সৃষ্টিকর্তার সকল অপূর্ব সৃষ্টির মাঝে একমাত্র খুঁত সম্ভবত তাঁর সেরা সৃষ্টি ...
এটা আমাদের ভার্সিটি তে ভর্তি হওয়ার পরপর ঘটে যাওয়া সবচেয়ে মজার ঘটনার একটা। আমাদের ভার্সিটিতে মেয়েরা আবার খুব একটা ভর্তি হয় না তাই সব ডিপার্টমৈন্টের ছেলেরা মুখিয়ে থাকে মেয়েদর সাথে আলাপ জমানোর জন্য। তো ভর্তির পর যখন সবাই নিজ নিজ ডিপার্টমেন্ট পেয়ে গেছে তখন আমরা সব বন্ধূরা মিলে কোন ডিপার্টমৈন্টে কতজন মেয়ে আছে তা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তো আমাদের এক বন্ধু এই মজার কাহিনীটা শোনায়।
তাদের ডিপার্টমেন্টের আকার এমনিতেই ছোট তাই স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের তুলনায় মেয়ে ভর্তি হয়েছিল কম।
তাই ডিপার্টমেন্টে লিস্ট দেখার পর ছেলেরা আলাপ করছিল কতজন মেয়ে আছে তা নিয়ে। মজা হলো যে বেশিরভাগ ছেলেরাই দাবি করছিল যে তারা লিস্টে পাঁচজন মেয়ে দেখেছে। কেবলমাত্র দুজন ছেলে বলল যে না, লিস্টে মাত্র চারটি মেয়ের নাম আছে। তো, এই নিয়ে মহা ঝগড়া শেষ পর্যন্ত সবাই মিলে লিস্ট দেখতে চলল। লিস্টের সামনে গিয়ে ঐ দুজন ছেলের একজন লাফিয়ে উঠল "দেখ, দেখ আমার কথাই ঠিক; লিস্টে চারজন মেয়ে - নওশাবা সুলতানা, রেখা চৌধুরী, আফসানা আলম আর মিশু বিশ্বাস।
"
শুনে অন্য যে ছেলেটি চারজন মেয়ের কথা বলেছিল সে লাফিয়ে উঠল "কি! আরে মিশু বিশ্বাস তো আমার নাম!" । এ শুনে সবার মাঝে দারুণ হাসাহাসি। হাসি থামলে পরে সবাই মিশুকে জিজ্ঞেস করল "ও নাহয় তোকে মেয়ে ভেবেছে, কিন্তু তুমি চারজন মেয়ে দেখলে কোথায়?"
মিশু জবাব দিল "কেন, এইতো - নওশাবা সুলতানা, রেখা চৌধুরী, আফসানা আলম আর তারিন তাসনিম। " এবার আগের ছেলেটি লাফিয়ে উঠল"আরে! তারিন তাসনিমতো আমার নাম!"। এবার হাসি আর থামতে চায় না।
কেন তারি আর মিশু চারটি মেয়ে দেখেছিল তা বোঝা গেল আর বাকিরাও যে কেন পাঁচটি মেয়ের নাম দেখেছিল তাও বুঝতে বাকি থাকল না কারো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।