আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৫২ স্থানে খালেদা জিয়া ও ৭৮ স্থানে শেখ হাসিনা নির্বাচনি ভাষণ দিয়েছেন



নির্বাচনি প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একদিন পর শুরু করলেও নির্বাচনি প্রচারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি পেছনে ফেলেছেন। গত ১১ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা এবং ১২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া সিলেটে মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এ নির্বাচিন প্রচার শুরু করেন। এছাড়া ১২ ডিসেম্বর সকালে শেখ হাসিনা এবং ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে খালেদা জিয়া নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ১১ ডিসেম্বর সিলেট থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরু করলেও দলের ইশতেহার ঘোষণার পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজধানীর হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, কাফরুল ও কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে নির্বাচনি জনসভা শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার পর্যš- বিএনপি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া রাজধানীসহ সারাদেশের ৪৬টি জেলা ও উপজেলায় নির্বাচনি সফর করেছেন। এরমধ্যে ১৫২টি জনসভায় তিনি নির্বাচনি ভাষণ দিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকাসহ ২৬টি জেলা ও উপজেলায় নির্বাচনি সফরের মাধ্যমে রাজধানীসহ সারাদেশের ৭৮টি জনসভায় তিনি নির্বাচনি ভাষণ দিয়েছেন। এছাড়াও গোপালগঞ্জ ও নেত্রকোণায় তিনি সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন।

সিলেটে মাজার জিয়ারতের পরপরই খালেদা জিয়া তার নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন। প্রথমদিনই তিনি ৮টি জনসভা করেন। এরমধ্যে রয়েছে সিলেটের লালাবাজার, ওসমানীনগর উপজেলার দয়াময়ী হাইস্কুল মাঠ, নবীগঞ্জ থানার আউশকান্দি মাঠ, বাহুবল উপজেলার মিরপুর মাঠ, হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠ, শায়ে¯-াগঞ্জ পৌরসভা মাঠ, বানিয়াচং উপজেলার মাধবপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠ এবং বি.বাড়িয়া কলেজ মাঠে নির্বাচনি জনসভায় অংশ নেন। পথসভা শেষে পরদিন ভোর ৫টায় ঢাকা ফিরেন। ১৩ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় রাজধানীর একটি হোটেলে তিনি নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন।

এরপরই তিনি রাজধানীর মোহাম্মাদপুর টাউন হল মাঠে জনসভার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচনি প্রচার কাজ শুরু করেন। এদিন রাতেই খালেদা জিয়া ঢাকা মহানগরীর প্রায় ১০টি স্থানে জনসংযোগ করেন। ২৫ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা রাজধানীর লালবাগ বালুর মাঠে, ঢাকার দোহার ও নাবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভাষণ দেন। একইদিন বেগম খালেদা জিয়া গাজীপুর, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণার বিভিন্ন স্থানে ৭টি জনসভা করেন। ২৪ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া সফর করেন।

এসময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে দিনাজপুর গোরা শহীদ বড় মাঠ, রংপুরের পীরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, বগুড়ার শেরপুর, মাটিডালী, বিমানমোড়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জের কড্ডা এলাকায় নির্বাচনি ভাষণ দেন। একইদিনে বেগম খালেদা জিয়া ফেনী, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ সফর করেন। এসময় তিনি ফেনী সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠ, ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায় বক্তৃতা করেন। এরপর তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম হাইস্কুল মাঠ, নাঙ্গলকোট পাইলট হাইস্কুল মাঠ, নারায়ণগঞ্জের জিমখানা মাঠ, আলাউদ্দিন কলেজ মাঠ, রূপগঞ্জ কলেজ মাঠ ও মুলাপাড়া কলেজ মাঠে বক্তৃতা করে রাতে ঢাকায় ফেরেন তিনি। ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেন।

আর খালেদা জিয়া ফেনী, মুন্সীগঞ্জ, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর ও কুমিল্লার বিভিন্ন জনসভায় ভাষণ দেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, কুমিল্লা টাউন হল মাঠ, বরুড়া কলেজ মাঠ, চান্দিনার পালকি সিনেমা হল মাঠ, চাঁদপুরের কচুয়ায় জগতপুর মাঠে, হাজীগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, লক্ষীপুরের রাজগঞ্জ কলেজ মাঠ, রায়পুর মার্চেন্ট একাডেমী মাঠ, প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলওয়ে ময়দান, সোনাপুর পার্টি প্যালেসকমিউনিটি সেন্টার ময়দান, কবিরহাট কলেজ মাঠ, বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড মাঠ, ফেনীর দাগনভূঁইয়া কামাল আতার্তূক হাইস্কুল মাঠে এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার তেঁতুল তলায় বক্তৃতা করেন খালেদা জিয়। ২২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কোনো নির্বাচনি জনসভায় অংশ না নিলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও নরসিংদি সফরে যান। এসময় তিনি সিলেট আলীয়া মাদ্রাসা ময়দান, মৌলভীবাজার সদর হাইস্কুল মাঠ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নরসিংদির বেলাবো থানার বারৈচা মোড়ে জনসভা করেন। একইদিন রাত ১২টায় তিনি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনি ভাষণ দেন।

