আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারন সংবিধান মানুষের (জাতি) জন্য, মানুষ (জাতি) সংবিধানের বলি নয়।

আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে

জানি না, কার স্বার্থে নাচছেন ইসি। ওনার কথা শুনলে মনে হয় উনি মহাপন্ডিতের পন্ডিত (বেটা মুর্খ)। রাজনৈতিক দল নিজস্ব দর্শন, মতবাদ নিয়ে চলে, এক এক রাজনৈতিক দলের থাকে আলাদা আলাদা দর্শন বা মতবাদ। তারা সে অনুযায়ী নিজের দল এবং পরে দেশ শাসনের পরিকল্পনায় সকল কাজ এগিয়ে নেয়। ধরুন, কমিউনিষ্ট-পন্হি দলগুলো কি ইসলামী শাসন ব্যবস্থা মেনে নিবে, নেবে না।

আবার জামায়াতের মত দলগুলো কি কখন কংগ্রেসের মত ধর্মনিরপেক্ষতা মেনে নিবে, নেবে না। কারন যার যার বিশ্বাস ও মতবাদের উপরই শাসন ব্যবস্থা বর্তায়। মোঘল আমলে মুসলমানের দেশ ভারত বর্তমানে হিন্দু-স্থান। সংবিধান কারা রচনা করেছে তার উপর সংবিধানের প্রয়োগ নির্ভর করে। ৯০ ভাগ মুসলমানের বসবাস এ দেশে সংবিধান রচনা করেছে একদল কমিউনিষ্ট বিশ্বাসী জ্ঞানী আর তা প্রতিষ্ঠা করেছে কংগ্রেসী মতবাদি একটি শাসক দল, ফলে তখনকার মতবাদ হয়ে উঠেছে সংবিধান।

কিন্তু আজকের বাংলাদেশে যেখানে ৮০ ভাগ মানুষ ব্যবসা-বানিজ্য মিলাদ আর প্রধান দুটো রাজনৈতিক দল মাজার যিয়ারত দ্বারা নির্বাচন শুরু করে, তারা কি বিসমিল্লাহ নামটি মুছে দিবে সংবিধান থেকে, মুছবে না। জ্ঞানী দালাল শ্রেনী মানুষ যারা দেশের খেয়ে বিদেশী তাবেদারী করে তাদের কাছে বলার কিছুই নাই। কিন্তু ইসলামী বিশ্বাসী কোন দলকে যদি কোন কালে কোন গোষ্ঠী ক্ষমতায় বসায়, তাহলে নিশ্চয় তারা ইসলাম ছাড়া অন্য কোন সংবিধান গ্রহন করবে না, করা উচিতও নয়। কারন এটাই স্বাভাবিক। এটা কোন দলের জন্য নয়, এটা সেই নির্দিষ্ট সময়ে পুরো জাতির বিশ্বাসের প্রতিক হয়ে ওঠে।

৭১ এর সংবিধান ৭১ পটভুমির আলোচনায় প্রস্তুতকারক ও প্রয়োগক দ্বারা ছিল, জনগন চেয়েছে হয়েছে। আজ যদি ইসলামী মুল্যবোধের কিছু মানুষ ইসলামকে ভালবেসে, কুরআনকে সংবিধান বানাতে চায় তবে কার অধিকার আছে তার দলীয় সংবিধান পরিবর্তন করার। আমি জানি না, জামায়াত বা ইসলামীপণ্হি দলগুলো কি করবে, তবে তাদের কারো দলীয় সংবিধান পরিবর্তন করা উচিত নয়। কারন দলীয় সংবিধান দলের মানুষের বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। ইসি, কয়েকটি পত্রিকা, কিছু টিভি চ্যানেল যে হারে ইসি কে সার্পোট দিচ্ছে তাতে তাদের বদ-খেয়ালের নোংরা উন্মোচন ছাড়া কিছুই হচ্ছে না।

আমি এসব দলীয় সংবিধানের হাত না দেয়ার জন্য সকলকে পরামর্শ দিব, যাতে দলীয় বিশ্বাস জাতির উপর না বর্তায়, আবার জাতির বিশ্বাস কোন সময়কার কোন নির্দিষ্ট দলের উপর না বর্তায়। রাজনৈতিক পরিবর্তন সবসময় সংবিধানের উপর হামলা চালায়, এটা সত্য ও ধ্রুব। কারন কোনদিন কোন কমিউনিষ্ট শাসক যদি ক্ষমতায় আসে তারা ইসলাম মেনে নিবে না, ইসলাম কোন ধর্ম নিরপেক্ষতা বা ক্উনিষ্টি মেনে নিবে না। আর এর পুরো প্রভাব জাতির বিশ্বাস ও ভোটাভুটির উপর নির্ভর করে। অতএব মানুষের বিশ্বাসের পরিবর্তন হলে, সংবিধান পরিবর্তন হতে বাধ্য।

কারন সংবিধান মানুষের (জাতি) জন্য, মানুষ (জাতি) সংবিধানের বলি নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।