আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি কেন বাসে তরুণীরা দাড়িয়ে থাকলেও নিজে ছিট ছেড়ে দেই না?



কাহিনী জটিল। আমার লেখার ক্ষমতা কম তাই ঠিক মতো প্রকাশ করতে পারি না। আমরা সাধারণত তরুন রা বাসে যাতায়াত করলে পাশে যদি কোন নারী অথবা মুরুব্বি থাকে তাহলে নিজের সিট ছেড়ে ( যদি সিট ভাগ্য জোটে) দিযে তাদের কে বসতে দেই। অবশ্য আমাদের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এই মহান (!) কাজের জন্য কোনদিন ধন্যবাদ নামক শব্দটি শুনতে পাই নি। তার পরও বিবেকের তাড়নায় এই কাজ করে যাই।

কিন্তু দঃখের কথা কি আর বলব রে ব্লগার ভাই-বোনেরা। কিছুদিন আগের ঘটনা। শিশুমেলা থেকে বাসে উঠে মাঝামাঝি জায়গাতে একটা সিট পেলাম। আর কোন সিট আপাতত ফাঁকা নেই। ২৭ নম্বর থেকে এক নারী ( ইয়াং তরুনী, ভাষার মাস তাই ক্ষমাপ্রার্থী) উঠলো আমাদের বাসে।

ঝাকানাকা সাজগোজ। চুল ছেড়ে দেওয়া। টাইট প্যান্ট আর গেঞ্জি। যাই হোক, এক ভদ্র ছেলে সামনে থেকে তার নিজের সিটটা ছেড়ে দিয়ে তাকে বসার অনুরোধ করলো। হায়! একি! সে বসে না।

ছেলেটা সেকেন্ড ৫ এক দাড়িয়ে থেকে আবার তার নিজের সিটে বসে পরলো। আমরা সবাই তো অবাক। একি সাংঘাতিক মেয়েরে বাবা! বোনেরা মাইন্ড কইরেন না। সেই নারী ( মেয়ে) টা সারা পথ মানে পল্টন পর্যন্ত দাড়িয়ে আসলো তবুও বসলো না। এমনকি পেছনের দিকে দু একটা সিট খালি হলেও সে বসলো না।

পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনাদের অভিমত কি এই নারীর সম্পর্কে? আমি কিন্তু সিদ্ধান্ত নিযে নিয়েছি যে কোন তরুনীকে অন্তত আর সিট ছেড়ে দিয়ে সেই ছেলের মতো অপমানিত হবে না। অবশ্য যুক্তও একটা দাড় করিয়েছি। সেটা হলো আমরা সবাই সমান মানে সমান অধিকার আর কি!সেই হিসেবে ছেলে মেয়ে পার্থক্য না করে যে সিট পাবে সে বসবে। আর যে পাবে না সে দাঁিড়য়ে থাকবে। হে হে


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।