আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিরোজপুর-৩ আসনের সাংসদ কি যুদ্ধাপরাধী?

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন গণহত্যা ও বধ্যভুমি গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশককে কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠিয়েছেন। লেখক সৈয়দ বাহদুর ও মুক্তচিন্তা প্রকাশনীর প্রকাশক আমিনুল ইসলামকে নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের ভেতরে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে, ভুলবশত ড. আনোয়ার হোসেনের নাম একজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গণহত্যা ও বধ্যভুমি গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পিরোজপুর-৩, মঠবাড়িয়া কয়েক দিন আগেই সংবাদ শিরোণাম হয়েছিলো আরও একটি অদ্ভুত ঘটনার কারণে, সেখানের একটি রাস্তায় জনৈক পীর মেয়েদের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নোটিশ লিখেছিলো। বাংলাদেশ অদ্ভুত দেখ, এখানে দেয়ালে যদি লেখা থাকে- প্রস্রাব করিবেন না, প্রস্রাব করিলে জরিমানা হবে, কিংবা এখানে আবর্জনা ফেলানো নিষেধ, কিংবা এখানে ধুমপান নিষিদ্ধ, নিয়মভঙ্গকারী বিপ্লবী বাঙ্গালীরা এইসব নিষেধাজ্ঞার থোরাই কেয়ার করে, তারা নিজেদের মতোই সেই দেয়াল লিপির সামনেই এইসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিজেদের কাজ করে যায়। তবে পীরের এই আদেশ কঠোরতার সাথে মান্য হচ্ছিলো।

সেখানের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মহাজোট কিংবা চার দলীয় জোটের কেউ হতে পারে, এমন কি সে যুদ্ধাপরাধী হতেও পারে, নাও হতে পারে। তবে যখন কেউ এমন উকিল নোটিশ পাঠিয়ে ব্যখ্যা দাবি করে তখন বলতে হবে তার সাহস কম নয়, বরং সে অনেকটা নিশ্চিত হয়েই বলছে সে যুদ্ধাপরাধীর অন্তর্ভুক্ত নয়। কিংবা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রবনতা যেমন, কেউই আসলে যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত হতে চাইছে না, যুদ্ধাপরাধ যে বিশাল বড় মাপের একটা অপরাধ এই সংক্রান্ত উপলব্ধি সবার ভেতরেই জেগে উঠেছে। আশা করবো এই উপলব্ধি আরও মানুষের ভেতরে ছড়িয়ে যাক এবং প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা হোক। একই সাথে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করবো আদৌ লেখক এবং প্রকাশক কারণ দর্শাও উকিল নোটিশের জবাব দেন কি না।

কাউকে যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত করা তার মানহানীর সামিল। সুতরাং বাংলাদেশে অনেক গুজব রচয়িতাই মানহানীর মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন। কেউ কি এই বিষয়ে কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারবে, আনোয়ার হোসেন আদৌ চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর কাতারে পরে কি না?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।