি যে অতিরিক্ত চার মিনিট বেশি খেলাতে হবে। আর ফাউল, মাঠে কিন্তু স্পষ্ট দেখা গেল দুই দলের খেলোয়াড়ই একে অপরকে ট্রাকেল করার চেষ্টা চালান। ভালো কথা বাংলাদেশ যদি ফাউল করে থাকে তাহলেতো রেফারির উচিত ছিল পেনাল্টি ধরা। কারণ ধাক্কাধাক্কি হয়েছেতো ডি-বঙ্রে ভেতর।

সত্যি রেফারি কি কারণে সেদিন ভারতের পক্ষ নিয়েছিল তা রহস্য থেকে গেলেও ফুটবলে যদি এমনভাবে একটা দলের জয় যদি কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে অযথা আর ৯০ মিনিট খেলানো দরকার কি? এর চেয়ে বরং তাদের পছন্দের দলকে আগেই বিজয়ী ঘোষণা করা হোক। শ্রীলঙ্কা এ টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হলে তাদের কিছু যায় আসবে না। কিন্তু পেরেরা যে বাংলাদেশের বিশাল ক্ষতি করে দিয়েছেন তা কি তিনি জানেন। মালদ্বীপের কাছে ১০ গোল খাওয়ার পর বুঝা গেছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলঙ্কা এবার কতদূর যেতে পারবে। ফুটবলে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশের এবার সাফে শিরোপাটা খুবই জরুরি।

বাফুফে সাধ্যমত সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণও চলেছে। এরপরও যদি বাংলাদেশ না পারে তাহলেতো কিছু করার নেই।

উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বলে এমিলিদের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। ভালো খেলাতে নেপালের প্রশংসাও করা হয়েছে।

খারাপ খেলে হারলে বা ড্র করলে কষ্ট থাকতো না। কিন্তু ন্যায্য জয় যদি কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে কি মানা যায়? এসবে এমনিতেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আছে মামুনুলরা। তাই এত সমীকরণকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। তাছাড়া টুর্নামেন্টের আগে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হলেও এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তান যে দুর্বল নয় তা প্রমাণ দিয়েছে দুই ম্যাচে। ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলেও দুর্ভাগ্যক্রমে আত্দঘাতী গোলে হার মেনেছে তারা।

নেপালের সঙ্গেও একই দশা। সারা ম্যাচে এগিয়ে থেকেও একেবারে শেষেরদিকে গোল হজম করে ম্যাচ ড্র করেছে। অর্থাৎ এবারে টুর্নামেন্টে পারফরম্যান্সে পাকিস্তানই এগিয়ে আছে। কিন্তু অতীত পরিসংখ্যানে আবার বাংলাদেশকেই ফেবারিট বলতে হয়। গতবার জয় ছাড়া বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বিদায় নিয়েছিল।

আজ অন্তত জয় নিয়েই মিশন শেষ করতে চাইবেন মামুনুলরা। দেখা যাক এমন জয় না এসে যায় যাতে বাংলাদেশের সেমিতে খেলার সম্ভাবনা জেগে উঠে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।