ধরুন সান্ধ্য শাখা চালু হল, তাহলে যে শুধুই অপকারই আছে তা নয়, উপকারও আলবত আছে। এই যেমন ধরুন না,
------- সান্ধ্য শাখার তুলনামূলক কম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের যথার্থভাবে পড়ানোর ক্ষমতা বুয়েটের টিচারদের নাই। এক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বুয়েটের টিউশনি লাভার ছাত্র-ছাত্রীরা। তাহলে বুঝতেই পারছেন, বাণিজ্যিকভাবে কতটা লাভবান হবে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
------- বুয়েটের চোথাবাজ সংস্কৃতির বিপ্লব ঘটে যাবে, কারন, সান্ধ্য শাখার শিক্ষার্থীরা চোথা (নোটপত্র) বেশি ভালবাসবে।
যারপরনাই, চোথার দাম বেড়ে যাবে। ওহ, কি বিশাল ব্যবসা আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের এবার পায় কে??? একস্ট্রা পাওনা হিসেবে বুয়েটের সাধারন শিক্ষার্থীরা চোথা বানানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনোযোগ দেবে। অতএব, পড়াশোনার উন্নতিও অবশ্যম্ভাবী।
------- সান্ধ্য শাখা চালু হলে বিত্তবানদের রুপশী কন্যারা বুয়েটে পড়তে আসবেন; এতে বুয়েটে সুন্দরী ললনাদের চিরকালীন ক্ষরা চিরজীবনের জন্য বন্ধ হবে।
এতে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ছাত্রদের ভবিষ্যত প্রজন্ম কেমন হবে, বলাই বাহুল্য।
------- সান্ধ্য শাখা চালু হলে বুয়েটের আশেপাশে নৈশ ক্লাব এবং ডিসকো ক্লাবের উত্থান হবে, এতে করে বুয়েটের সাধারন শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারে মুভি দেখা ছারাও নতুন বিনোদনের দিক উন্মোচন হবে। কতদিন আর স্টার এ খাওয়া !!!
( বুয়েটের শিক্ষার্থীদের বলছি --- ভেবেই দেখুন না, আপনি আমি আর শিশা, জোস জমবে। )
আরও অনেক উপকারই আছে, যা আপনাদের চোখের সামনে আসছেনা। আর তাই আপনারা মানে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আন্দলন করে চলেছেন সান্ধ্য শাখা উদ্যোগ বন্ধ করার জন্য।
চোখ খুলুন, মনটাকে উদার ও রোমান্টিক করুন, দেখবেন, অমা , এ কি আলামত !!!
আরও কিছু উপকারের আলামত আপনাদের জানা থাকলে মন্তব্যের মাধ্যমেই প্রকাশ করতে পারেন। এতক্ষন ধরে সময় নষ্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।