আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'কনটেম্পট টু কোর্ট' কিনা জানি না...



আমার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলার বিচার শুরু হয়েছে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের আদালতে। গত ২১ অক্টোবর আমার পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী তার এক পরিচিত'র দাফনে গিয়েছিলেন। ওইদিন আদালতে ছিল সাক্ষীর দিন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী (বাদি) সমন না পেলেও আদালতে যথারীতি হাজির হন। আমার সিনিয়র আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় জুনিয়র আইজীবীগণ সময়ের আবেদন জানান।

ম্যাজিষ্ট্রেট তা না-মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৫ মে চার্জ গঠনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ম্যাজিষ্ট্রেট চার্জ গঠন করেন ৮ জুলাই। এই চার্জের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রিভিশন মামলা দায়ের করি অদ্য ৫ নভেম্বর জেলা ও দায়রা জজ জনাব এ আর মাছউদ এর আদালতে (ক্রিমিনাল রিভিশন মামলা নম্বর -১৬২/২০০৮) বেলা ১১টায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আমার পক্ষে সাবেক পিপি মনসুর রহমান, রাজশাহী বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও অ্যাডভোকেট জমসেদ আলী মামলা পরিচালনা করেন।

শুনানি শেষে উন্মুক্ত আদালতে জজ মহোদয়, ক্রিমিনাল রিভিশন আবেদন রিজেক্ট করার ঘোষণা দেন। এরপর এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবার জন্য আমার আইনজীবীর সহকারী জনাব আলমগীর জজ আদালতে সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সন্ধ্যায় সেই সার্টিফাইড কপি নেয়ার জন্য গেলে শোনেন যে, জজ মহোদয় পুনরায় শুনানির জন্য আগামিকাল ৬ নভেম্বর তারিখ ধার্য্য করেছেন। জানি না এটা 'কনটেম্পট টু কোর্ট' কিনা। কিন্তু আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, ওপেন কোর্টে একটা মৌখিক আদেশের কথা জানানোর পর কি করে তা পরিবর্তন হয়???


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.