আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'বই' এর জন্য ভালবাসা

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ............

'কিশান্তী' জাভার একটি গ্রাম 'সাজা' থেকে রোজ ১০মাইলেরও বেশি পথ রোজ সাইকেলে পাড়ি দেয়। গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তার বই পড়তে দেয় বিনামুল্য, যারা তার বই পড়তে চায় তাদের। দুই সন্তানের জননী কিশান্তী বলেন"এটা কোন সমস্যাই নয় যদি বই ছিড়ে যায়, পৃষ্ঠা গুলো ময়লা হয়ে যায় অথবা কেউ যদি বই ফেরত না দেয়,যতক্ষণ তারা আমার বইগুলো পড়ছে" একদম শিশুকাল থেকেই তার বইয়ের সাথে সখ্য। স্কুলে অধিকাংশ সময় সে লাইব্রেরীতে কাটাত, কারণ সে দরীদ্র পরিবার থেকে আসায় অধিকাংশ বন্ধুরাই তাকে পছন্দ করত না। কিশান্তীর মতে, "বই আমাকে পৃথীবির যেকোন যায়গায় নিয়ে যায়, যেখানেই আমি যেতে চাই।

" তার চারপাশের অনেকেই যারা নিরক্ষর তাদের কথা ভেবে খুব কষ্ট হয় কাশান্তীর। আবার অনেকে আছেন, যারা লেখাপড়া জানলেও বই পড়তে চান না-এটাও তাকে পীড়া দেয়। "যদি আপনার স্কুলের বেতন দেবার জন্য যথেষ্ট টাকাও না থাকে ,তবুও বই পড়ুন। কারণ, বই আপনাকে করবে স্মার্ট এবং আপনার চোখ খুলে দেবে" এমন কথাই বলেন, আর্থিক অসঙ্গতির কারণে নিজের পড়াশোনা প্রাইমারীতেই থেমে যাওয়া কাশান্তী। শুরুতে পায়ে হেটে চলত তার এই বই পড়তে দেবার কাজ।

যে সকল মহিলারা বই পড়তে পছন্দ করতেন না তাদেরকে প্রথমে রান্না বিষয়ক বই পড়তে দিতেন, তারপর ম্যাগাজিন ও উপন্যাস পড়তে দেন। আর শিশুরা পড়তে চায় কমিক্স ও রূপকথার গল্প। ২০০৪ সালে একটি সাইকেল জোগাড় করার পর থেকে আরো দূরের গ্রামেও গিয়েও বই দিতে থাকেন। কিন্তু এক বছর পর ২০০৫সালে দুর্ভাগ্যক্রমে, তার লিভারের অসুখ ধরা পড়ে। তারপর থেকে প্রতি সপ্তাহে ২ দিন করে চলে তার এই বই পড়তে দেয়া কর্মসূচি।

২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে কাশান্তীর একটা আজীবন লালিত স্বপ্ন পূরণ হয় যখন সে তার নিজ বাড়ির পাশেই একটা লাইব্রেরী চালু করতে সক্ষম হয়। প্রায় ১৯০০ মতন বই আছে তার লাইব্রেরীতে। তার মতে, "বইয়ের এই সংখ্যা খুবই অপর্যাপ্ত এবং প্রতিনিয়ত চেস্টা করছি বইয়ের সংখ্যা বাড়াতে। " ['For the love of books'-Readers Diges't অবলম্বনে]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।