আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভ্যালেন্টাইন ডে'র গল্পঃ আমার উচ্চারন

মানুষ এবং মানুষ সম্পর্কে যাবতীয় বিষয়ে আমার দারুন আগ্রহ ……
মেয়েটা ভালোবাসতো ছেলেটাকে আর ছেলেটা মেয়েটাকে। দু' জনে কাজ করতো সিলিকন ভ্যালিতে- নতুন প্রজন্মের কম্পিউটার এর ভাষা কেমন হতে পারে- এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পে। ভীষন মেধাবী আর সৃস্টিশীল এ জুটি ল্যবের সবার কাছে খুব প্রিয়। দু' জনের হালকা দুষ্টুমি আর খুনসুটি- জটিল আর একঘেয়ে কাজের পরিবেশ কে লঘু করে তুলতো- সবাই তা উপভোগ করতো। দুনিয়ার যাবতীয় বিষয় নিয়ে রসিকতা করার বিরল এক প্রতিভা ছিলো মেয়েটার, আর একাজে তাকে যোগ্য সহযোগিতা দিয়ে যেত ছেলেটা।

শহরতলীর ছোটখাটো একটা ফ্লাটে তারা দু’জন থাকতো। ফ্লাটটা মুলতঃ মেয়েটার – যা বিগত কয়েক বছর যাবত হয়ে উঠেছিলো দু’ জনের একান্ত ঠিকানা। সিঙ্গেল স্টুডিও টাইপ ফ্লাটটাকে নিঁপুন হাতে গুছিয়ে নিয়েছিলো নিজদের মতো করে। ছোটখাটো নিটোল একটুকরো স্পেস- সব শেষ ইলেকট্রনিক গ্যাজেট দিয়ে ঠাসা। তাদের দু’ জনেরই ছিলো নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে ঘাটাঘাটি আর সে গুলোকে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার দিকে ঝোঁক।

দৈনন্দিন ব্যবহারের যত কিছু গ্যাজেট-ঘর আলো করা বা ঘরের তাপ নি্যন্ত্রন করার যন্ত্র থেকে শুরু করে কফি বানানোর মেশিন পর্যন্ত সব কিছুই প্রযুক্তি নির্ভর। গৃহস্থালীর কাজ অনেক শ্রম আর মনো্যোগ দাবী করে- এক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তিতে ব্যাপার গুলো অনেক সহজ হয়ে আসে। ঘড়ির সাথে তাল মিলিয়ে অষ্টপ্রহর এই বাসার পরিচালন হয় অতি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কিছু গ্যাজেট এর মাধ্যমে। তবে স্থায়ী কোন পদ্ধতি নয়, বরং আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি মুহুর্তের এগিয়ে যাওয়া আর সমাধান গুলো গ্যাজেটের নিয়ন্ত্রনকৌশলে অদল-বদলের কাজটা নিরন্তর ঘটিয়ে দিতো। যেমন এই মুহুর্তে তাদের গৃহস্থালীর যাবতীয় পরিচালনের কাজটা কন্ঠস্বরের প্রযুক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত।

এর আগে তাদের গৃহস্থালীর গ্যাজেট গুলো পরিচালনার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করতো তা নিয়ন্ত্রিত হতো স্পর্শ দিয়ে। দুজনের যে কোন একজন হাত দিয়ে একবার ছুঁয়ে দিলেই- রেফ্রিজারেটর স্বয়ংক্রিয় ভাবে তার স্টক জানিয়ে দিচ্ছে- স্টোরে পৌছে যাচ্ছে তার নতুন চাহিদা, শুধু একটা স্পর্শই মুহুর্তে পুরো বেডরুম সিটিং রুমের সাথে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে, বিশাল স্পেস নিয়ে সে তৈরী—হাতের ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠছে আধুনিক মাল্টিমিডিয়া- দৃশ্য আর ধবনি মিলে আমোদিত হয়ে উঠছে পরিবেশ- দরজার হাতলে হাত রাখলেই খুলে যাচ্ছে দরজার পর দরজা। কিন্ত এ প্রযুক্তি নিয়ে তারা পুরোপুরি খুশি ছিলো না এর প্রায়োগিক কিছু সীমাবদ্ধতার জন্য। প্রায় সব পদ্ধতিরই তা থাকে। স্পর্শের জন্য নিজের সশরীরে উপস্থিত থাকাটাই ছিলো অপছন্দের।

