আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চতুর বুদ্ধির প্রয়োগ শুরু হইয়া গেল

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

জানা গেল, বিরোধী দল থেকে একজন ডেপুটি স্পিকার হবেন। মাননীয় স্পিকারের অনুপস্থিতিতে উনি সংসদে কাজ চালাবেন। স্পিকার কবে অনুপস্থিত থাকবেন তার জন্য নিশ্চয়ই এই ভদ্রলোককে অপেক্ষা করতে হবে। তখনই তিনি স্পিকারের দায়িত্ব পাবেন। কিন্তু এখনই শুরু হয়ে গেছে চতুর বুদ্ধি।

স্পিকার করা হচ্ছে দুই জন। এক জন সরকারী দলের এবং অন্য জন বিরোধী দলের। স্পিকারের অনুপস্থিতিকে কোন ডেপুটি স্পিকার দায়িত্ব পালন করবেন, তার সিদ্ধান্ত দেবের স্পিকার স্বয়ং। ফলে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়, বিরোধী দলের স্পিকারের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ার সম্ভাবনা প্রায় নাই। কেননা, সরকারী দলের স্পিকার সরকারী দলের ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দিলে বিরোধী দলের স্পিকারের ঘোড়ার ঘাস কাটা ছাড়া আর কোন কাজ নাই।

তবে কোন অলৌকিক কারণে সরকারী দলের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার এক সাথে দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম হলে বিরোধী দলের ডেপুটি স্পিকারের তার মহান দায়িত্ব পালন করতে ডাক পড়তে পারে। সেই ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা যে অনেক কম সেটা বুঝতে খুব জ্ঞানী হতে হয় না। যদি বিরোধী দলকে ডেপুটি স্পিকার দেওয়ার ইচ্ছাই থাকে, তবে সরাসরি দিয়ে দেয়া হোক। দুইটি ডেপুটি স্পিকারের পদ তৈরি করে বিরোধী দল থেকে একজন ডেপুটি স্পিকার বানালে যেই কারণে বিরোধী দল থেকে স্পিকার বানানো উচিত, সেই কারণটাই পালন করা হল না। মূলত এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বর্তমান সরকার একটি চতুর বুদ্ধি প্রয়োগ করলেন।

এই চতুর বুদ্ধির মূল কথা হল --- ‍‍দিলাম কিন্তু দিলাম না। দুঃখের কথা হল, এই সরকার সর্বপ্রথম সংবিধান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন এমন একটি বিষয়ে যাতে তাদের চতুর বুদ্ধির প্রয়োগ ছাড়া কোন জনস্বার্থ জড়িত নাই। এই খবরটি জানতে ---- Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.