আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত স্মৃতিরা যখন জীবিত হয়ে উঠে!



মানুষের জীবনে অসংখ্য স্মৃতির সূত্রপাত হয়। যেই স্মৃতিগুলো সে মৃত্যু পর্যন্ত বহন করে চলে। এমনকি পরিণত বয়সে মানুষ তার স্মৃতির পাতাই উল্টোতে থাকে। বিশেষ করে সুখের স্মৃতি। তবে অনেক সময়ে প্রেমের অনুভূতিগুলো জেগে ওঠে।

বিশেষ করে প্রথম প্রেম। সব সময়ই কিন্তু বলা হয়, ফার্স্ট লাভ ইজ অলওয়েজ ফার্স্ট লাভ। প্রথম ভালোবাসার সাথে অন্য কারও তুলনা হয় না। সেটা ওয়ান সাইডেড হোক কিংবা টুসাইডেড হোক। সেই স্মৃতিগুলো সবসময় অমর থাকে।

হয়তো বহু বছরপর পুরনো ভালোবাসার মানুষের সাথে দেখা হলো। তখন হয়তো মনের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সমস্ত মৃত অনুভূতিগুলো জীবিত হয়ে উঠে। হয়তো মনে কিছু কথা চলে আসে। হয়তো বলতে ইচ্ছে হয়, কতো বছর হলো? মনে পড়ে? আমাদের সেই সময়গুলো! একসাথে রিক্সা দিয়ে ঘুরা!! তোমার পাশে বসে থাকা, তোমার দিকে চেয়ে থাকা।

কখনো কখনো চিৎকার করে বলতে চেয়েছি, ভালোবাসি......ভালোবাসি। কিন্তু পারি নি। একদিন হয়তো বলেওছি। কিন্তু সেই ভালোবাসার শব্দ পৌছায়নি তোমার মন পর্যন্ত। আজ এখন এই কোলাহল মুহূর্তে যখন আশেপাশে চলছে উত্তাল আওয়াজ।

আমার নিস্তব্ধতাকি পৌছাতে পারছে তোমার মনে? আমার চোখ থেকে বের হওয়া আলোক-রশ্মি কি তোমার চোখে ধরা দিচ্ছে। সে কি বলতে পারছে, এই চোখ তোমাকেই খুজে বেড়িয়েছে এতো এতোগুলো বছর!!!!! এই বাক্যগুলো হয়তো ব্যর্থ ওয়ান সাইড লাভ এর ক্ষেত্রে প্রজয্য। যদি এমন হয় যে প্রেম হয়েছে কিন্তু সেই প্রেমে কোনো সফলতা আসে নি। সেই ভালোবাসার মানুষটির সাথে যদি যদি আবার কোন এক কালে দেখা হয়। ঠিক একই ভাবে মনে ঘন্টার মতো আওয়াজ বেজে উঠবে।

একটু স্পর্শ করতে ইচ্ছে করবে। হোক না সে অন্য কারও। কিন্তু ওর প্রতি প্রথম অধিকারটিই আমিই অর্জন করেছিলাম। ওকে ছুলে তো কোন পাপ হবে না। ওতো চিরকাল আমারই।

আমার প্রথম ভালোবাসার মানুষটি। আমার প্রথম প্রেম। তোমাকে এক সময় কতো আগলে রেখেছি! রেসপন্সিবল ছেলের মতো কতো অপরাধে তোমাকে ধমক দিয়েছি। সে সবইতো ছিল আমার অধিকার। কিন্তু তোমার মুখে এখন হাসি কেনো আমার সহ্য হচ্ছে না।

কেনো মনে হয়, সুখের কথা আসলেই যাতে তুমি শুধু আমাকেই মনে করো। অন্য কোনো পুরুষ তোমাকে সুখে রেখে আমাকে ভুলিয়ে দেবে এটা আমি ভাবতে পারি না। আমি চাই তুমি এখনও শুধু আমাকেই মনে মনে আলিঙ্গণ করে রাখো। আমার সেই অধিকারগুলো তুমি সারা জীবন মনে ধরে রাখো। মনে মনে এই কথাগুলো হয়তো আমরা বলে উঠি।

কিন্তু বলা হয় না। দেখা হয়ে গেলে মনের তোলপাড় শুরু হয় ঠিকই। সর্ব শরীরে কম্পনের তৈরী হয় ঠিকই। কিন্তু বলা হয় না। সেটা দুপক্ষই বুঝতে দেয় না।

কেউ হয়তো বলবে, কেমন আছো? [আপনি সম্বধনেও হতে পারে] অপর পক্ষ থেকে বলা হবে, এই তো ভালো। তারপর? তারপর একটি মিষ্টি হাসি। যেনো সেই হাসি দিয়ে বোঝাতে চাচ্ছে আমি অনেক সুখে আছি। হয়তো সুখেই আছে। হয়তো সুখে নেই।

যদি কথা না হয়। তবে একটু চোখাচোখি। যেখানে থাকে নীরবতা। সেই নীরবতা কিছু বলতে চায়। কিছু বোঝাতে চায়।

মনের মানুষটি হয়তো বুঝে নেয় অনেক কিছু। ভালোবাসা হয়তো এমনই। এমনই হয়তো হয়। হয়তো কিছুই হয় না। পুরণো অনুভূতিগুলোকে ছেলে-খেলা মনে করে মনে মনে হয়তো হেসে কুটিকুটি হয়।

আর তাও মনে মনেই বলে ওঠে, কি পাগল ছিলাম!!! তারপরও কিছুক্ষণের জন্য হলেও তো মৃত স্মৃতিরা জেগে ওঠে। তাদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়। তারা জীবিত হয়ে উঠে। তখন আবার কিছুক্ষণ পর আমরা নিজেরাই তাদের আবার ঘুম পাড়িয়ে দেই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।