আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধরে রাখতে চাই সঞ্জীবদাকে!

মুতাসিমের ফালতু ব্লগে আপনাকে স্বাগতম! দুনিয়ার সব ফালতু ফালতু লেখা গুলা পাবেন এখানে।
রাতের খাবার খেতে খেতে ফূর্তির ফুল ভলিউম শুনছিলাম। কথা হচ্ছিলো সঞ্জীবদাকে নিয়ে। খারাব শেষে সঞ্জীবদার প্রতি এক অসীম শ্রদ্ধাবোধ থেকে লিখতে বসলাম। সঞ্জীবদাকে আমি মূলত চিনতাম গানের শিল্পী হিসেবে।

অদ্ভুত গান ছাড়া সঞ্জীবদা লিখেছেন ফিচার। অজস্র ফিচার। শুধু লেখেন নি, লিখেয়েছেন, শিখিয়েছেন। এদেশের গন মাধ্যমে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য গুনী সাংবাদিক যাদের হাতে খড়ি হয়েছে সঞ্জীবদার কাছে। ঈতিমধ্যে তিনি হাত ধরে শিখিয়েছেন, কিভাবে ছোট বাক্যে ফিচার লিখতে হবে, কিভাবে শব্দ গঠন করতে হবে, কিভাবে সাক্ষাৎকার নিতে হবে ইত্যাদি।

ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ের গন যোগাযোগ ও সাংবাদিক বিভাগের এই ছাত্রটি এদেশের পত্রিকার ফিচার পাতায় নতুন ঠং আর স্বাদের সংযোজন করেছিলেন। তার সম্পাদনায় এক সময় ভোরের কাগজ, পাঠক ফোরামের মত বিভাগগুলো পাঠককে পত্রিকার সঙ্গে আরো একাত্ত করে তোলে। আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ আবার আজকের কাগজ তারপর যায়যায়দিন। সাংবাদিকতায় এই ছিলো তার বিচরন ক্ষেত্র। সঞ্জীবদার অসংখ্য শিষ্য আর ভক্ত ছড়িয়ে আছে বিবিসি লন্ডন থেকে বাংলাদেশের গন মাধ্যমের মিডিয়া কাপানো সাংবাদিকদের মাঝে।

সঞ্জীবদা দেখেয়ে দিয়ে গেছেন কিভাবে কাজের মাধ্যমে মানুষের মনে চির অমর হয়ে থাকা যায়। সঞ্জীবদা আজ নেই। কিন্তু তিনি রেখে গেছেন অজস্র শিষ্য। সঞ্জীবদা বেচে থাকা অবস্থায় সঞ্জীবদাকে চিনতে পারি নি। কিম্বা আমাদের প্রজন্মের সাথে সঞ্জীবদা নেই, দূর্ভাগ্য! কিন্তু ইন্টারনেটে ছড়িয়ে আছে সঞ্জীবদার অসংখ্য ভক্ত আর শিষ্য।

তাদের কাছ থেকে আমরা শিখতে চাই। আমাদের লেখা এবং কাজের মাধ্যমে সঞ্জীবদাকে আমরা ধরে রাখতে চাই প্রজন্ম, প্রজন্ম পর্যন্ত। মূল লেখা --- নগর বালকে!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।