দু’ জনে হয়তো সোফায় বসে মুভি দেখায় মগ্ন- এ সময় কিচেন সামলানোর জন্য কাউকে না কাউকে উঠতেই হতো। কন্ঠস্বরের সে বালাই নেই- অনেক দূর থেকেও এগুলো দারুন কাজে দেয়। ফলে কন্ঠস্বর নিয়ন্ত্রিত গ্যাজেট গুলোর ইনষ্টলে তারা খুশি ছিলো। প্লিজ কাপড়গুলো ধুয়ে ফ্যালো- বললেই ওয়াশিং মেশিন চালু হয়ে যাচ্ছে। কিংবা আজকে আমরা ‘দেবদাস’ দেখব- উচ্চারনই যথেস্ট— মাল্টিমিডিয়ায় তার ওয়েব কালেকশন থেকে মুহুর্তে চালু হয়ে যাচ্ছে সচল ছবি- থালি মে ক্যাঁ হ্যাঁয়-দেবদাসের জেরায় পারুর সলজ্জ জবাব- বাহানা, স্রিফ বাহানা হ্যাঁয়।

অর্থাৎ কিছু না- তোমার কাছে আসার জন্য কিছু মিথ্যে অজুহাত। বিপত্তি যে ঘটে না তা নয়,- এই তো ক’দিন আগের কথা- ওভেন সিস্টেম এর কোড ওয়ার্ড ছিলো “গরম কর”, তো সেদিন ভ্যালেন্টাইন পাটি থেকে বেশ রাত পেরিয়ে ফিরে দু’জনই বেশ বেতালা, খানিকটা টিপসি- কিছুটা দু’ জনে দু’ জনকে পাওয়ার নেশায়। বাসায় ঢুকে বেডরুম পর্যন্ত যাবার তর সইছিল না দুজনের, কিচেন পেরিয়ে বেডরুম- প্রাক-মিলন পর্বের কোন এক মুহুর্তে মেয়েটা হয়তো বলেছে- আ’য়াম ফিলিং হট- কিংবা বলেছে য়্যু মেড মি হট, ব্যস তাতেই ঘটল কান্ডটা। বেডরুমে দু’জনে তখন ভীষন ব্যস্ত দু’জনকে আবিস্কারের সুখে- বেডসাইড টেবিলের মনিটর স্ক্রীনে হঠাত বিপ বিপ সহকারে একটা মেসেজ ফুটে উঠল- কিচেন থেকে পাঠিয়েছেন মিঃ ওভেন- গত ১ ঘন্টা যাবত অপেক্ষা করছি- গরম করার মতো কিছু পাচ্ছি না—প্লিজ এদিকে মনোযোগ দাও। এরপর থেকে দু’ জনেই বেশ হুশিয়ার ।

এখন থেকে সব কোড ওয়ার্ড নিজের নেটিভ ল্যঙ্গুয়েজে, যা সচরাচর নিজেরা দু’ জন ব্যবহার করে না। এখন দিব্যি সকালবেলা বুঁয়া! বলে হাঁক দিলেই চারচাকার ভ্যকুয়াম ক্লিনার রওনা হয়ে যায় ঘর সাঁফা করতে, তার মেমোরীতে রাখা রুট ম্যাপ অনুযায়ী। পিচ্চি- কফি বানাও- বললেই ফোঁস ফোঁস করে বাস্প ছাড়তে ছাড়তে কফি মেকারটা খলবলিয়ে ওঠে—ও পুস্প, পুস্পগো, তুমি কোথায়- বললেই ঘরের নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট থেকে বিশেষ ফর্মুলায় তৈরী নির্যাসের কালেকশান থেকে পরিবেশ আর সময় অনুযায়ী ফুলের খুসবু ছড়িয়ে পড়ে। দেয়াল থেকে দেয়াল- মেঝে থেকে ছাঁদ—দু’ জনের কম্প্যাক্ট, এক টুকরো সাজানো স্বর্গ- ভরে ওঠে সুখের নিঃশ্বাসে। সারাটা দিনতো কাটে ল্যাবের এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে ছুটোছুটি আর মনিটরের সামনে বসে জটিল সব অংকের সমাধানে।

একেকটা দিন এত শরীর নিঙড়ানো পরিশ্রম আর ঘড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে ছোটা- একই ছাদের নিচে দু’ জন, অথচ চোখে চোখে কথা বলার ফুরসতও মেলে না। কিন্ত ল্যাব বন্ধ হবার সংকেতটা বাজলেই? আঃ কি মধুর সে ক্ষন !! এরপর পুরো দুনিয়াটা শুধু এবং শুধুই দু’ জনেরই। বেসমেন্ট পার্কিং থেকে তার ছোট্ট আলফা রোমিও ডিজেল এম-জেটটা চালিয়ে আনে ছেলেটা- মেয়েটাকে পাশে বসিয়ে রওনা হয়ে যায়- না অজানার উদ্দেশ্যে নয়, তাদের একান্ত ঠিকানায়। মেন গেটের পাশেই অফরোড পার্কিং –লাল রঙের সিঁড়ির কয়েকটা ধাপ পেরুলেই তাদের মঞ্জিল। গাড়ী থেকে নেমে সিড়ির শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে মেয়েটা কাছে টেনে নেয় ছেলেটাকে-কাঁধে মাথা ছুইয়ে বলে- আমি তোমাকে ভালোবাসি।

