বন্ধ জানালা, খোলা কপাট !
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১ (পুর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-- ২ (যদি নির্বাসন দাও--সুনীল)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৩ (কেউ কথা রাখেনি ---সুনীল)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৪ (অন্ধকার--জীবনানন্দ দাশ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৫ (হায় চিল--জীবনানন্দ দাশ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৬ (গোলাপের নীচে নিহত হে কবি কিশোর- আবুল হাসান)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৭ (মায়ের সুখ--ফজলুল বারী বাবু)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৮ ( নারী--সুনীল )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৯ ( তোমার চোখ এতো লাল কেন--নির্মলেন্দু গুণ )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১০ ( ছিন্নমুকুল--সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১১ ( শুদ্ধ করো আমার জীবন --মহাদেব সাহা)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১২ ( বদলে যাও, কিছুটা বদলাও--আবুল হাসান)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৩ ( আমি কিংবদন্তির কথা বলছি --আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৪ ( চিঠি দিও---মহাদেব সাহা )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৫ (নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়--হেলাল হাফিজ )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৬ (ফেরীঅলা --হেলাল হাফিজ )
ভালো
লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৭ (মানুষ -কাজী নজরুল ইসলাম )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৮ (ছাড়পত্র --সুকান্ত ভট্টাচার্য )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ১৯ ( সত্যবদ্ধ অভিমান --সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২০ ( আসাদের শার্ট--শামসুর রাহমান)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২১ (ওটা কিছু নয়--নির্মলেন্দু গুণ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২২ ( মানুষ--নির্মলেন্দু গুণ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২৩ ( বাতাসে লাশের গন্ধ --রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২৪ ( সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয় --জীবনানন্দ দাশ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২৫ ( আসমানী প্রেম--নির্মলেন্দু গুণ)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২৬ (উচ্চারণগুলি শোকের--আবুল হাসান)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২৭ (আগুনে পুড়বে ভস্ম এবং শৃঙ্ক্ষল--আবুল হাসান)
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ২৮ (পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা । কথোপকথন ৩৯)
জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে কবিকে স্মরণ । ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-২৯ (সাম্যবাদী--কাজী নজরুল ইসলাম )
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৩০ (খেলাঘর--নির্মলেন্দু গুণ)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৩১ (উল্টোরথ--নির্মলেন্দু গুণ)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৩২ (কোথায় গেল, কোথায়--সুনীল)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা- ৩৩ (লোকটা জানলই না--সুভাষ মুখোপাধ্যায়)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-৩৪ (দোতলার ল্যন্ডিং,মুখোমুখি দু'জন--আহসান হাবীব)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-৩৫ (আমি কোনো আগন্তুক নই --আহসান হাবীব)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-৩৬ ( যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো -শক্তি চট্টোপাধ্যায়)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-৩৭ ( চতুর্দশপদী কবিতাবলী -শক্তি চট্টোপাধ্যায়)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-৩৮ ( এখন যে কবিতাটি লিখবো আমি--আবিদ আজাদ)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-৩৯ (উটপাখি--সুধীন্দ্রনাথ দত্ত)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-৪০ (মুখোশ--বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-৪১ ( যে শহরে আমি নেই আমি থাকবো না--আবিদ আজাদ )]
ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা-৪২ ( বৃষ্টি ভেজা বাংলা ভাষা--জয় গোস্বামী )]
যে কবিতাগুলো আমার বোধের জগৎ নাড়া দেয় । ভালো লাগে । ভীষণ ভালো ।
একান্ত আমাকে ছুঁয়ে যায় । যে কবিতাগুলো আমার কাছে পুরনো হয়না কখনই । এমন কিছু কবিতা ব্লগ বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না । এই সিরিজে মাঝে- মাঝে ভালো লাগা প্রিয় কবিতারা ভেসে উঠবে ।
রিক্সাওয়ালা
অরুণ মিত্র
রিকশার চাকা দুটো ঘুরতে-ঘুরতে এইখানটায় এসে দাঁড়ায় ।
আমার বাড়ির সামনে অপেক্ষা করে।
যে লোকটা চালায় একদিনও তার কামাই নেই, এই বিষম ঠান্ডাতেও না । এমনকি তাকে দেখে আমার চেনবার কথা নয়, কারণ তার মুখটা রোজই বদলায় । চাকা দুটোর ঘোরা থেকে চিনি ।
সন্ধের পর ছেলে-বউকে অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিয়ে সে বেড়িয়ে পড়ে ।
কোন মহল্ল থেক তা আমার কাছে পরিস্কার নয় । শুধু এইটুকু বুঝতে পারি, ভুতুড়ে আলোগুলো পার হয়ে গেলে একটা যে প্রকান্ড শীতের রাত পড়ে, তার ওপারে সে থাকে । যেখানেই থাকুক কিছু আসে যায় না ।
আমার বাড়িটা যে তার চেনা, আমাদের দুজনের পক্ষে এটাই বড় কথা ।
শীতের ঢেউ যে সব রাস্তায় আছড়ে পড়ে সেই সব রাস্তা দিয়ে রিকশা চড়ে আমি অনেকবার গিয়েছি ।
তখন মানুষটার মধ্যে আগুন গনগন করতে দেখেছি, যেন তার অস্থিমজ্জা জ্বলছে ।
আমার গায়ে সেই আঁচ এসে লেগেছে । তার সুতির ফতুয়াটা তখন তীব্রভাবে উড়তে থাকে এবং
আমার ভয় হয় আমার গরম জামাকাপড় বুঝি দাউদাউ করে জ্বলে উঠবে । কিন্তু না, প্রত্যেকবারই সে ভুতুড়ে আলোগুলোর ভেতর দিয়ে আমাকে আবার এখাে ঠিকমত পৌঁছে দিয়েছে । এমন কি ,তার বাড়িটা যে একসময় খুব কাছাকাছি এসে গিয়েছিল, এ অনুভুতিটাও আর লেশমাত্র থাকেনি ।
আজও সে আমাকে নিয়ে শীতের রাতের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়বে এবং নিরাপদে আবার ফিরিয়ে আনবে ।
খুব সম্ভব কোনো একদিন সে আর আসতে পারবে না । ভেতরের আগুনটা নিবে গিয়ে সে ঠান্ডায়
জমে পাথর হয়ে কোথাও পড়ে থাকবে । কিন্তু তা বলে রিকশার চাকা দুটো তো মাটিতে গেড়ে
যাবে না । তারা আবার ঘুরবে এবং তাই থেকে আমি বুঝব সেই রিকশাওয়ালা হাজির হয়েছে, এখন যেমন বুঝি ।
এটাই আমার কাছে এক স্বস্তি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।