আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার পোলাপাইন আমলের কিছু সৃতি। (তিন)

আমি একটা কান্ড জ্ঞানহীন, মূর্খ, অশিক্ষিত, আনস্মার্ট, আনকালচার্ড, অভদ্র, বোকা, বলদ, গাধা, আহাম্মক, বদের হাড্ডি।
আমার পোলাপাইন আমলের কিছু সৃতি। (এক) আমার পোলাপাইন আমলের কিছু সৃতি। (দুই) আমার লিখার হাত ও সৃতি শক্তি খুবি খারাপ তার মধ্যে আছে ভুল বানানের কারখানা আর বোনাস হিসাবে থাকতেছে সাধু চলিত শুদ্ধ ভাষার জগাখিছুরী .... আগা মাথা ছারা লিখা পড়তে একটু কষ্টতো হবেই আজকে আমার বাদরামীর কয়টা সেম্পল দিবো। ভনিতা না করে শুরুই করে দিলাম।

আমি তখন ক্লাস ফোর কি ফাইভে পড়ি স্কুলের সামনে আইস ক্রিম ওয়ালা লটারি দিয়ে আইস ক্রিম বিক্রি করতো। ছোট ছোট কাগজের টুকরা ঝুলিয়ে রাখা থাকতো তার মধ্যে থেকে একটা কাগজ নিয়ে পানিতে ভিজাইলে দাগ উটতো। একটা দাগ থাকলে একটা আইস ক্রিম ২ টা থাকলে ২টা আইস ক্রিম পাওয়া যাইতো। আইস ক্রিম ওয়ালার একটা ছোট পোলা আছিলো ওর লগে বন্ধুত্ব করলাম। এক দিন ওরে জিগাইলাম এইটা তোমার বাবা কেমন করে করে ?? সরল মনে আমারে বইলা দিলো এইটা করা হয় লেবুর রস দিয়ে লেবুর রস চিপা একটা বাটিতে নেয়।

এর পরে কাঠি দিয়ে সব কাগজে একটা একটা করে দাগ দেয়। মাঝে মধ্যে ২ টা ও দাগ থাকে। লেবুর রস শুকাইয়া গেলে ঐ গুলারে তারের মধ্যে নিয়া ঝুলাইয়া দেয়া হয়। পোলায় সত্য কইলো কিনা বাসায় গিয়ে ট্রাই করলাম আরে এইটাতো দেখি আসলেই কাজ করে পরের দিন ঐ সাইজের কাগজ কাটলাম লেবুর রস দিয়া দাগ দিলাম। ঐ কাগজ আমি ওনার থেকে নিছি এইটা বুঝানোর জন্য উপরে ছিরা নিলাম।

যেন কেউ বা বুঝে এইটা আমার বানানো কাগজ এক দুই দিন এমন করে আর নিজে করলাম না তাইলে ধরা খাওয়ার ভয় আছে। তাই মাঝে মধ্যে বন্ধুদের দিয়ে এই কাজটা করাইতাম। এর কয়দিন পরে আসলো গোল গোল আইস ক্রিম। একটা বর হাড়ির মধ্যে বরফ দেয়া থাকে আইস ক্রিম গুলা গোল প্লাস্টিকের বাটির মধ্যে রাবার দিয়ে লাগানো থাকতো। সেই রকম মজার আইস ক্রিম আছিলো ঐ গুলা।

ঐ আইস ক্রিম ওয়ালারে ও দেখলাম এই সিসটেম করতে। শুরু হইয়া গেলো আমার কেরামতি টিফিন এর টাইমে কয়জন মিলা এই কাজ করে করে একটা কিনা ২টা খাইতাম সবাই। বেচারার লস হইতো মনে হয় তাই উনি বেশি দিন আসে নাই স্কুলে। একটু বড় হইলাম ক্লাস সেভেনে পড়ি। আবার দুষ্টু বুদ্ধি ভর করলো মাথায়।

স্কুলের সামনে একটা লোক দোকান সাজাইয়া বসলো। ওনার লটারীর ধরনটা একটু ভিন্ন। উনি কাগজ গুলায় নাম্বার লিখা দিতো যেমন ১ নাম্ববার হইলো চকলেট ২ নাম্ববার আচার ৩ নাম্ববার পিস্তল এই রকম অনেক গুলা আইটেম ছিলো। ঐ গুলার মধ্যে যেই জিনিষটা পছন্দ হইতো ঐটার নাম্বার লিখা আগের মতই ধরলাম এই রকম ৩-৪ দিন করার পরে ঐ ব্যাটা ও এলাকা ছারলো এই কাজে আমার লগে আছিলো আমার ফুফাতো ভাই জামান ওরে লগে হেলপার রাখতাম টিপস্ দেই একটা কারো কাছে গোপন কোন লিখা থাকলে এইটা করে লিখতে পারেন। সাধারন জিনিষ কলম দিয়ে লিখবেন আর গোপন লিখা গুলা লেবুর রস দিয়ে কাঠি দিয়ে লিখা দিবেন তারে আগে থেকে বলে রাখবেন গোপন লিখা পড়ার জন্য কাগজটা পানিতে ভিজাইতে হবে সবার সামনে সাধারন লিখা পড়তে পারবো গোপন লিখা আরালে গিয়া পানিতে চুবাইয়া পড়ে নিবো
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।