আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোনটা পলির অাসল প্রেম কাহিনী ?



ইডেন কলেজে ছাত্রী পলি রানী হালদার এর হত্যা নিয়ে তিন পত্রিকার তিন রকম রির্পোট পড়ে টাসকি খাইলাম। আমাদের বাসায় আবার চারটা পত্রিকা রাখা হয় দৈনিক সমকাল, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক ভোরের কাগজ এবং দৈনিক আমাদের সময়। আমাদের সময় টা পড়ি নাই। ঘাতক প্রেমিক নাহিদ পলিকে গিফট দিবে বলে তার বাসায় যায় এবং এক পর্যায়ে হত্যা করে এ পযর্ন্ত ঠিক আছে উল্লেখিত চার পত্রিকায় কিন্তু অন্য তথ্য গুলি এতটাই বিভ্রান্তিকর যে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একেই বলে সংবাদ পত্রের কুফল ।

দৈনিক সমকাল লিখেছে তাজুল নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে পলির মোবাইল ফোন পায় নাহিদ। পলি প্রেমের নিবেদন জানায় নাহিদকে । নাহিদ হিন্দু মুসলমানের বৈষম্যর কথা উল্লেখ করে তা কাটাতে চায় কিন্তু পলি এসব কিছু ব্যপার না বলে প্রেম করে। অতপ:র সে পলি কে মোবাইলে টাকা পাঠায় এভাবে ঘনিষ্টতা বাড়ে। অত:পর পলির অন্য জায়গায় বিয়ের কথা শুনে নাহিদ পলিকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং বাসায় গিয়ে হত্যা করে।

দৈনিক ইত্তেফাক লেখছে সম্পূর্ন উল্টা। ইত্তেফাক এখানে লিখেছে নাহিদ পলিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় ও পরিশেষে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যত হওয়া এবং পলির অন্যজায়গায় বিয়ের মত থাকায় নাহিদ তাকে হত্যা করে। দৈনিক ভোরের কাগজ পলির সাথে চয়ন ও নাহিদ নামক দুই ছেলের সাথে একই সংঙ্গে প্রেম ছিল । পলি কে নানা রকম গিফট দিয়ে নাহিদ তার প্রেম কে শক্ত করে ফেলেছিল।

অবশেষে চয়ন পারিবারিক ভাবে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং তাতে পলির পরিবার ও পলি রাজি হয়। এতে নাহিদ ক্ষিপ্ত হয় এবং পলিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তিন পত্রিকার সারসংক্ষেপ এখানে। আমার প্রশ্ন এখন সাংবাদিক দের কাছে । আমি এই তিন রির্পোটের মধ্যে কোনটি নির্ভর যোগ্য মনে করবো।

উপরের হাইলাইট করা লিংক গুলি ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.