আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুম্বাই-২৬/১১ এর বহুলপ্রদর্শিত টেররিস্টের ছবিটি পাকিস্থানী আজম আমির কশবের

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
বহুলদর্শিত ছবির এই টেররিস্টের নাম আজম আমির কশব। একমাত্র জীবিত টেররিস্ট যাকে মুম্বাই পুলিশ ধরতে সক্ষম হয়েছে। পুরো নাম মোহাম্মদ আজমল মোহাম্মদ কশব। শিবাজী ছাত্রপতি ট্রেনস্টেশনে এলোপাথারী মানুষকে হত্যা করে সে ও তার সংগী আবু ইসলমাইল ডেরা ইসমাইল খান রাস্তায় নেমে পড়ে। একটা টয়োটা গাড়ীতে চেপে যাবার সময় কামা হাসপাতালের সম্মুখে পুলিশের পুলিশের ভ্যান লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

গুগিরগাউম চৌপাট্টির দিকে যেতে মেট্র্রো সিনেমা হল ও বিদ্বান ভবনের দিকেও কয়েক রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে। এসময় তাদের গাড়ীর টায়ার পাংচার হয়ে গেল অন্য একটা গাড়ী চুরি করে চৌপাট্টির দিকে যেতে থাকলে গামদেবী থানার ফোর্স তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময়ে আজম সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর তুকারাম আ্যামবেলকে গুলি করে হত্যা করে। অবশ্য পুলিশের পাল্টা গুলিতে আজমের সংগী নিহত হলে সেও মৃতের ভান করে লুটিয়ে পড়ে। আজমের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়।

পুলিশ মৃত ভেবে দুজনকে তুলে নেয়। নায়ার হাসপাতালে নেয়া হলে একজন পুলিশ আবিষ্কার করে যে আজম আসল বেচে আছে। হাসপাতালে ২১ বছর বয়স্ক আজম ডাক্তার-নার্সদের কাছে বাচার আঁকুতি ব্যক্ত করে। তার সাথে কথা বলে তারা টের পায় যে সে অনর্গল ইংরেজী বলতে জানে এবং বাড়ী পাকিস্থানের ফরিদকোটের গিপালপুরায়। বুলেট অপসারণের পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবেদ সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

তাদের উদ্দেশ্য ছিল তাজ উড়িয়ে দেবার এবং ইন্ডিয়ান ৯/১১ সৃষ্টি করার। আজম পুলিশকে জানিয়েছে একমাস আগে থেকে তাদের প্রস্তুতি শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর চিত্র ভিডিও করে এবং উপর্যপুরি রিহার্সেল দিয়ে তারা পরিকল্পনাকে শাণিত করে। তাদেরকে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত খুন করার মন্ত্রণা দেয়া হয়। প্রত্যেক টেররিস্টকে একটা একে-৪৭ ও সাথে ৬/৭ ম্যাগাজিন গুলী দেয়া হয়।

প্রত্যেক ম্যাগাজিনে পঞ্চাশটার মত বুলেট। এছাড়াও দেয়া হয়েছে ৮টা করে হ্যান্ড গ্রেনেড এবং অটোমেটেড লোডিং রিভলবার সাথে কিছু শুকনো ফল। অজ্ঞাত স্থানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়ার সময় সে বলতে থাকে, আমাকে মেরে ফেলুন, আমি আর বাচতে চাই না! সুত্র ১ , ২
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।