যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
Baydan Ayakkabicilik San. & Tic. নামের একটা তুরস্কের জুতা কোম্পানী দাবী করেছে বুশের দিকে নিক্ষিপ্ত জুতাটি তাদের ডুকাটি ব্রান্ডের। ধুসর, পুরু সোলের "মডেল ২৭১" জুতা বলে উল্লেখ করে ডুকাটির মালিক রমাজান বেইদান মডেলটির নাম শীঘ্রই পাল্টে "বুশ সু" বা "বাই বাই সু" রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
ডুকাটির এমন ধরণের জুতা বলে দাবী করা হচ্ছে
মুন্তাজের জুতা ছুড়ে মারার পরে ডুকাটির জুতার বিক্রি রাতারাতি বেড়ে গেছে। রমাজান বেইদান জানিয়েছেন গত সপ্তাহে ৩ লাখ জোড়া জুতার অর্ডার পেয়েছেন যা সারা বছরের বিক্রির তুলনায় চারগুন - ১৯৯৯ সালে ডিজাইনটি মার্কেটে আসার পর থেকে। জুতাটির পাইকারী বিক্রয় মূল্য ৪২ ডলার মানে ২৮৯৮ টাকা।
বেইদান বলেছেন, আমরা অনেক বছর যাবত এই জুতা বিক্রি করে আসছি, কিন্তু বুশ কে ধন্যবাদ, জুতার জন্য অর্ডার এখন উন্মত্তভাবে উড়ে আসছে। বর্ধিত চাহিদা মেটাতে কোম্পানী একশ জন কর্মচারী নিয়োগের ঘোষণাও দিয়েছে। মডেল ২৭১ জুতাটি ইরাক, ইরান, সিরিয়া এবং মিশরে বিক্রি হচ্ছে। ইরাকের কাস্টমাররা ১লাখ২০ হাজার জোড়ার অর্ডার দিয়েছে এ সপ্তাহে এবং অনেক ইরাকী সেখানে সরবরাহ প্রতিষ্ঠান খুলতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। ড্যাভিডসন নামের ইউএস এর মেরিল্যান্ডের একটা কোম্পানী ৪ হাজার জোড়া জুতার অর্ডার দিয়েছে।
বেইদান আমেরিকান কোম্পানীটা সম্বন্ধে আরো তথ্য প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করেছে। জুতায় ব্যবহৃত চামড়ার কমনীয়তা উল্লেখ করে বেইদান দাবী করেছেন জুতাটা বুশকে আঘাত করলেও তিনি ব্যাথা পেতেন না।
তুরক্সের পত্রিকায় ইয়েনি সাফায় "মেড ইন টার্কি" আর্টিকেলে জুতার ডিজাইন
তবে ঐতিহাসিক জুতা জোড়ার মধ্যে বিধ্বংসী কিছু ছিল কিনা সেটা পরীক্ষা শেষে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, জানিয়েছেন তদন্তকারী বিচারক। কিন্তু সেজন্য ডুকাটির জুতার অভাব পড়বে না আশা করা যায়।
ডুকাটির ধুসর রঙের আরেকটা ডিজাইন
তুরস্কের বেইদান সুজ ছাড়াও আরো কয়েকটা জুতা কোম্পানী জায়েদীর জুতা তাদের তৈরী ছিল বলে দাবী করেছে।
তবে জায়েদীর ভাই উদয় আল জাইদী ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন মুন্তাজেরের জুতা ইরাকের আলা হাদ্দাদ কোম্পানীর তৈরী, চাইনিজ অথবা টার্কিস নয়। যদিও উদয়ের বক্তব্যই চুড়ান্ত করে দেয় জুতাটি বেইদানের নয়, অথচ তাদের বাণিজ্য ধেই ধেই করে বাড়ছেই। বেইদান সু-ফেনোমেননের সুযোগে টু-পাইস কামিয়ে নিচ্ছে হয়তো, অথবা কে জানে জুতাটি হয়তো বেইদানেরই। নেট ঘেটে রমাজান বেইদানের দাবীর পক্ষে তার নিজের বক্তব্য ছাড়া আর কোন কারণ খুঁজে পেলাম না।
সূত্রঃ
১. দি অস্ট্রেলিয়ান, Click This Link
২. ব্লুমবার্গ, Click This Link
৩. নিউজ২৪, Click This Link
৪. এবিসি, Click This Link
৫. থ্রিনিউজ, Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।