আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হে ভাস্কর্য, তুমি কি মূর্তি?

স্বেচ্ছাচার না করা গেলে তারে স্বাধীনতা বলে না। স্বাধীনতা মানেই স্বেচ্ছাচারের অধিকার।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা বাউল ভাস্কর্য ভেঙেছে, তারা সেটিকে মূর্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে। কিন্তু একে মূর্তি হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পকে অপমান করা হয়েছে। ' (পি আলো) হাঃ হাঃ হাঃ।

(হাসলাম একটু) কওমী মাদ্রাসার চালাক ছাত্ররা আবার এইটারে "ভাস্কর্য" বলতেছে না, বলতেছে "মূর্তি"। হোয়াই। কারণ, এই দেশে অন্ধকারাচ্ছন্ন (সিইচৌ কথিত) ও আলোকিত (আআসা আবিষ্কৃত) উভয় পক্ষই মূর্তি নির্মাণে অনাগ্রহী। বহু বছর হয় "ভাস্কর্য" নাম দিয়াই "মূর্তি" নির্মাণ চলতেছে। সময় হইছে মূর্তি নির্মাণের ব্যাপারে সরব হওয়ার।

ভাস্কর্যের ব্যাপারেও ধর্মে মূর্তি মোতাবেক নিষেধই আছে। ধর্ম পালন করবেন আবার মূর্তিও বানাইবেন এ চলে না। তবে মজার ব্যাপার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং কওমী ছাত্র দুই পক্ষই মূর্তির বিরোধী। আমি খুশি, কুৎসিত ভাস্কর্য তথা মূর্তি দেখার হাত থিকা আর্ট-এর সমঝদার কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা আমাদের মুক্তি দিতে চলেছেন। নাগরিকদের সম্মতি ছাড়াই যত্রতত্র ভাস্কর্য/মূর্তি নির্মাণের অধিকার আপনেগো কে দিছে! উন্মুক্ত রাস্তায় আমার দৃষ্টিকে কী পীড়া দিবে না দিবে তা জরুরি বিষয়।

মূর্তি ভাইঙ্গা মাদ্রাসা ছাত্ররা তাদের ধর্ম রক্ষার আন্দোলন করতেছে। তাতে আমার সায় নাই। কিন্তু সরকারের উচিত নাগরিকদের সম্মতি লইয়া ফালতু ভাস্কর্য ভাইঙ্গা ভালো ভালো মূর্তি নির্মাণ করা। টেকা খাইয়া বিবিধ মন্ত্রণালয়ের লোকরা খারাপ আর্টিস্টদের যে কাজ দেয় তারও তদন্ত হওয়ার দরকার। দুইটা ভাস্কর্য তো এই মুহূর্তেই ভাঙা দরকার, বাংলা একাডেমী ভাস্কর্যটা আর বিশ্ববিদ্যালয়ে শামীম শিকদারের আখাম্বা মরার ভাস্কর্য! ধর্ম নিয়া কিন্তু প্রগতিশীলরা একটা কথাও কয় না।

ডরায় বোধহয়। হক মাওলা। ফিরা আসুক আবার মূর্তির দিন! আবার ধর্মহীনতার দিন!!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।