আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনে আছে জনিকে............./ভাস্কর চৌধুরী

সময়... অনাদি... হতে... অনন্তের... পথে...

জনি। মনে আছে এ নামটি। ভূলেতো যাবার কথা না। পাঠক !আমার দায়বোধ আর বিবেক বলছে এ নামটি কেউ ভূলে যেতে পারে না। না! এ নামটি ভূলে যাওয়ার নয়! এ নামটির ভেতরে বাহিরে আছে জ্বলে উঠার গল্প।

যেখানে কিছু শব্দের যোগ-বিয়োগে লেখা হয় প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে উঠে জনিরা। কখনো আল্লাহর দোহাই আর মানবী’র মানবতাবোধ আর কবিতার দ্রোহে জ্বলতে থাকে জনিরা। হঠাৎ ! একটি শিশুর ক্রন্দন থেমে যায়। বাতাসের গতির চেয়েও তীব্র গতিতে কারো স্পর্শ এসে কানে পৌছে জনিদের দোয়ারে। পেছনের দরজা বন্ধ হয়ে যায় ! খোলে নতুন দ্বার! স্বপ্নের পরশে বাস্তবতার ভিটেয় নতুন এক পদ্ম জন্ম নেয়।

জনিরা বেঁচে যায়। ওদের বাঁচার তাগিদ শুনতে পায় পত্রিকার পাতার ভাজে বেঁচে থাকা সেই মানুষগুলো। আর ক্যামেরার পেছনের-সামনের মানুষগুলোর কোন দৃশ্যই এড়াতে পারো না। ফুটে উঠে ! সেই দৃশ্যের আলোছায়া কেউ ভূলতে পারে না। বিবেক থমকে যায়।

বিবেকের আর্তনাদে সেই অজোপাড়াগায়ে ফেরা যান্ত্রীক যানের সেই মানুষগুলো। বোধদয় ! জনিকে বাঁচতে হবে। রাতের আধাঁরে ফিরেছি ওই ছোট্ট জনির বাড়ি থেকে। দেখা-অদেখার সন্ধিক্ষণে জনির বেঁচে থাকার তাগিদ হয়তো অনুভব করেছিলাম সে সময়। অনুভবের অনুভূতিগুলো বেশ নাড়া দিয়েছিল সে সময়।

মাঝ রাতেও বাড়ি ফিরে মনে হয়েছে কোন এক নতুন স্বপ্ন বানিয়ে বাড়ি ফেরা হলো। কথাটি বললাম! আসলে তখন কেন জানি বারবার মনে হয়েছিল এ দ্বারে এই ব্লগ ভূবনে আমাদের লেখায়, কারো হৃদয়ে , কোন হৃদয়বান অবশ্যই জনিদের পাশে দাঁড়াবেন। ধীরে ধীরে বাস্তবের ভিটেয় সত্যিকারের এক স্বপ্ন উদোয় হয়। দেখলাম সত্যিকারের এক সূর্য উদোয় হয়েছে। সেই মিষ্টভাসী ফয়সাল ভাই ব্লগার ফয়সাল নোই সেই জনি ও তার পরিবারের স্বপ্নের নতুন ভীড় রচনা করলেন।

স্বপ্ন আর বাস্তবতা যে এক সুতোয় বাঁধা রয় তা বুঝতে পেরেছি ····! মনে হয়েছে এবার আমার শব্দের যোগ-বিয়োগ ঠিকভাবে হয়তো কষতে পারলাম। বাস্তবতার রঙ রাঙিয়ে গতকাল ফের গিয়েছিলাম আমাদের জনির সেই পাড়া গাঁয়ে। জনিকে দেখতে সেই সূদুর লন্ডন থেকে জনির আজীবন ভরণ পোষনের ভার নেওয়া সেই ইমেগ্রেশন এইডের নির্বাহী প্রধান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তার পরিবারবর্গ, সাংবাদিক এস কে দাস, বিকুল চক্রবর্ত্তী ও কয়েকজন সাংবাদিকসহ যাওয়া হয় জনির বাড়িতে। জনিকে দেখার প্রবল ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন সূদুর লন্ডনে বসেও ব্যরিস্টার মইনুল হোসেন। তার ইচ্ছার পরিপূর্ণতায় সেই মূখটি জনিকে দেখতেও চলে আসে ব্যরিস্টারের স্ত্রী, মা ও সন্তানরা।

সেখানে গিয়ে এক ধরনের আবেক দেখতে পেলাম। কিন্তু সেই আবেগের রঙ বর্ণনা করা এই বান্দার পক্ষে সম্ভব না! শুধু দুচোখকে সাক্ষী করে জ্বলের কিছুটা অশ্রুবরণ ! ভাবছি! জনিদের বাড়ি থেকে ফেরা হলো ···! একটি স্বপ্ন ! কখনো অকালেই ঝড়ে যায়........কখনো আবার ......!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।