আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গান...আমার ভালোবাসা...

রাতেরো আকাশে নির্ঘুম স্বাক্ষী, দূরের ঐ ধ্রুব তারা...। । কতটা বেসেছি ভালো... শুধু মন জানে... এ হৃদয় জানে...।

কোন এক অদ্ভুত কারণে ক্যাডেট কলেজের ৬টি বছর ই আমাকে মিউজিক ক্লাবে কাটাতে হয়েছে। একটি দিনের জন্য ও আমি এই ক্লাব থেকে বের হতে পারিনি।

গানের নেশা আমার মধ্যে কলেজে থাকাকালীন সময়ে তীব্রতর হলেও, মিউজিক ক্লাব ব্যাপারটা আমার কেন জানি কখন ই ভাল লাগত না। ভালো না লাগার কারনগুলির মধ্যে অন্যতম ছিলো, কখনও বিকেলে গেমস করতে পারতাম না (যদিও আমি খেলাধূলা পারিনা, কিন্তু তবু ও I used to love games period) এবং গেমস শেষে সবাই হাউসে গেলেও মিউজিক ক্লাব পার্টি ছাড়া পেতে দেরী হত এবং যথারীতি বাথরুমের সিরিয়াল পাওয়া যেতনা। অন্যান্য কারন গুলো হল, প্রায়শঃই আমাদের কে হলি ডে তে গান প্র্যাকটিসের জন্য ডাকা হতো কিংবা যেকোন অনুষ্ঠানের আগে আমাদের উপর দিয়ে প্র্যাকটিস নামক সিডর বয়ে যেত। গান শেখার ব্যাপারে আমার কোনকালেই কোন আগ্রহ ছিলোনা। স্রষ্টার অসীম কৃপায় প্রকৃতিগতভাবে একটি সুমধুর গলা পাওয়া সত্বেও তার সদ্ব্যবহার আমি করতে পারিনি।

ছোটবেলা, আমার খালাদের ও কাজিনদের পীড়াপীড়িতে আমার একরোখা বাবা (একরোখা বলছি এই জন্য যে, আমার বাবার কাছে পড়ালেখা ছাড়া আমার জন্য আর কোন করণীয় কাজ থাকতে পারে বলে জানা ছিলনা) আমাকে গানের স্কুলে ভর্তি করালেও, আমার কল্যাণে তা বেশী দূর এগুতে পারেনি। গান শেখার চেয়ে গানের একাডেমীর পাশের শ্মসানটি ই আমাকে বেশী টানত। আর তাইতো কোন একদিন শ্মসানে মৃত মানুষ পোড়ানো দেখার সময় হাতেনাতে আমার বাবার হাতে ধড়া খেলাম এবং সেখানেই আমার গান শেখার পালা সাঙ্গ হলো। সেই অবাধ্য আমাকে যখন মিউজিক ক্লাব বেধে রাখত, তখন আমার কি অবস্থা হত, তা আশা করি আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। কলেজে আমার গানের অভিজ্ঞতা প্রথম দিকে খুব একটা সুখকর ছিলনা।

ক্লাশ সেভেন এ প্রথম যে ট্যালেন্ট শো (ক্যাডেট কলেজে যোগদানের পরে নতুন ক্যাডেটদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) হয়, সেখানে আমাকে দিয়ে বাংলা সিনেমার দুইটি গান গাওয়ানো হয়। গাওয়ানো হয় এজন্য বলছি, যে ক্লাশ সেভেনে আমাদের কোন কাজেই নিজেদের কোন নিয়ন্ত্রন থাকেনা। আর তাই, ইংরেজীর মোস্তাফিজুর রহমান স্যারের সিলেক্ট করা “ছুটির ঘন্টা” ছবির – “এক দিন ছুটি হবে, অনেক দূরে যাবো...” এবং “ভেজা চোখ” ছবির – “তুইতো কাল চলে যাবি আমাকে ছেড়ে...” গান দুটি গাইতে হয়েছিলো। এই গান দুটি গাওয়ার পর থেকে ভেবেছিলাম আর কক্ষনো গান গাবোনা...... এত গান থাকতে শেষ পর্যন্ত কিনা সিনেমার গান.........!!!!! কিছুদিন পরে আন্তঃ হাউস সঙ্গীত প্রতিযোগীতা। আবার আমার ডাক পড়লো।

আমি রীতিমত শংকিত। আবার কি গান ধড়িয়ে দেয়...। দুরু দুরু বুকে হাউস অফিসে ঢুকলাম। আমাদের আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফ্টসের ওয়াহিদুজ্জামান স্যার খুব ভালো গান গাইতেন। তিনি আমাদের ডেকে বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন গান ভাগ করে দিচ্ছিলেন।

