টিভি খুল্লেই শুনি, সকলের ঘামেই দুর্গন্ধ হয়, সকলেই নিজের ঘামের দুর্গন্ধে অভ্যস্ত হয়ে পরে । তাই সে গন্ধটা পায় না ।
মনে সাংঘাতিক কষ্ট পাইলাম, এতদিনের চেনা নিজের বগলটারে এই পচিশ ছাব্বিশ বছর পর একরকম ঘেন্না করাই শুরু করলাম ... তাইলে এত দিন এই শালার বগল ব্যাটা চামে সবাইরে গন্ধ বিলাইয়া গ্যাছে, ট্যারও পাইনাই !?!
তাইতো বলি সেদিন বাস্স্ট্যান্ডের সুন্দরীটা এম্নে চায়াছিলো ক্যান ! সব শালা বগলের দোষ ।
শুরু করলাম পরীক্ষানিরীক্ষা ।
নিজে নিজের গন্ধে অভ্যস্ত হয়া গেছি তাই কয়েকজন বন্ধুরে জিগাইলাম, ‘দোস্ আমার বগল্টা হুইংগা দেখতো?’
প্রথমে কেউতো রাজী না, সিগ্রেট খাওয়ামু কথা দিলাম ... তারপর রাজী ।
এরপর হুংগা হুংগি শুরু হইল ।
ছয় সাত জন হুং’লো, বল্লো নাহ্ কোনো গন্ধ নাই । আমি খুশি হইতে পারলাম্না । বন্ধুরা জানেমান সব, আমার মনে কষ্ট দিতে চায় না । খুব কইরা বুঝাইলাম, ‘দোস্তরা আমারে সত্যি কইরা ক ... আমি মনে কষ্ট পামুনা ...।
আবার হুংগা হুংগি শুরু হইল । এইবার চায়ের অর্ডার আগে দিতে হইল । নাহ এইবারেও কেউ গন্ধ আবিস্কার করতে পারলনা । মেজাজটা খারাপ হয়া গ্যালো । চা-সিগ্রেট এর পয়সাই মাটি ।
বন্ধুরাও ক্যামনে জানি চাওয়া-চাওয়ি শুরু কইরা দিল । খানিক বাদে এ ওর বগল হুংগা শুরু করল । তাজ্জব ব্যাপার ! কেউ কারো বগল্'থে গন্ধ পায় না ।
বাদে কিছু ছোট ভাই পাইলাম, মা্ন সম্মানের মাথা খায়া আমি ওগোরে হিস্টোরি কইলাম । ওগোরে হুংতে কইলাম ।
ওরা হুংলো ।
মাথা নাইড়া কইল নাহ্ তারা গন্ধ পাইতেছেনা ।
এরবাদে নানান জায়গায় নানাকিসিমের মানুষরে নানান রকম গিরিঙ্গি কইরা জিগাইছি, কেউ আমার বগল্থে চাম্রা আর শার্টের কাপড়ের গন্ধ ছাড়া আর কোনো গন্ধ পায় নাই ।
এহন ভায়েরা, একটা বিচার করেন, যেই শালা মামুন্দির পুতেরা কইতাছে, ‘সকলের ঘামেই দুর্গন্ধ হয়, সকলেই নিজের ঘামের দুর্গন্ধে অভ্যস্ত হয়ে পরে’ ... সেই শালাগো যদি ঘাড় ধইরা নাকটারে আমার বগলের মইধ্যে চাইপা ধইরা জিজ্ঞাই, ‘কিরে শালা গন্ধ পাস্’ ... তাইলে কি খুব বেশী অন্যায় করুম ?
ps: Unilever বা Rexona কিম্বা যেই শালারা এডটা বানাইছে ওই শালাগো খুজতেছি ... বগল ট্রিটমেন্ট দেয়ার লাইগা ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।