আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এমন অভাবনীয় ঘটনার খুব একটা মুখামুখি হইনি

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

খামার বাড়ী বাস থেকে নেমে রাস্তা ক্রস করে ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের মাঠের দিকে আসার জন্য রাস্তা পার হতে গিয়ে দেখি রাস্তার মাঝ খানে এক রিক্সাওয়ালা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। রিক্সাটি রাস্তার মাঝখানে উল্টে পড়ে আছে। বুঝতে পারলাম এক্সিসিডেন্ট হয়েছে।

আমি দৌড়ে উনার কাছে গেলাম। উনাকে ধরে উঠালাম। উনার হাটতেও খুব সমস্যা হচ্ছে। আমার দেখাদেখি আরেকজন আসলো। দুজনে ধরে একটু হাঁটালাম।

আর কেউ আসলোনা। সবাই সবার মতো করে চলে যাচ্ছে। যেন আমাদেরকে কেউ দেখে নাই। আমি উনাকে আর ঐ লোকটি রিক্সাটি ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের মাঠের কাছে নিয়ে আসলাম। লোকটি মধ্যবয়সী।

শব্দ করে নয়, দেখলাম অজোড়ে চোখের পানি ঝড়ছে। আমারও খুব কান্না পাচ্ছিলো। আমি বললাম, উনাকেতো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু রিক্সাটি ফেলে গেলেতো চুরি হয়ে যাবে। কি যে করি? এমন সময় সাথে আসা ঐ ভদ্রলোকটি বললে ভাই মনে কিছু না করলে আমি রিক্সাটি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছি আপনি রিক্সাওয়ালাকে রিক্সায় তুলেন।

রিক্সাটি ঠেলতে ঠেলতে আমরা রাজাবাজার নিয়ে আসলাম। সেখানে ডাক্তার দেখালাম। আমাকে বললো দৌড়ে একটা ব্লেড নিয়ে আসতে। আমি ব্লেড নিয়ে আসলে মাথার চুল কামিয়ে ওখানে বেন্ডিজ করে দিলো। আল্লাহর অশেষ কৃপা যে শিলাই লাগেনি।

দুই কনুই, হাটু ছিলে গেছিলো। সেখানেও ব্যান্ডেজ করে দিলো। তারপর ওষুধ কিনে দিয়ে বললাম কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আপনে যেতে পারবেন। বললো বাবা পারবো। কোন মোবাইল নাম্বারও ছিলোনা যে উনাকে আমি কারো হাতে তুলে দিয়ে আসবো।

আমাদের সাথে আসা ভদ্রলোককে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি বিদায় নিলাম। ঘটনাটি ছিলো একটি দ্রুতগামী প্রাইভেটকার ধাক্কা দিয়ে উনাকে চলে গিয়েছিলো। ভাবছিলাম পরিবারের দুমুঠো ভাতের জোগান দেওয়ার জন্যই হয়তো লোকটি বের হয়েছিলো। কিন্তু অপরিপক্ক চালকের জন্য এই পরিবার টিকে না জানি কতদিন না খেয়ে থাকতে হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।