২টি ইভেন্ট ছাড়া সবাই সব গান নেবার পরে জুনিয়র মোস্ট হিসেবে আমি আর আমার ক্লাসমেট মেহেদী মাহবুব এর দিকে স্যার দৃষ্টি দিলেন। বলা বাহুল্য, যে দুইটি ইভেন্টের গান কেউ গাইতে চাইতো না সেই দুইটি ইভেন্ট ই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো। আমি মনে মনে মহা বিরক্ত এবং শংকিত । মাহবুব কে স্যার ধড়িয়ে দিলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত আর আমার জন্য বরাদ্দ করলেন পল্লী গীতি। কি আর বলবো।

আশা ছিলো আধুনিক বা পপ কিংবা ব্যান্ডের গান গাইব। কিন্তু ওই ইভেন্টগুলো যে সিনিয়রদের ইভেন্ট...। এরপর থেকে আমার জন্য কলেজে পল্লী গীতি আজীবনের জন্য বরাদ্দ হয়ে গেল। কলেজে সবার মধ্যেই একটা ভাব ছিল তখন, গান যদি গাইতেই হয়, তাহলে, আধুনিক বা ব্যান্ডের গান গাইব, পল্লী গীতির মতো আনস্মার্ট গান কেন গাইব? কিন্তু সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য যাই হোক না কেন, ক্লাশ সেভেনে একবার পল্লী গীতির যে সিল আমার কপালে লেগেছে, তা খোলার মত স্মার্ট ভাগ্য আমার আর হয়নি। সে কারনেই, যে কোন প্রোগ্রামে আমি ছিলাম সকল শিল্পীদের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস।

কারন, পল্লী গীতি মানেই হলো আহসান, আর তার অর্থ দাড়াচ্ছে, আহসান থাকা মানেই তাদের আর আনস্মার্ট গান গাইতে হবেনা। অবশেষে একে একে “আমার প্রাণের প্রাণ পাখি...” , “আমার হাড় কালা করলাম রে...” কিংবা “ও রসের কালিয়া...” এর মত গান নিয়ে আমি আনস্মার্ট ই রয়ে গেলাম। এখানেই শেষ নয়। এমন কি, ১৯৯৪ সালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে অনুষ্ঠিত আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ সঙ্গীত প্রতিযোগীতায় ও আমার জন্য বরাদ্দ হলো পল্লী গীতি ও লালন গীতি। এমনিতেই আনস্মার্ট গানের আনস্মার্ট গায়ক, তার উপর আবার ১০ ক্যাডেট কলেজের বাঘা বাঘা সব শিল্পী।

সব মিলিয়ে আমি খুবই মনমরা। এরমধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কলেজের গায়কের সম্পর্কে মন্তব্য শুনে আমার মনে হচ্ছিল, কোন দুঃখে আমি এই প্রতিযোগীতায় এসেছিলাম আল্লাহ ই জানে। এর চেয়ে কলেজে নিজেদের মাঝে ২/৪ টা আনস্মার্ট গান গেয়ে মান ইজ্জত নিয়ে তো ভালই ছিলাম। কে যেন এসে বললো, "এই মাত্র কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের অমুকের পল্লীগীতি শুনে আসলাম...যা গাইল...এক কথায় অসাধারন...। " আরেকজন কে যেন বললো, "ময়মসিংহের রুশদা তো এসেছেই পল্লীগীতি তে ফার্ষ্ট হবার জন্য।

ওর গান একবার কেউ শুনলে ওয়ান মোর না বলে কেউ থাকতেই পারবেনা। " আমাকে পুরো হতাশায় ডুবিয়েছিলেন ভূগোলের ফয়জুল হাসান স্যার, যিনি এই প্রতিযোগীতার জাস্ট কিছুদিন আগে আমাদের কলেজ থেকে পোস্টিং হয়ে ঝিনাইদহ জয়েন করেছেন। স্যার আমার গান কলেজে অনেক শুনেছেন। সেই স্যার ই যখন কথা প্রসঙ্গে বললেন, "ঝিনাইদহের সাদাত পল্লীগীতিতে ফার্স্ট তো হবেই, ও যদি রেকর্ড হাইয়েষ্ট মার্কস পায় তাতেও আমি অবাক হবোনা। " আমার তখনকার মানসিক অবস্থা বলে বোঝাতে পারবনা।

