আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কথা বলা ছবি (৪) : যুদ্ধঅপরাধীদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষরযোদ্ধারা

http://www.myspace.com/423882880/music/songs/31785002
বইমেলার পশ্চিমে সংকীর্ণ ও নিরিবিলি একটি স্থানে, কাঁচাপাকা বাড়ির উঠোনে চলছিল গণস্বাক্ষর গ্রহণের কার্যক্রম। দর্শনার্থীদের চোখে পড়া মাত্রই স্বাক্ষর করতে এগিয়ে আসছে। গণস্বাক্ষরের ব্যানারটি চোখে পড়া মাত্রই সাহসে তাদের চোখ যেন চকচক করে ওঠে, শোক-শক্তি ও ক্রোধে দুআঙ্গুলের মধ্যে চেপে ধরে কলম! আমরা যতক্ষণ সেখানে ছিলাম, কাউকে ডাকিনি। ...আসেন ভাই, স্বাক্ষর দেন!! আসলে ডাকলে ডাকা যেত! আমি ব্যক্তিগতভাবে দল-মত নির্বিশেষে দেখেছি স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে স্বতঃস্ফুর্ততা, অপার অগ্রাহ! তারা বিশ্বারকরে, যুদ্ধঅপরাধীরা এখনও সক্রিয়, তারা এখনো মনে করে...যুদ্ধঅপরাধীদের শাস্তি হওয়া সম্ভব। একজন স্বাক্ষরদাতা বলেন, এটা করে কি হবে! আমরা বললাম, সবার চাওয়া এক করছি এবং যুদ্ধঅপরাধী শাস্তি ইস্যুটি জনমনে ছড়িয়ে দিতে চাইছি। স্বাক্ষরদাতা বললেন, সারা বাংলাদেশে হচ্ছে এটা? আমরা বললাম, ক্রমান্বয়ে হবে। ১ কোটিও বেশি লোকসংখ্যার ঢাকা থেকে জাস্ট যাত্রা শুরু করলাম। স্বাক্ষরদাতা বললেন, কে না চায় ওদের বিচার হোক! সবাই চায়। এখন সময় এসেছে এক্সিকিউট করার!! বইমেলার বাইরে গণস্বাক্ষরের ব্যানার কেন নেই জানিনা। একাডেমী তথ্যকেন্দ্র থেকে সস্তা ও জনপ্রিয় বইগুলোর প্রচার ঘোষণার পাশাপাশি কেন গণস্বাক্ষর কার্যক্রমের বিষয়টি প্রচার হচ্ছেনা, জানিনা! আমার ভাবতে ভালো লাগছে, বাংলাদেশের পনেরকোটিতম লোকটি যখন স্বাক্ষর দেয়া সম্পন্ন করবে তখন বাংলাদেশীরা হবে যুদ্ধঅপরাধীমুক্ত জাতি! আর যখন বিচারকার্য সম্পন্ন হবে তখন বাংলাদেশ হবে যুদ্ধঅপরাধীমুক্ত দেশ!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।