আর তখনই ক্লিক করে মৃদু একটা আওয়াজ হয়- তাদের একরত্তি নিটোল, কম্প্যাক্ট ফ্লাটের দরজা ধীরে ধীরে খুলে যায়। ভেতর থেকে ফুলের হালকা সৌরভ ভেসে আসে। ঘরের ভেতর পা রাখলেই মাথার ওপর থেকে ডিজিটাল ঘড়িটা বলে ওঠে- তোমরা এলে নাকি? এবার ক্রিসমাস পড়েছে বৃহস্পতিবার আর বক্সিং ডে শুক্রবার মিলে টানা কয়েক দিন ছুটি। সেদিন ছিল শনিবার, সকাল থেকেই মেয়েটার মন খারাপ-একে ছুটি ফুরিয়ে আসছে, রোববার পেরুলেই শুরু হয়ে যাবে ব্যস্ততার পুরানো জীবন- তার ওপর গত রাতে বিশ্রী কথা কাটাকাটি হয়ে গেছে তাদের দুজনের। একটু আধতু মনোমালিন্য তো সবারই হয়, কিন্ত গত রাতে যা হয়ে গেছে- অথচ ইস্যুটা তৈরী হল কোথা থেকে- কোন ঘটনা থেকে, সেটাই মনে আসছে না।

বুকের মধ্যে কষ্টের একটা চাপ সে টের পায়- একেকবার মেয়েটা ভাবে ‘সরি’ বলে সে বিষযটা সহজ করে নেবে- যাই হোক না কেন, এসব তার একটুও ভালো লাগছে না। আসুক না খাবার টেবিলে –সে ঠিক মানিয়ে নেবে। কিন্ত বেলা গড়িয়ে চলল- সকাল থেকে বিছানায় উপুর হয়ে সেই যে বই এর পাতায় চোখ মেলেছে- কোন দিকে খেয়ালই নাই। মাঝে মাঝে পাতা উল্টানোর জন্য একটু নড়াচড়া- তোমার কি খিদে পায়নি? আমি তো অপেক্ষা করে আছি। মাথা তুলে সে তাকায় মেয়েটার দিকে, দৃষ্টিতে তার শুন্যতা- তারপর ধীরে ধীরে বিছানা ছেড়ে সে উঠে দাঁড়ায়।

আমার খিদে নাই, তুমি খেয়ে নাও- ডাইনিং টেবিলে এসে ছেলেটা ঘোষনা করে। পরনে তার বাইরে বের হবার পোষাক। মেয়েটা অবাক হয়ে তাকায়- আমি বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছি, সম্ভবতঃ এ শহর ছেড়েও- এ বাসায় আর থাকব না, তুমি ভালো থেকো, বাই- বন্ধ সদর দরজার কাছে এসে ছেলেটা অস্ফুটে উচ্চারন করে- আমি তোমাকে ভালোবাসি- ক্লিক করে মৃদু একটা আওয়াজ হয়- তাদের একরত্তি নিটোল, কম্প্যাক্ট ফ্লাটের দরজা ধীরে ধীরে খুলে যায়। হায়রে এখন থেকে এই ফ্লাট আর তাদের না- তার চলে যাওয়া মেয়েটা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। সুপার মার্কেট থেকে কেনাকাটা করে মেয়েটা ফিরছিলো- উপায় কি? ঘরে গ্রোসারী নেই- বিদ্যুতের রিফিল ফুরিয়ে গেছে।

একরাশ দুঃখ আর কষ্টে মন ভার করে মেয়েটা ঘরে ফিরছিল-ভালোবাসায় বুঝি মেয়েরাই বেশী কষ্ট পায়? কিন্ত জীবন তো থেমে যাবে না, থেমে যায়ও না। চড়াই উতরাই, উঠানামা- এগুলো নিয়েই জীবন। মেয়েটা ভাবে কাল থেকে শুরু হবে তার অন্যরকম পথ চলা- নাকি তা শুরু হয়েই গেছে? ফ্লাটটাকে আবার নতুন ভাবে সাজাতে হবে। কত কিছুর যে অদল বদল ঘটাতে হবে। সবার আগে দরজা খোলার কোড ওর্য়াডটা চেঞ্জ করতে হবে।

