আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেন হুজুরদের বিরুদ্ধে বলা যাবে না ? বোবা হলেই সবাই বেহেশতে চলে যাবে ?

ভালো আছি

কেন বলা যাবে না ? আপনারা আমাকে বলুন কেন তাদের বিরুদ্ধে বলা যাবে না । ‘‘লা তুশমিত বিয়ালআ’দা” আয়াত, শত্রুরা আমাদের কাণ্ড দেখে হাসবে, উপরে থু থু ফেললে নিজেদের গায়েই পড়বে− এমন যুক্তি দিয়ে কতকাল আর আমাদের দমিয়ে রাখবেন ? কেন ? আমাদের স্বজাতি ভাইয়েরা, এই যে আমাদের উস্তাদ-মুরুব্বি-হুজুরেরা− তারা কি ভণ্ডামি কম করেন ? আমাদেরকে বলতে নিষেধ করে তাদেরকে তো কেউ শুধরে যাবার নসিহত করেন না ? আজ যদি আমি ইসলামি কোনো দলের বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত কথা বলি, যদি কোনো মাদরাসার অপকর্মের তথ্যবহুল আলোচনা করি, যদি কোনো ‘বড় হুজুরের শয়তানি’ প্রকাশ করে দিই, তাহলে যে আমাকে বেয়াদব বলে চোখরাঙানি দিচ্ছেন, কেন বলুন তো ? নাকি আপনারা এসব কিছুই দেখেন না ? নাকি বদমাশি করার থেকে সেটা প্রকাশের অপরাধ বেশি ? তাহলে এসব অনৈতিক কাজের সমাধান কি ? বোবা হলেই সবাই বেহেশতে চলে যাবে ? আমরা হেফাজতকে নিয়ে যতটুকু ভাবি, সত্যিকার অর্থে কি হেফাজত আমাদের নিয়ে ততটুকু ভাবে ? লিখনীতে তো দেখলাম, বাচ্চাদেরকে ফেলে নেতৃবৃন্দ পালিয়ে যাওয়াটা কেমন হলো− এ ধরণের প্রশ্নে ফয়জুল্লাহ সাহেব ভীষণ বিব্রত । তার মতে, এটা যুদ্ধের কৌশল । এমন নাকি নবীজী-সাহাবিরা করেছেন । কোন যুদ্ধে নবীজী সা. সাহাবিদের শত্রুর মুখে ফেলে পালিয়ে যাবার কৌশল গ্রহণ করেছেন কে জানে ? ৫মে যে শাপলা চত্বরে লোকজন জড়ো হয়েছে, সেটা কি আসলে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বা জিহাদে এসেছে সবাই ? তাহলে তাদের অস্ত্র কই ? যারা পালালো, তাদেরকে ওয়াজিবুল কতল বলা উচিত নয় ? হেফাজতের মাথায় তো তাদেরকেই দেখি, যারা একাংশের-দ্বিতীয়াংশের-তৃতীয়াংশের-চতুর্থাংশের− এমন ছয়ভাগে বিভক্ত ঐক্যজোটের একেকজন চেয়ারম্যান ।

সেখানে, সেই রাজনীতির মাঠে তো তাদের এখনও কোনো মিলন হলো না । হবে সে আশাও দুরূহ । তারা হেফাজতকে না ভেঙে কতটা যে কাঁঠালের আঁঠা হয়ে থাকবেন, বোঝাই যায় । শুধু বললেই দোষ । ফেসবুকে সবাই প্রথমে আসে নিত্যদিনের হাসি-কান্না জীবন যন্ত্রণার খুঁটিনাটি আর দশজনের সঙ্গে শেয়ার করতে ।

সেটাও এখন আপনাদের মতে পলিটিক্যাল প্লট হয়ে গেছে । মাদরাসার জীবনের যেমন হুজুরদের চুলাচুলি দেখছি, আর ইলমে লাদুন্নি থেকে মাহরূম হবার শঙ্কায় মুখ বেঁধে সয়ে গেছি, আজও সেই অবরোধবাসী হয়েই আছি । ঠিক আছে বললাম না ফেসবুকে, যেহেতু আপনাদের জাত যাবে । তাহলে কোথায় বলবো বলেন ? একটা নিভৃত প্লাটফর্ম দিন । নয়তো আমাদের বক্তব্যগুলো তাদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন ।

সাধারণ মানুষ যে তাদের নাম ধরে ধরে আমাদেরকে রাস্তাঘাটে টিজ-টিটকারি করে, সেগুলো একটু বুঝিয়ে বলার বন্দোবস্ত করেন । তাও যদি না পারেন, তাইলে আমাদের চুপ করায়েন না । আপনি আপনার কথা বলেন, আমরা আমাদের কথা বলি । নয়তো…. থাক… ভালো থাকবেন ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।