যাই হোক আমার দুই যন্ত্রী- হারমোনিয়াম বাদক নুরুজ্জামান (যে পেশায় ডাক্তার হলেও বর্তমানে প্রায়ই একুশে টিভিতে খবর পড়ে; নাম শাহরিয়ার কল্লোল) আর তবলচি যোবায়েদ (ও যে বর্তমানে কোথায় আছে আমি জানিনা) আমাকে সমান হারে উৎসাহ দিয়ে যেতে থাকল। অবশেষে আমার ইভেন্টের দিন এল। সন্ধ্যায় আমরা ১০ ক্যাডেট কলেজের সবাই অডিটরিয়ামে হাজির হলাম। প্রতিযোগীতা শুরু হল। আমার বুক দুরু দুরু।

মনে মনে শুধু এইটুকু প্রার্থনা, "আমি লাস্ট হই, তাতে অসুবিধা নাই কিন্তু কোনভাবেই যেন গান গেয়ে হাসির পাত্রে পরিণত না হই। " এর মধ্যে কে যেন এসে বলল, "খবরদার গান গাইবার সময় একদম উপরে গ্যালারীর দিকে তাকাবিনা। " আমি বললাম কেন? তার উত্তর, "তাকালে তোমার আর গান গাইতে হবেনা”। " মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝলাম না। একেতো গানের টেনশন, তার উপরে এটা আবার কি বলে গেল।

হঠাত করেই আমার নাম ঘোষনা করা হলো। স্টেজে গিয়ে অডিটরিয়াম ভর্তি ১০ কলেজের দর্শক দেখে ভীষন পানি খেতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু ততক্ষনে আমার দুই যন্ত্রী তাদের বাজনা বাজানো শুরু করে দিয়েছে। হঠাত মনে হলো, “আচ্ছা আমাকে উপরে তাকাতে মানা করেছিল কেন?” যেই ভাবা সেই কাজ। মানুষকে যে কাজটা করতে বারন করা হয়, মানুষ সেই কাজটা ই যেমন বেশী করে, আমি ও তার ব্যতিক্রম হইনি।

উপরের গ্যালারীতে তাকালাম। দেখলাম ময়মনসিংহের মেয়েদের অন্যান্য কলেজের ক্যাডেটদের থেকে আলাদা রাখার জন্য গ্যালারীতে বসিয়েছে। আর তারা তাদের কলেজের প্রতিযোগীর ভাল ফলাফলের জন্য এবং অন্যান্য কলেজের প্রতিযোগী রা যেন ভাল গাইতে না পারে তার জন্য যা যা করনীয় আছে তাদের সাধ্যের মাঝে সব ই করে যাচ্ছে। কোন সিনিয়র জুনিয়র মানামানি নাই। আমি একবার তাকাতেই বুঝে গেলাম আমাকে কেন মানা করা হয়েছিল।

চোখ নামিয়ে নিয়ে গান শুরু করলাম। বিচিরক ছিলেন চট্টগ্রাম বেতারের তিনজন নাম করা শিল্পী। কি গাইলাম, তা খেয়াল নেই। তবে ফলাফল যখন দেয়া হল, তা আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। সম্ভবত আমার সঙ্গীত জীবনের সেরা অর্জন ছিল এটি।

ছোট একটা ঘটনার কথা বর্ণণা করে আমার লেখাটি শেষ করব। কলেজে যখন আমি আনস্মার্ট গানের আনস্মার্ট গায়ক হিসেবে মোটামুটি স্বীকৃত নিজের ইমেজ বদলানোর জন্য আমি আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। স্যারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছিলাম যাতে আমাকে পল্লীগীতি ব্যতীত অন্য কোন গান গাইতে দেন। কিন্তু প্রতিটি বারই আমি নিরাশ হচ্ছিলাম। হঠাত করেই বিধাতা মনে হল আমার প্রতি সদয় হলেন।

মিউজিক ক্লাবের ইনচার্জ তখন ফয়জুল হাসান স্যার। তিনি হঠাত করেই আমাকে অন্য টাইপের একটা গান গাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। আমি তো মহা খুশী। অবশেষে আমার ইমেজ বদলানোর সুযোগ এলো। অনুষ্ঠানের দুইদিন আগে স্যার আমাকে সম্পূর্ণ নতুন একটা গান দিলেন, যা আমি কখনোই গাইনি, এমন কি শুনিওনি।

যাইহোক, আমি তাতেও খুশী। স্যার বেশ কয়েকবার আমাকে প্র্যাকটিস করালেন এবং যখন তিনি সন্তুষ্ট হলেন, তখন ছেড়ে দিলেন আমাকে। অনুষ্ঠানের দিন আমি ষ্টেজ এ ঢুকলাম। মুখে মিটিমিটি হাসি। সবাইকে আজ "দেখিয়ে দেব" একটা ভাব।

