যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
অনেক দূর ছিল শহীদ মিনার। সাতবেলা, মানে কাকেরা ডাকাডাকি করার ভোরে ইটবিছানো রাস্তা অন্য রকম লাগতো। অন্য কোন দিন এত সকালে সে রাস্তায় যাওয়া হতো না বলে। অনেকের সাথে সাড়িবদ্ধ হেঁটে "আমি কি ভুলিতে পারি" এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যেতো। আমি তখন শহীদদের কবর ভাবতাম মিনারগুলোকে।
ভাষা শহীদদের কবর আমার বাড়ীর এত কাছে ভেবে বুকটা গর্বে ভরে যেতো।
ঋতু পাল্টেছে। সেইকালের সেই প্রভাত, শিশির, কুয়াশা এখন ফেব্রুয়ারী মাসে নেই। কিন্তু মিস করি। মিসফায়ার করে স্মৃতি।
ঢাকার প্রভাত-ফেরি লোকেলোকারন্য। ঢাকায় জাতিয় নানা স্মরণ দিবস পালনের সবচাইতে বড় গ্যাদারিংটা শহীদ মিনার ঘিরে। পলাশী থেকে হেঁটে হেঁটে যখন শহীদ মিনারে যাচ্ছিলাম তখনকার দৃশ্যগুলো এমন নানা রঙে বর্ণিল -
শহীদমিনারের মিনার অর্পন
বৃক্ষগুলো কোন শিল্পীর তুলির আচড়ে যেন..
লম্বা লাইন, কিন্তু বিরক্ত হচ্ছে না কেউ
সাদায় মোড়ানো শোক..
একটা মাত্র গোলাপ নিয়েছিলাম শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাতে
সড়কে আল্পনা
শহীদ মিনারটা এমনই দেখলাম প্রথম
উঠতে দেয় নাই বেদীতে
প্রাণের ভাষার প্রাণকেন্দ্র
থাকতে দিল না বেশীক্ষণ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।