২১ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল সফর করেন। এসময় তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজ মাঠ, টঙ্গী মাঠ, টাঙ্গাইলের শহীদ স্মৃতি উদ্যান, বাসাইল গুল্লা প্রাইমারী স্কুল মাঠ, এলেঙ্গা তিতাস গ্যাস ফিল্ড, ঘাটাইল খেলার মাঠ, নাগরপুর খেলার মাঠ, গোপালপুর সুতি ভিএম হাইস্কুল মাঠ, মধুপুর রানী ভবানীপুর হাইস্কুল মাঠ, মুক্তাগাছা আর কে হাইস্কুল মাঠ, ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠ, ত্রিশাল, ভালুকা, মাওনার সভায় বক্তৃতা করেন। একইদিনে বেগম খালেদা জিয়া বরিশাল, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও ফরিদপুরে জনসভায় অংশ নেন। এরমধ্যে রয়েছে বরিশাল বেল্স পার্ক মাঠ, গৌরনদী, উজিরপুর ও রহমতপুর খেলার মাঠ, শ্রীনগর পাইলট স্টেডিয়াম, মাওয়া ফেরিঘাট, মাদারীপুরের পাঁচচর ও টেকেরহাট বাসস্ট্যান্ড, ফরিদপুর পরাতন বাসস্ট্যান্ড, ধামরাই ইসলামপুর প্রাইমারী স্কুল মাঠ। ২০ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর বালুর মাঠ, মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনি ঈদগাঁহ মাঠে নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দেন।

বেগম খালেদা জিয়া গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ সফর করেন। এসময় তিনি গাজীপুর কলেজ মাঠ, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার গরুর হাট, কালিহাতি ডিগ্রি কলেজ মাঠ, ঘাটাইল হাইস্কুল খেলার মাঠ, সুতী ভিএম পাইলট হাইস্কুল মাঠ, মধুপুর রানী পাইলট হাইস্কুল মাঠ, মুক্তাগাছা আর কে হাইস্কুল মাঠে নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য রাখেন। এদিন তার গলা বসে যায়। গলার স্বর স্বাভাবিক রাখার জন্য তিনি আদা চা পান করছেন। ১৯ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা নড়াইল, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুড়া, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর সফর করেন।

এরমধ্যে তিনি যশোরের ঈদগাহ মাঠ, চাড়াভিটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ এসএম সুলতান মঞ্চ, ঝিনাইদহের কাঞ্চনপুর ওয়াজের আলী হাইস্কুল মাঠ, মাগুড়ার আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠ, মধুখালী ঈদগাহ মাঠ, ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠ, রাজবাড়ির গোয়ালন্দ এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও বাসস্ট্যান্ডের সভায় বক্তৃতা করেন। অপরদিকে আগেরদিন সারারাত একটানা নির্বাচনি সভা-সমাবেশ করার পরও এদিন সকালে বেগম খালেদা জিয়া নাটোরের কালিয়াকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভা শেষ করে দুপুরে ঢাকায় আসেন। মাত্র ৩ ঘণ্টা বিশ্রাম করেই তিনি বিকেলে ঢাকার ধূপখোলা খেলার মাঠ ও চুনপুটিয়া গার্লসস্কুল মাঠে নির্বাচনি ভাষণ দেন। ১৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা বাগেরহাট ও খুলনা সফর করেন। এদিন তিনি বাগেরহাটের চিতলমারীর এ কে ফায়জুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, মোল্লারহাট ও ফকিরহাট কলেজ মাঠ, খুলনার খানজাহান আলী কলেজ মাঠ, খুলনার সার্কিট হাউস মাঠ ও রূপসার ক্ষুদির চটতলা মাঠে বক্তৃতা করেন।

বেগম খালেদা জিয়া এদিন ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর অঞ্চল সফর করেন। এদিন তিনি ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল মাঠ, দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পাইলট হাইস্কুল মাঠ, দিনাজপুর বড় ময়দান ও গোরা শহীদ ময়দানে বক্তৃতা করেন। ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ যান। সেখানে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়া শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ভাষণ দেন। আর খালেদা জিয়া টাঙ্গাইল, বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীতে ১৫টি সভায় বক্তব্য রাখেন।

১৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ঢাকার শ্যামপুর, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, বালুগাঁও, মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি ও ফরিদপুরের মালীগ্রামে নির্বাচনি জনসভা করেন। আর বেগম খালেদা জিয়া ঢাকার ভাষাণটেক নতুন রা¯-ার শেষ মাথায়, কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজার আড়তের সামনের মাঠে, মধুবাগ মাঠ, কলাবাগান গ্রীণ রোড স্টাফ কোয়ার্টার মাঠ, হাজারীবাগ লেদার টেকনোলজি কলেজ মাঠ, লালবাগ আজাদ অফিস বালুর মাঠ, আরমানীটোলা মাঠ, মতিজিল কলোনী ঈদগাঁহ মাঠ ও মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল মাঠে নির্বাচনি বক্তৃতা করেন। ১৫ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান, পল্লবী লাল মাঠ, কাফরুল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনি বক্তৃতা দেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা অঞ্চলের ১২টি জনসভায় বক্তৃতা করেন। ১৪ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা নির্বাচনি সমাবেশে কোথাও না গেলেও বুদ্ধীজীবী দিবসের আলোচনা সভার মাধ্যমে তিনি নির্বাচনি বক্তৃতা করেন।

খালেদা জিয়া এদিন মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, মাগুড়া সফর করেন। এদিন তিনি মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজ মাঠ, শিবালয় খেলার মাঠ, রাজবাড়ী রেলওয়ে মাঠ, পাংশা জর্জ হাইস্কুল মাঠ, কুষ্টিয়ার খোকসা, কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড, মেহেরপুরের গাংনী হাইস্কুল মাঠ, মেহেরপুরের আলমডাঙ্গা পশুরহাট, মাগুড়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠ আয়োজিত জনসভায় তিনি বক্তৃতা করেন। রাতেই ঢাকার ফেরার পথে তিনি আরো ১২টি জনসভায় করেন। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।