মিউজিক শুরু হল। আমি ভাবছি সবাই আজ আমাকে নতুন ধারার গায়ক হিসেবে দেখবে। অনেকেই আমার গান শুনে অবাক হবে...বাহবা দিবে...। হঠাত আমার যন্ত্রী’র ঈশারায় আমি সম্বিত ফিরে পেলাম, হায় হায়, আমার তো যখন গান ধরার কথা তখন গান না ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি, নতুন ধারার গায়ক হবার লোভে আমার সব মিউজিক জ্ঞান যেন লোপ পেল...যন্ত্রী ব্যাপারটা কভার দেবার জন্য মিউজিক রিপিট করল, । আমি আরো একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম যেটা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ।

আমি গানের সুর ভুলে গেছি এবং কোনভাবে ই সুর মনে করতে পারছিনা। ঘোরের মধ্যে কিভাবে যেন হঠাত এ গান শুরু করলাম। স্যার হতবাক...আমার যন্ত্রীরা মনে হয় যেন হোচট খেল...দর্শকদের অভিব্যক্তি টা যেন কেমন ঠেকলো...। হঠাত আমি আবিষ্কার করলাম, হারমোনিয়ামের সুর একদিকে, আমার গলার সুর আরেক দিকে এবং সম্পুর্ণ নতুন এক সুরে আমি গানটি শুরু করেছি। আরো আবিষ্কার করলাম, অডিটরিয়ামের সবাই ভীষন হাসাহাসি করছে।

যা তা হাসাহাসি না, একদম হেসে লুটোপুটি অবস্থা। একবার শুধু কল্পনা করুন, অডিটরিয়াম ভর্তি দর্শক আপনার গান শুনে হেসে খুন”। এই ঘটনার পরে আমি আর কোনদিন কলেজে নতুন ইমেজের গায়ক হবার চেষ্টা করিনি। সময় অনেক পেড়িয়ে গেছে। একটা সময় আমি অনুভব করলাম, সেই আনস্মার্ট গান গুলিই আমার মাঝে সুরের নেশা জাগিয়ে তুলেছে।

রক্তের প্রতিটি কণিকায় সুর ছড়িয়ে দিয়েছে। পেশাগত ক্ষেত্রে এসে আমি পুরো দস্তুর আধুনিক ঘরানার গায়কে পরিণত হয়েছি। মঞ্ছ, রেডিও এবং টেলিভিশন মিলিয়ে অনেক প্রোগ্রামে গান করেছি। কিন্তু ভুলতে পারিনি দুইটি ঘটনা। এক, আমার সেই ইমেজ বদলানোর প্রচেষ্টা।

আর দুই, আন্তঃ ক্যাডেট কলেজ সঙ্গীত প্রতিযোগীতায় পল্লীগীতি’র স্বর্ণ পদকটি আমার করে নেয়া। গান আমার জীবনে এখন এক অপরিহার্য উপাদান। গান ছাড়া আমি এখন আর থাকতে পারিনা। দিন রাত সব সময় ই আমার রুমে গান বাজে। মাঝে মাঝে মনে হয়, খেতে না দিলেও হয়তো আমি থাকতে পারব, কিন্তু গান ছাড়া...? নাহ... সে আমার পক্ষে থাকা সম্ভব না।

আজও আমি তবলার বোল শুনলে ঠিক থাকতে পারিনা। গিটারের টান শুনলে রক্তে সুরের নাচন জাগে। আমার আশে পাশে কনসার্ট হচ্ছে জানলে আমার সেখানে হাজির না হতে পারলে মাথা কাজ করেনা। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি। জীবনে আজ আমি পেশাগত ক্ষেত্রে অনেক পরিচিতি পেয়েছি এই গানের কারনে।

আর যেই গান আমার মধ্যে সুরের প্রতি প্রেম জাগিয়েছে, তাহলো পল্লীগীতি। আর সেকারনেই, ব্যান্ড বা পপ আমাকে কর্মক্ষেত্রে সুখ্যাতি দিলেও পল্লীগীতি আমি ছাড়িনি। যেকোন সঙ্গীত প্রতিযোগীতায় কখনও পল্লীগীতি হাতছাড়া করিনি। আর পল্লীগীতি ও আমাকে কখনো নিরাশ করেনি। গলায় আজ আমার আগের মত সেই সুর আর নেই।

প্র্যাকটিস না থাকার কারনে আগের মত সুর খেলা করাতে পারিনা আমার গলায়। কিন্তু তারপরেও আমি গান ছাড়িনি। ছাড়তে পারবো ও না। আল্লাহ’র কাছে প্রার্থনা, "তিনি যেন আমার গলা থেকে শেষ সুরটুকু কেড়ে না নেন। মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত যেন আমি গুনগুন করে হলেও গাইতে পারি।

আমৃত্যু যেন আমি আমার এই ভালবাসার সাথে থাকতে পারি । (লেখাটি এর আগে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।