আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাট্টা-তামাশা-১০

হঠাৎ শুন্যতা ...................

১. আক্কেল আর মক্কেল বাস মিস করেছে। তো বাস স্ট্যান্ডে পরবর্তী বাসে জন্য অপেক্ষা করছে। পরবর্তী বাস আসতে বেশ দেরি থাকায় আক্কেল মক্কেল কে বলল, মক্কেল, “তুই গান ধর....সময় কাটাতে হবে তো...” মক্কেল গান ধরল...টানা কয়েকটা গান শেষ হলে সে বাস স্ট্যান্ডে উলটো হয়ে ঝুলে আবার গান শুরু করলো...আক্কেল হতবাক, “...মক্কেল!!! কি ব্যাপার?!!?” প্রথম গুলো ক্যাসেটের “এ” সাইডের ছিল, এখন “বি” সাইডের গুলো গাইছি... ২. মক্কেলে কাছে তার বাবা চিঠি লেখেছে, স্নেহের মক্কেল, ভাল আছো আশা করি। আমি এই পত্র খানি খুব ধীরে লিখছি, কারন জানি তুমি দ্রুত পড়তে পারো না। আমরা বাসা বদল করেছি।

কারন আমাদের বাসার ২০ কি.মি. দূরে প্রায়সই দুর্ঘটনা ঘটে। নতুন বসার ঠিকানা দিতে পারলাম না। কারন আগের ভাড়াটে তার ঠাকানা বদল করে নি। সে ঠিকানা লেখা বোর্ডটা নিয়ে গেছে। আমাদের নতুন বাসাটা সুন্দর।

টয়লেটে একটা ওয়াশিং মেসিন আছে। যদিও মাশিনের মুখটা একটু বড়। তবে মাশিন টায় কিছু সমর্স্যা আছে। ৩দিন আগে ২টা শার্ট মেসিনে দিয়ে ফ্লাস লেখা চাবি টা ঘুরিয়ে ছিলাম, কাপড় সেই যে ধুতে গেলো আজও ফিরে এলো না। এখানে আবহাওয়া মোটামোটি।

সপ্তাহে দুই বার বৃষ্টি হয়। প্রথম বার ৩দিন পরের বার ৪দিন বৃষ্টি হয়েছে। তুমি তোমার ব্লেজার চেয়ে ছিলে। পার্সেল করতে গিয়ে বোতামের ওজন বেশি হয়ায় বোতাম কেটে ব্লেজারের পকেটে দিয়ে দিয়েছি। তোমার চাচা নতুন চাকরি পেয়েছে।

তার নিচে ৫০০ লোক আছে। সে একটা কবরখানায় ঘাস ছাটার কাগ করে। তোমার বোনের একটি বাচ্চা হয়েছে গত কাল। চেহারা দেখে বুঝতে পারলাম না ছেলে না মেয়ে। তাই তাই বলতে পারছি না তুমি মামা হলে না মামি।

এই চলছে আমাদের সাদামাটা জীবন। ভালো থেকো। ইতি তোমার বাবা। পুনশ্চঃ ভেবে ছিলাম কিছু টাকা তোমায় পাঠাবো। কিন্তু চিঠি খামে ভরে ফেলায় দিতে পারলাম না।

৩. একদিন মক্কেল ১৫ তালায় অফিস রুমে বসে আছে। এমন সময় আক্কেল দৌড়ে এসে বলল, “বেয়াক্কেল...তোর মেয়ে মিস্টি তোর গাড়ির ড্রাইভারের সাথে পালিয়েছে...” হতবিহ্ববল মক্কেল মনে করল এই জীবন রেখে কি লাভ...সে জানালা খুলে নিচে লাফ দিল...১৩ তলায় এসে মনে পড়লো তার মিস্টি নামে কোন মেয়ে নেই...১০ তলায় গিয়ে মনে পরলো তার কোন ড্রাইভার নেই...৭ তলায় এসে খেয়াল হল তার তো কোন গাড়ীই নেই...৫ তালায় এসে মনে পড়লো সে তো বিয়েই করে নি...মাটিতে পড়ার আগ মুহূর্তে সে আবিস্কার করল, “ধুর ছাই...আমার নাম তো বেয়াক্কেল না...আমার নাম তো মক্কেল” ৪. এক সর্দারজী লাঞ্চ টাইমে আরাম করছেন, তো একজন তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় জিঞ্জাসা করলো, “Hi, r u relaxing?”…সর্দারজী বল্লেন, “No, my name is Mokkel Singh.” তো আরেকজন তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় একি প্রশ্ন জিঞ্জাসা করলো...এবার সর্দারজী বিরক্ত হয়ে বললেন... “No, my name is Akkel Singh.” এবার তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় আবার একি প্রশ্ন জিঞ্জাসা করলে সর্দারজী বিরক্ত হয়ে উঠে অন্য যায়গায় গিয়ে বসলেন। এবার তার কিছু দূরে আরাকজন সর্দারজী বসে আরাম করছিলেন। আকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় একজন জিঞ্জাসা করলেন, “Hi, r u relaxing?” এই সর্দারজী তুলনা মুলক বিদ্যান...তিনি উত্তর দিলেন, “Oh yes! I’m relaxing” ...এবার প্রথম সর্দারজী মহা বিরক্ত হয়ে দ্বিতীয় সর্দারজীর কাছে গিয়ে বললেন, “সবাই তোমাকে খুঁজে মরছে আর তুমি এখানে আরাম করছ!??**&@ !!!#@” ৫. মক্কেল একটা প্রতিযোগীতা মুলক পরীক্ষা দিতে বসেছে। উত্তর গুল হ্যাঁ/না ভিত্তিক।

পরীক্ষা শুরু হলে সে পকেট থেকে কয়েন বের করে টস করে করে উত্তর দিতে লাগলো। হেড হলে “হ্যাঁ” টেল হলে “না”। মক্কেল দিব্যি পরীক্ষা দিচ্ছে। ওদিকে হলের সকলের উত্তর দিতে ঘাম বের হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষার শেষ অংশে মক্কেল কে দেখা গেল খুব দ্রুত টস করতে গিয়ে সে ঘেমে একসা অবস্থা।

শেষ ঘন্টা বাজলো। পরিক্ষক মক্কেল কে জিঞ্জাসা করলেন, কি ব্যাপার?...মক্কেল বললো, “...আমার উত্তর তো আধা ঘন্টা আগে দেয়া শেষ, রি-চেক করতে গিয়ে সময় করতে পারছিলাম না” (সংগ্রহিত ও সঙ্কলিত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।