আমি তোমাকে ভালোবাসি- উচচারন করতে তার ভীষন কষ্ট হবে...... ভালোবাসায় শুধু মেয়েরাই বুঝি কষ্ট পায়? কিন্ত তা তো নয়- ভালোবাসার কোন নারী নেই- কোন পুরুষ নেই- এ শুধু কোনদিন না মেটা এক অনন্ত পিপাসা- হৃদয় নিংড়ানো এক আকুলতা- দুজনে দুজনকে কাছে পাওয়ার এক তীব্র ব্যকুলতা- যা বাস করে দুটো তৃষিত হৃদয়ে এবং যার কোন লিংগ ভেদ নেই। শহরের পুরানো রাস্তা জুড়ে দিকভ্রান্ত একটা আলফা রোমিও শুধু দাবড়ে বেড়ায়-পুব থেকে পশ্চিম- এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের বুক চিড়ে। ষ্টিয়ারিং এ তার উদভ্রান্ত এক যুবক- চোখে তার শুন্য দৃষ্টি, বুক জুড়ে একটা হাহাকার। এলোমেলো বাতাস তার এলোমেলো চুলে খেলা করে- এলোমেলো ভাবনা গুলো তার মাথার মধ্যে পাক দিয়ে ঘোরে। একটুও ভালো নেই সে........... আর নয়- ছেলেটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে- অসহ্য এ শহরে আর নয়- সব কিছু ছেড়ে তাকে চলে যেতে হবে- চলে যাবে এক অনন্ত যাত্রায়......।

আগামী সূর্য ডোবার আগেই সে চলে যাবে এ শহর ছেড়ে- দিগন্তের ওপারে। কিন্ত তার আগে- শুধু একবার যদি..... সে কক্ষনো কাপুরুষ নয় (যদিও পুরুষ) সত্য উচচারনে তার দ্বিধা নেই। গত দুদিন অনুশোচনা আর অনুতাপে দগ্ধ হতে হতে সে এ কথাটাই ভেবেছে- সে নিজেও কি দোষী নয়? দায় ভাগ তারও তো কম নয়- কি জঘন্য আচরনটাই সে করেছে- তার আচরনের জন্য একজন কি কষ্ট আর যন্ত্রনা সইছে। না, ফিরে যাবার কোন রাস্তাই আর খোলা নেই- সেই তো রাখেনি- মেয়েটার সামনে দাড়ানোর সব যোগ্যতাই বুঝি সে খুইয়ে ফেলেছে- ছেলেটা ভাবে। তবু শেষ বিদায়ের আগে তার নিজস্ব স্বীকারোক্তি তাকে করে যেতে হবে।

জগত সাক্ষী থাকুক তার এই নতুন উপলব্ধির। সকালের নরম রোদে মেয়েটার ফ্লাটের দরজার সামনে ছেলেটা এসে দাড়ায়। আজ দুপুরে তার ফ্লাইট- শেষবার চলে যাবার আগে সে চার পাশের দৃশ্যে চোখ বোলায়- বড় তীব্র সব স্মৃতি- মেন গেটের পাশেই অফরোড পার্কিং– লাল রঙের সিঁড়ির কয়েকটা ধাপ পেরুলেই ছিল তাদের মঞ্জিল...... ছেলেটার বুকটা মুচড়ে উঠে- ঐ দরজা –দরজার ওপাশে চার দেয়ালের মাঝে পরিচিত চিত্রপটে কোথাও রয়েছে একটা নারী, হৃদয়ে যার নিঃশব্দ রক্তক্ষরন- চোখের পাতায় অব্যক্ত বেদনা- শুধু তার দোষে- তার অপরাধে। ফিরে যেতে গিয়ে সে থমকে দাঁড়ায়- সম্ভবত এটাই তার শেষ সুযোগ- বুক চিড়ে তার দীর্ঘ নিশ্বাস ঠেলে বেরিয়ে আসে- তবুও ঋজু শরীরে সটান সে দাঁড়ায়- শপথ উচচারনের ভঙ্গিতে গাঢ় উচচারনে বলে- ''সমস্ত ভুল গুলো আমার- আমায় ক্ষমা করো''। আর তখনই ক্লিক করে মৃদু একটা আওয়াজ হয়- তাদের (একদা) একরত্তি নিটোল, কমপ্যাক্ট ফ্লাটের দরজা ধীরে ধীরে খুলে যায়।

ভেতর থেকে ফুলের হালকা সৌরভ ভেসে আসে- মাথার ওপর থেকে ডিজিটাল ঘড়িটা বলে উঠে ...... ঘরের মাঝখানে দাড়িয়ে বিচ্ছুরিত আলোর দ্যুতি চোখে নিয়ে মেয়েটা তাকায় ছেলেটার দিকে- আর ছেলেটা- তার দৃষ্টি সমর্পন করে মেয়েটার চোখে- তাদের দুজনের চোখে এক অনির্বচনীয় আলো।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।