আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাবিতে সান্ধ্য আইন জারি করা দরকার

অশুভ শক্তির মুখোশ উন্মোচনেই তৃপ্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ধ্যার পর থেকে এক নতুন চিত্রের অবতারণা ঘটে। মল চত্বর, টিএসসি কিংবা শহীদ মিনার থেকে শুরু করে প্রায় সবখানেই কপোত-কপোতির নিষিদ্ধ আড্ডা জমে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দৃশ্য এ সময় থাকে অত্যন্ত রুচিবিবর্জিত। স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নারী-পুরুষের অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় এটি। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিনষ্টকারী এসব নারী-পুরুষের অধিকাংশই ঢাবির ছাত্র-ছাত্রী নয়।

এর বড় একটি অংশ রাজধানীর ব্যঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। পার্শ্ববর্তী ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও বড় একটি সংখ্যায় আড্ডা জমিয়ে থাকে এখানে। এভাবে চলছে বলেই অখ্যাত এসব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অপকর্মের দোষ এসে পড়ছে ঢাবির ছাত্রছাত্রীদের ওপর। নবীন ছাত্রছাত্রীদের কাছে ঢাবির পরিচয় ফুটে উঠছে ভিন্নভাবে। অনেকেই এসবে প্রভাবিত হয়ে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপকর্মে।

অচিরেই এর অবসান হওয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ঢাবি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সান্ধ্য আইন জারি হওয়া প্রয়োজন। এটি সম্ভব না হলে সন্ধ্যার পর থেকে উল্লিখিত স্থানগুলোতে ঢাবির পরিচয়পত্রবিহীন যেকারো অবস্থান নিষিদ্ধ করা উচিত। ঢাবিকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্যান্য কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ঢাবিতে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এজন্যে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.