আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চরম প্রতিহিংসার পথধরে হাটছেন শেখ হাসিনা তনয় জয়



গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি নূরুল ইসলামের মৃত্যু গোটা জাতিকে নাড়া দিয়েছে। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে সবাই হতবাক। এখন এই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে নোংড়া রাজনীতি। নির্বাচনী মাঠে ভোটের হিসেবে এ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি উঠলেও অতি উৎসাহী কেউ কেউ ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে চাচ্ছেন।

আন্দাজে সন্দহের তীর ছুড়ে দিচ্ছেন প্রতিপরে দিকে। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এই হত্যার পিছনে চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকা খালেদা পুত্র মৃতপ্রায় তারেক রহমানের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। বার্তা সংস্থা এনার বরাত দিয়ে দৈনিক আমাদের সময় এই খবর দিয়েছে আজ। শেখ হাসিনার ছেলে জয় দীর্ঘদিন ধরে দেশের মাটি ও মানুষের স্পর্শের বাইরে অবস্থান করছেন। এই কারণেই কী তিনি এই দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি ততটা সংবেদনশীল নন? বিদেশের প্রতি দূর্নীবার টানের কারণেই তিনি বিদেশীনিকে বিয়ে করে ধন্য হয়েছেন।

যার ফলে সাধারণ মানুষের স্পর্শহীন জয় আগাচৌ’র মতই দেশের বাইরে থেকে এই প্রতি হিংসা প্রসুত অনুমান নির্ভর ভোগাস মন্তব্য করতে পারেন। জয় শাদা চামরার বিদেশী বধু নিয়ে যখন এ দেশে এসেছিলেন তখনতো তারেক রহমান তাকে বিদেশীনি বিয়ে করার জন্য কোনো বাজে মন্তব্য করেননি। ইচ্ছে করলে সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে তিনি বিরূপ মন্তব্য করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তারেক রহমান জয় ও তার বিদেশী স্ত্রীর সম্মানে বেশ কয়েকটি তোড়ণ নির্মাণ করে তাদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। তারেক রহমানের প থেকে ফুলের তোড়াও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই নব দম্পতিকে।

তারেক রহমান যখন দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার জন্য বিদেশ অবস্থান করছেন তখন তাকে সহমর্মিতা ও আরোগ্য কামনা তো দূরের কথা বরং দুর্যোগকালীন সময়েও প্রতিপরে দিকে প্রতিহিংসা নিয়ে ছুড়ছেন নিন্দার তীর। তবে কি তিনি তার মার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে আভির্ভূত হচ্ছেন। যার মার বেফাস মন্তব্যর জন্য আদালত আলজিভে লাগাম পড়ানোর কথা বলেছিল। জনাব জয়, গণতন্ত্রের দেশে অবস্থান করা আপনার কাছে আমরা অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল দেখতে চাই। আমরা চাই তারেক রহমানের মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে আপনিও রাজনীতির মাঠে অবতীর্ণ হোন।

কিছু লোকের প্ররোচনায় না পড়লে এদেশের রাজনীতিতে তারেকের অবদান মানুষ চীরদিন মনে রাখতো। তারেক পূর্ণ সুস্থ হয়ে আবার রাজনীতির ময়দানে ফিরে আসুন এই কামনা করুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।