আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ নাকি বইমেলায় এসেছে আমার বই---তথাপি

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

প্রকাশক ফোন করে জানালেন আজ বইমেলায় চলে এসেছে আমার গল্পের বই --তথাপি। ইস ! নিজে এখনো দেখলাম না। কাল ইনশাল্লাহ যাব মেলায়। বইটি পাবেন মেলার ৭০-৭১ নম্বর স্টল ( বটতলার পাশেই) মানে জাগৃতি প্রকাশনীতে। আমার ওয়েবপেজ এ দেখুন নিজে বইয়ের গল্পগুলোর একটু সার সংক্ষেপ তুলে ধরলাম।

পুনরাবৃত্তি সেই একই ভুল, যে ভুলের মাশুল হিসাবে তার জন্ম। পুনরাবৃত্তির আশংকা তাই আলোড়িত করে পুলক নামের যুবকটিকে। কিন্তু অনেক দেরী হয়ে গেছে...যদি আরও আগে ভুলটা জানতে পারত, যদি আরও আগে আসত এই আলোড়ন...কিন্তু এমনই হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমাধানের সময় থাকেনা আর। সিজোফ্রেনিক সিজোফ্রেনিক-খুব ভয়াবহ এক মানসিক রোগ। অতি সন্তর্পনে এ রোগ ঘটনা আর অঘটনার লেজ আঁকড়ে চলে আসে মানুষের মনে , উল্টে পাল্টে দেয় সুস্থির জীবন।

নীল নামের একটি ছেলের হঠাৎ সিজোফ্রেনিক ডিসঅরডারে আক্রান্ত হয়ে পড়ার ঘটনা নিয়েই এই গল্পটি রচিত। তাঁর অভিমান এবং তাঁর মৃত্যু স্বাধীন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোন একজনের জীবন সায়াহ্ণের টুকরো ঘটনার বিষাদ কল্পনা করেই এই গল্প যেখানে দেখানো হয়েছে হালকা কথায় একজন মুক্তিযোদ্ধার ক্ষোভ । বিবশ চোখের জল এই গল্পটির ঘটনা আমাদের গ্রাম বাংলাদেশের প্রেক্ষিত খুব বিপ্রতীপ কিছুনা। একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছেলে কিভাবে পালিত ও নিগৃহিত হয় তারই পিতার খুনীদের হাতে স্বাধীনতার বহু বছর পরেও এবং অবশেষে তাকে পঙ্গু হয়ে চোখের জলে কাটাতে হয় কষ্টকাল আর পেটের ক্ষুধা মেটাতে হয় প্রিয়তমা স্ত্রীর দেহ বিকানো টাকায় সেসবই উঠে এসছে একটু বড় আকারের এই গল্পে। বিশেষ ক্ষমতা কাউকে দেখেই তার সব বুঝে ফেলা বা অন্যের মনকে পড়ে ফেলার মত বিশেষ ক্ষমতা হয়তো বাস্তবে সত্যি থাকেনা।

কিন্তু এই গল্পের নায়কের জীবনে শুরু হয় তেমনই ক্ষমতার প্রভাব। যে প্রভাবেই আসে তার প্রেম এবং প্রেমের পতনও সেই প্রভাবেরই উছিলায়, সেই সাথে ঘটনার পরতে পরতে বের হয়ে আসে কিছু সত্য- কিছু বাস্তবতা। খ্যাতি প্রক্রিয়ার উপাখ্যান এটি একটু ভিন্নধর্মী গল্প। খ্যাতিমান হবার পেছনে প্রভাবক এর তর্ক নিয়ে গড়ে উঠেছে গল্পের মূলবক্তব্য। আসলে খ্যাতি কেমনে আসে তার কোন সরল উত্তর হতে পারেনা।

তবুও কিছু চরিত্রকে ঘিরে খ্যাতি পক্রিয়ার একপেশে বাস্তবতাকেই তুলে ধরা হয়েছে। শ্রাবণ ধারায় খুবই সাদামাটা ফালতু টাইপ একটুকরো ঘটনার প্রকাশ এই গল্পটি। শ্রাবণী এবং প্রতীক নামে দুই চরিত্রের সাক্ষাৎ এবং সাক্ষাৎ পরবর্তী প্রেমের শুরুর ঘটনাটুকুই কেবল এখানে তুলে ধরা হয়েছে। মইসা ধরা মন অনেকদিন পূর্বে লেখা এই গল্পটি কিঞ্চিৎ হাইপোথ্যাটিক্যাল । মানব মনের গহীনে আড়ালে অনেকরকম ভাবনার অনু পরমাণু দৌড়ে দৌড়ে বেড়ায়।

সেইসব ভাবনাগুলোকে জড়ো করে দাঁড় করানো হয়েছে এই গল্পটি। এই না হলে মানুষ বছর তিনেক আগে একটি দৈনিকের একটি প্রতিবেদন পড়ে বেশ নড়ে উঠেছিল প্রাণ। সেই প্রতিবেদনটির ঘটনাকেই কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার আঞ্চলিক ভাষায় এই গল্পটি লেখার প্রয়াস খোঁজা হয়েছে। আড়ালেও কত বাস্তবতা এই গল্পের বিষয়বস্তু একটু নেতিবাচক। পরকীয়া এ গল্পের মূল উপজীব্য।

এই মূল উপজীব্যর আশ্রয়ে দেখানো হয়ছে একই মানবের মাঝে ভাল আর মন্দের অদ্ভুদ মিশ্র ছাপ। হাজার দুয়ারীর স্বপ্ন পেরিয়ে কতরকম স্বপ্নই দেখি চোখ বুজলে আমরা। কিন্তু দেখিনা আশেপাশেই কত স্বপ্নের কবর, দেখিনা নির্ভৃতে কোন কারও কষ্ট অথচ কষ্টমুক্ত থাকার কথাছিল বরং যার। একুশের মাসে একুশের পরশ শোভিত হয়ে গড়ে উঠেছে এই গল্পটি। তথাপি খুবই সামাজিক একটি গল্প।

চিরপরিচিত প্রেম, ঘর থেকে পালিয়ে বিয়ে, কিছু টক ঝাল মিষ্টি ঘটনা নিয়ে এগোচ্ছিল গল্পটি, তথাপি শেষে সেই মৃত্যুর মত অবধারিত বাধ্যবাধকতার অনুপ্রবেশ; তবুও কি জীবনের গতি থেমে থাকে? ছোট ছোট বৃত্তের পরিধি সমসাময়িক রাজনৈতিক বাস্তবতার ছাপ আছে এ গল্পে। বিশেষ করে আছে অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের ঘটে যাওয়া ঘটনার কাল্পনিক কথন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।