আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ সেই ২৮শে অক্টোবর - যেদিন শিবির তাদের আরেক সহকর্মীর বিচার শুরু হয়েছিলো।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ বহু মামলার আসামি নাছিরউদ্দিন চৌধুরী ওরফে শিবির নাছিরকে ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. একরামুল হক চৌধুরী গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতকক্ষে আসামি শিবির নাছির, আইনজীবী ও পুলিশ ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আদালত সূত্র জানায়, শিবির নাছিরের বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলার অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। এর আগে অন্তত ২২টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন নাছির।

গতকাল রায় ঘোষণার তিন মিনিটের মধ্যে পুলিশ একটি প্রিজন ভ্যানে করে তাঁকে কারাগারে নিয়ে যায়। এ সময় আদালত চত্বর ও আশপাশে বিপুল পুলিশ মোতায়েন ছিল। আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালের ১১ জুলাই একটি পিস্তল ও ছয়টি গুলিসহ নগরীর চকবাজারে অবস্থিত আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের পেছন থেকে শিবির নাছির গ্রেপ্তার হন। এ সময় তাঁর সহযোগী ওয়ালিউল্লাহ বাবুলও গ্রেপ্তার হন। মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় বাবুল মারা যান।

আদালত সূত্র আরও জানায়, ছয়জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচারক গতকাল শিবির নাছিরকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ও ১৯ (এফ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন। এ দুই ধারায় তাঁকে যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উভয় দণ্ডাদেশ একই সঙ্গে শুরু হবে। ফলে আসামি নাছির সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজা ভোগ করবেন। আদালত সূত্র আরও জানায়, ১৯৯২ সালের দায়ের করা মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল হয় একই বছরের ২৮ অক্টোবর।

পাঁচ বছর পর ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। আর সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয় ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই থেকে। অথচ ছয়জনের সাক্ষ্য নিতে প্রায় ১১ বছর পেরিয়ে যায়। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আহসানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইতিপূর্বে আমি শিবির নাছিরের পক্ষে ১২টি মামলা পরিচালনা করেছি, যার মধ্যে সব কটিতে তিনি খালাস পান। ১৩ নম্বর মামলাটি আমি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হয়ে পরিচালনা করেছি।

এতে অবশ্য নাছিরের কারাদণ্ড হয়েছে। ’ উল্লেখ্য, নাছিরের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়, যার মধ্যে ১২টি মামলায় তাঁর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আহসানুল হক হেনা। আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। ’ শিবির নাছির ১৯৮৫ সালে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে হত্যার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এবং তাঁর বাহিনীর ক্যাডারদের হাতে বহু রাজনৈতিক নেতা-কর্মী হতাহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো, ১৪ মে ২০০৮ (২) ২৮ শে অক্টোবরের কথা মনে হলেই শিবিরের পোলাপানের নানান কথা মনে করে কান্নাকাটি করে। ওর কিভাবে ভুলে যায় - ওদের আরেক সহকর্মী নাসির কিভাবে জেলে গেল। নাসিরের কার্যকলাপের কিছু বিবরন এখানে পাবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।