আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যান জট নিয়ে হুদা প্যাচাল - ১

একাকী হেটে চলেছি নিঃসঙ্গতার দিকে

যান জট এ নাকাল আমরা, ঢাকাবসী আমরা। এটা নিয়ে অনেক প্যাচাল পাড়া হয়েছে, সেমিনার, সভা, আলোচনা, পত্রিকায় লেখা লিখি আনেক কিছু হয়েছে। এখন আমি ব্লগ এ তাই নিয়ে একটু প্যাচাল পাড়বো। জানি এই লেখা জায়গা মত যাবে না, সরকারের কর্তাব্যক্তিরা জানবেন না, পড়বেন না, তবে সবার সাথে শেয়ার করতেই লেখা। ইদানিং পত্রিকায়, সেমিনার এ যেটা খুব আলোচনা হয়, তা হল - ঢাকায় ওতিরিক্ত গাড়ী , প্রচুর প্রাইভেট কার।

মুলত প্রাইভেট কারের দিকেই অভিযোগ বেশী তোলা হয়। আমার কোন প্রাইভেট কার নাই, বাসে ঝুলেই অফিসে বা কোথাও আসা যাওয়া করি। ইচ্ছা থকলেও সিএনজি অটোরিক্সা বা ভাড়া করতে পারিনা, হয় তারা যাবেনা অথবা ছিনতাই এর ভয়। ড্রাইভারের পা ধরলেও তারা যেতে চায় না কোথাও, শুধু তাদের মর্জিমাফিক। তারপোরে পাবার পর ভয় - ছিনতাই এর।

আর যদি বাস ধরতে চাই, দেখব যে, টিকেট কাটার ব্যবস্থা থাকলে বিশাল লম্ভা লাইন, দাড়ায়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে যায়, তারপোর ঠাসা ঠাসি করে দাড়ানো, অথবা বাসের পিছনে পিছনে দৌড়াতে হয়, ধাক্কা ধাক্কি করে উঠতে হয়, অথবা লোকাল বাস নামক একটা বাস এ ঠাসাঠাসি করে যতই চাপি না কেন, সবসময় পিছনে চাপেন শুনতে হয়। এ অবস্থা থেকে বাচার জন্য কেউ যদি গাড়ী কিনতে চায়, সেটা কি তার দোষ? উন্ণত দেশের উদাহরন দেয় সবাই, কিন্তু তাদের মত সুবিধা কি নিশ্চিত হয়েছে? রাস্তায় গাড়ী বাড়বেই, কিন্তু যারা সরকারে আছে বা ছিল, তারা কি এটা ভেবে দেখেন নাই? তারা তো পর্যাপ্ত রাস্তা ও তৈরী করেন নাই, তাই বলে তাদের দোষ ঢাকতে গাড়ীওয়ালা লোকদের দোষ দিবেন, তা তো মানা যায় না। এ ব্যপারে আমার কিছু সুপারিশ ছিল: ১। দিনের বেলা (সকাল ৬ টার - রাত ১০ টা পর)ট্রেনগুলোকে ঢাকায় না ঢুকতে দিয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত গন্তব্য করা উচিত ২। মহাখালি আন্তঃজেলা বাস টর্মিনাল উত্তরা বা টংগী তে করা উচিত।

৩। ঢাকার ভিতর যে বাস চলে তার জন্য নির্দিষ্ট স্টপেজ ও সময় ঠিক (এক স্টপেজে ১ মিনিট) করা উচিত। ৪। মতিঝিল থেকে যে বাস মিরপুর যায়, তারা যদি মিন্টু রোড হয়ে যায়, তাহলে তারা মৎস্যভবন থেকে সহজেই শেরাটন পার হয়ে যেতে পারবে। তেমনি মতিঝিল মুখি বাস গুলো শেরাটন এর সামনে থেকে বায়ে চলে যেতে পারলে শাহবাগ এর বিশাল ২ টা জ্যাম এড়ানো সম্ভব।

৫। বাংলা মটর এ একটা ছোট ওভারপাস করে দিলে ওখানেও কোন সিগনাল এর দরকার পড়ে না ৬। একই ভাবে যদি কাওরানবাজারে আরেকটা ওভারপাস করা যায়, কাওরান বাজারের সিগনাল টা ও এড়ানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে সোনারগাও হোটেল এর সামনের গাড়ী গুলো ওভারপাস দিয়ে সোজা বসুন্ধরার সামনে দিয়ে যাবে, যারা ফার্মগেট যাবে তারা গ্রীন রোড দিয়ে ফার্মগেট উঠবে(সেক্ষত্রে ওতটুকু রাস্তায় রিকশা বন্ধ করতে হবে)। ৭ ।

এর পর আসে বিজয় সরনীর জ্যম। এখানে নতুন রাস্তা হচ্ছে, এখানেও ওভারপাস করলে জ্যম কমে আসবে। বাকী টুকু আরেকদিন লিখব। আরেকটু চিন্তা করে নেই। আমার উদ্ভট প্ল্যন কেমন লাগলো, জানায়েন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।