আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চা পান ও অতপর!!!!



আমার এই লেখাটা ইন্ডিয়াতে আমার একদিনের চা পান করা নিয়ে। ইন্ডিয়াতে বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে কিন্তু কখনো দেশের টং দোকানের মত স্বাদওয়ালা চা পান করিনি আর বাসার চা সে তো অনেক দুর। আমি আবার একজন শ্রেণীযুক্ত চা খোর তবে কোন শ্রেণীতে পরি বলতে পারব না। যাই হোক, ১৯৯৬ সালের কথা, মাদ্রাস যাচ্ছি বি বি এ ভর্তি হতে, আমার প্রথম বিদেশ যাত্রা। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি কোন এক সময়ে বাংলাদেশ বিমানে করে কোলকাতা পৌছাই, একদিন কোলকাতায় থেকে ট্রেনে করে রওয়ানা হয় মাদ্রাস এর উদ্দেশ্যে।

যথা সময়ে মাদ্রাস পৌছে হোটেলে উঠি। আমাদের এজেন্ট এসে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউ আরো তিনদিন পর, সুতরাং এই তিনদিন আমাদের কোন কাজ নাই। আমরা তিন বন্ধু সারাদিন ঘুরে বেড়াই, প্রচুর ফল খাচ্ছি, পানি খাচ্ছি কিন্তু যখনই চা খাবার ইচ্ছা হয় তখন আর ভালো লাগে না। এইটা চা খাচ্ছি না গরম পানির সরবত খাচ্ছি তাই বুঝতে পারতাম না। তাই কষ্ট করে হলেও ভেন্ডিং মেশিনের কফি খেতাম, তাও হোটেল থেকে হাফ কিলোমিটার হেটে।

তাই এক কাপ কফির দাম আমরা ধরতাম এক কিলো হাটা আর সাত রুপি। এই ভাবেই চলছিল আমাদের দিন। দেখতে দেখতে আমাদের ইন্টারভিউ এর দিন চলে আসলো। আমরা সবাই দিলাম, আর আমার কপাল খারাপ আমার হলো না। এরই মধ্যে সাতদিন পার, আমি দেশে আমার এজেন্টকে ফোন করে বিস্তারিত জানাই, তো সে আমাকে মাদ্রাস এর এক এজেন্টের ফোন নং দিয়ে বলল যোগাযোগ করতে।

আমার ঘটনাটা এই খানেই। আমি ফোন করে যথা সময়ে তার বাসায় উপস্থিত হই। আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলামনা তার ঘরে ঢুকার জন্য। কারন ইন্ডিয়ানরা সহজে কোন অপরিচিত কাউকে ঘরে ঢুকেতে দেয় না। আমাদের কথা চলছে এমন সময় গৃহকত্রী চা ও হালকা নাস্তা নিয়ে আসেন।

যখন আমি চা খাচ্ছি তখন অটোমেটিক আমার চোখে পানি চলে আসে এবং তা গৃহকত্রী দেখে ফেলেন ও বলেন আমার চোখে পানি কেন। তখন আমি তাকে বলি যে আজ প্রায় ৮দিন পর চা খাচ্ছি যার স্বাদ প্রায় আমার বাসার মত। তিনি আরো এক কাপ চা দিতে চাইলেন আমি না করলাম। কথা শেষ করে তারাতারি হোটেলে ফিরে এলাম। এর তিনদিন পর ঢাকায় ব্যাক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।