আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাত-শিবিরদের কাছে জানতে চাই

মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনাল শুরু হওয়ার পর জামায়াত তার নেতৃবৃন্দের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দেয়। যদি ট্রাইবুনাল অবৈধ হয় তাহলে তারা ঐ ট্রাইবুনালে আইনজীবী নিয়োগ দিলেন কেন? এখন রায়ের বিরোধীতা করা কি তাদের নৈতিক পরাজয় নয়? তারা যদি অযুহাত দেন, রায় হয়েছে সরকারী মদদে, তাহলে তারা কি আগে জানতেননা এ ট্রাইবুনালের অধীনে রায় এমনই হতে পারে? এটা কি তাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব নয়? জামায়াত যেহেতু কোন আদর্শিক দল নয়, সে বারবার তার রূপ পরিবর্তন করেছে। আদর্শিক দল নয় এজন্য যে, কোন আদর্শিক দলের থাকে তার সুনির্দিষ্ট আদর্শ ও আদর্শ বাস্তবায়নের নির্ধারিত পদ্ধতি। এ দুটি বিষয় জামায়াতের রাজনীতিতে অনুপস্থিত। পাকিস্তানপূর্ব বা পাকিস্তান শাসনামলে জামায়াত গণতন্ত্র, পার্লামেন্ট, নারী নেতৃত্বের ঘোর বিরোধী ছিল।

জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদী ১৯৬৫ সালের নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহকে সমর্থন জানান ফাতেমা জিন্নাহ আইয়ুব বিরোধী হওয়ার কারনে। যা তার সুনির্দিষ্ট আদর্শের অভাবের কারনেই হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে সমর্থন জানানো ছিল তার রাজনৈতিক ভুল কেননা পাকিস্তান কোন ইসলামী রাষ্ট্র ছিলনা। তারা তাদের স্বকীয় আদর্শ জনগনের সামনে তুলে ধরার জন্য পাকিস্তানের সমর্থন না করে, আদর্শভিত্তিক ইসলামী রাষ্ট্রের মডেল তুলে ধরতে পারতেন। ঐতিহাসিকভাবেই জামায়াত বার বার তার আদর্শের প্রতি অবিচল থাকতে পারেনি।

জামায়াত কেন অত্যাচারী, জালিম ও মার্কিনীদের দালাল পাকিস্তান সরকারের সমর্থন করেছিল তার শর’য়ী ব্যাখ্যা জানতে চাই। জামায়াত কেন বিএনপির সাথে নারী নেতৃত্বের অধীনে আন্দোলন করে আসছে তার শর'য়ী ব্যাখ্যা জানতে চাই। কোন কৌশলগত উত্তর নয়, শরীয়াহর দৃষ্টিতে জানতে চাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।