আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোট পড়েছে শতকরা ১০৫.৩২ ভাগ



রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের কোনো কোনো কেন্দ্রে মোট ভোটের চেয়ে বেশি ভোট পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশের মধ্যে এ আসনে বেশি ভোট কাস্ট হওয়ার খবর বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। এখানে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৮৮ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের কাজী আব্দুল ওয়াদুদ জয়ী হয়েছেন। এ আসনে শতকরা ৯৪.৮৯ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে। ‘না ভোট’ ও বাতিলকৃত ভোট এ হিসাবের মধ্যে গণনা করা হয়নি।

এ দুই ধরনের ভোট উল্লিখিত হারের সঙ্গে যোগ করলে গড়ে ভোট পড়ার হার হয় শতকরা ৯৬.৫৪ ভাগ। তবে কোনো কোনো কেন্দ্রে শতভাগ বা তার চেয়ে বেশি ভোট পড়ার ঘটনা ঘটেছে এ আসনে। এতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রমতে, রাজশাহী-৫ আসনে ৯২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে কালীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছে শতকরা ১০৫.৩২ ভাগ।

এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৫ হাজার ১২৯ জন। অথচ ভোট পড়েছে ৫ হাজার ৪০২টি। দিঘলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছে শতভাগ। পালশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছে শতকরা ৯৯.২ ভাগ। নান্দিগ্রাম ও আড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছে যথাক্রমে শতকরা ৯৭.২৩ ও ৯৭.৩২ ভাগ।

এছাড়া মাহেন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছে শতকরা ৯৭ ভাগ। ৯৬ থেকে ৯৬.৯৯ ভাগ ভোট পড়েছে ৩১টি কেন্দ্রে এবং ৯৫ থেকে ৯৫.৯৯ ভাগ ভোট পড়েছে ২৯টি কেন্দ্রে। ৯০ থেকে ৯৪ ভাগ ভোট পড়েছে ২৪টি কেন্দ্রে। এছাড়া ৮৯ ভাগ ও ৮৭ ভাগ ভোট পড়েছে মাত্র ১টি করে কেন্দ্রে। এ আসনের দুর্গাপুর উপজেলায় ২৭৬ টি ‘না ভোট’ পড়লেও বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা গোপন রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে পুঠিয়া উপজেলায় ৩৯৯টি ‘না ভোট’ ও ৬৯৫টি বাতিল ভোট পড়েছে। বাতিল ভোট ও ‘না ভোট’কে বাইরে রেখে ভোট পড়ার শতকরা হার বের করা হয়েছে, যা রহস্যজনক। দুর্গাপুর উপজেলার সব ইউনিয়নেই ৯৫ ভাগেরও বেশি ভোট পড়েছে। এ উপজেলার ৭ নং জয়নগর ইউনিয়নে ভোট পড়ার হার ৯৮.৫৮ ভাগ। ‘না ভোট’ ও বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ছাড়া ফলাফল শিটে শতকরা ৯৪.৮৯ ভাগ ভোট পড়েছে বলে দেখানো হয়েছে।

Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।