আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীল চোখা, আমি আর দেড়ের নামতা

তাঁকে ধন্যবাদ,এখনো বাঁচিয়ে রাখার জন্য -ভাই কি দেড়ের নামতা জানেন প্রশ্নটা শুনে অবাক হবার কথা,অদ্ভুত প্রশ্ন । তবে তার চেয়েও অদ্ভুত যিনি প্রশ্নটা করেছেন । ফুল হাতা শার্ট গুটিয়ে হাফ হাতা বানিয়ে ফেলেছেন । গায়ের রঙ কালো । মোটা এবং বেটে ।

কোকড়া চুলের এরকম হাজারো মানুষ এদেশে পাওয়া যাবে । এদের দেখলে মনে হবে এদের জন্ম হয়েছে ভাতের হোটেল এ ম্যানেজার হবার জন্য । কিন্তু এনার মাঝে যে ব্যপারটা অদ্ভুত,সেটা হল তার চোখ । নীল চোখ । এই জিনিসটাই তার দিকে দ্বিতীয় বার তাকাতে বাধ্য করে ।

দীর্ঘ দিন ধরে এই ঢাকা শহরে নীল চোখ দেখার খুব শখ ছিল। শখটা এভাবেই মিটে যাবে কল্পনাও করি নাই । আসলে এরকম নাহলেই বোধ হয় ভাল হত । কিন্তু হয়ে গেল,কি আর করার । লোকটার চোখগুলো অত্যন্ত বেমানান।

ওরকম বিধঘুটে মাথায় সুন্দর নীল চোখ । যদি বেশির ভাগ মানুষকে জিজ্ঞেস করি আপনার চোখের রঙ কি?সবাই একশব্দে বলবে কালো । কিন্তু আমি দেখেছি,তাদের রঙ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্রাউন বা খয়েরী কালারের । যাই হোক চোখের ব্যাপারে এত মাথা না ঘামিয়ে আসল কথায় ফিরে আসি । রমনা পার্কের একটা অতি সাধারণ বেঞ্চিতে বসে বাদাম চিবুচ্ছিলাম(এই পার্ক সম্ভবত আমার মত ভবঘুরে টাইপ লোকদের বসে বসে বাদাম খাবার জন্যই বানানো হয়েছে ।

)আর ভাবছিলাম সৃষ্টি জগতের রহস্য নিয়ে । সামনে একটা বট গাছ ছিল । ওইটা নিয়েই আসলে ভাবনার শুরু । কিরে ওইটা ওখানে এল কি করে?আগে থেকেই ছিল?আগে থেকে থাকলে তা কত আগে?বট গাছ আগে আসছে নাকি আমরা মানুষেরা আসছি আগে?যেই আসুক,কত আগে আসছে?এইসব আধ্যাত্মিক কথা বার্তা ভাবছিলাম । চোখে মুখে চরম ভাব সাব নিয়ে যে কত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করছি ।

হটাত করেই এই উদ্ভট ব্যক্তির আগমন । কি যে চায় বুঝতে পারছি না । চোখে মুখে বেদম বিরক্তি নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে বললাম -না জানি না তারপর আর কি? লোকটা চলে গেল,আর আমার গল্পও শেষ হয়ে গেল । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।